দেশে সক্রিয় কভিড-১৯ রোগীর সংখ্যা কমেছে। বর্তমানে এমন রোগী রয়েছে ৯৩ হাজার ৪৭০ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় কভিড-১৯ আক্রান্ত আরো ২২ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে দেশে মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়াল ৪ হাজার ৮৮১-এ। এ সময় নতুন করে আরো আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছে ১ হাজার ৫৪১ জন। এ নিয়ে মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়াল ৩ লাখ ৪৫ হাজার ৮০৫। গতকাল বিকালে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক নাসিমা সুলতানা স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে নতুন একটিসহ দেশের ৯৫টি পরীক্ষাগারের তথ্য তুলে ধরে জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ১২ হাজার ৮১৪টি নমুনা সংগৃহীত হয়েছে। এর মধ্যে পরীক্ষা করা হয়েছে ১২ হাজার ৭৩০টি নমুনা। এ নিয়ে দেশে মোট নমুনা পরীক্ষা করা হলো ১৭ লাখ ৯৬ হাজার ৫০৯টি। একদিনে আরো ১ হাজার ৯২৩ জন রোগী সুস্থ হয়ে উঠেছে। তাতে সুস্থ রোগীর মোট সংখ্যা বেড়ে ২ লাখ ৫২ হাজার ৩৩৫ হয়েছে। অর্থাৎ স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হিসাব অনুযায়ী, দেশে এখনো সক্রিয় করোনা রোগী রয়েছে ৯৩ হাজার ৪৭০ জন। এর আগে বৃহস্পতিবার সক্রিয় করোনা রোগীর সংখ্যা ছিল ৯৩ হাজার ৮৫২।
নতুন করে কভিড আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়া ২২ জনের মধ্যে পুরুষ ১৬ জন ও নারী ছয়জন। এ পর্যন্ত মৃত ৪ হাজার ৮৮১ জনের মধ্যে পুরুষ ৩ হাজার ৮০৪ জন, শতাংশের হিসাবে ৭৭ দশমিক ৯৩ এবং নারী রয়েছেন ১ হাজার ৭৭ জন; যা শতাংশের হিসাবে ২২ দশমিক শূন্য ৭।
মৃতদের বয়স বিভাজনে বলা হয়েছে, ৪১ থেকে ৫০ বছর বয়সী দুজন, ৫১ থেকে ৬০ বছরের আটজন এবং ষাটোর্ধ্ব বয়সের মারা গেছেন ১২ জন।
এ সময় সবচেয়ে বেশি মারা গেছেন যথারীতি ঢাকা বিভাগেই, ১৩ জন। এছাড়া চট্টগ্রামে তিনজন, সিলেটে দুজন এবং রাজশাহী, খুলনা, রংপুর ও ময়মনসিংহ বিভাগে একজন করে মারা গেছেন। তাদের মধ্যে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন ২১ জন এবং বাড়িতে মারা গেছেন একজন।
এর আগে গত বছরের ডিসেম্বরে চীনের উহান শহরে প্রথম শনাক্তের পর দ্রুত সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ে নভেল করোনাভাইরাসের সংক্রমণে সৃষ্ট রোগ কভিড-১৯। বাংলাদেশে নভেল করোনাভাইরাস প্রথম শনাক্ত হয় গত ৮ মার্চ। আর এটির সংক্রমণে দেশে প্রথম মৃত্যুর তথ্য জানানো হয় ১৮ মার্চ।