আগস্টে ৯৬ লাখ টন সয়াবিন আমদানি চীনের

বণিক বার্তা ডেস্ক

চীন বিশ্বের শীর্ষ সয়াবিন আমদানিকারক দেশ। কারণে দেশটিতে কৃষিপণ্যটির আমদানিতে উত্থান-পতন আন্তর্জাতিক বাজারে সয়াবিনের মূল্য নির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ প্রভাবক হিসেবে কাজ করে। চলতি বছরের আগস্টে আন্তর্জাতিক বাজার থেকে চীনা আমদানিকারকরা প্রায় এক কোটি টনের কাছাকাছি সয়াবিন আমদানি করেছেন। আন্তর্জাতিক বাজারে কৃষিপণ্যটির মূল্যবৃদ্ধিতে তথ্য প্রভাবক হিসেবে কাজ করেছে। খবর ওয়ার্ল্ডগ্রেইনডটকম এগ্রিমানি।

চীনের জেনারেল অ্যাডমিনিস্ট্রেশন অব কাস্টমসের (জিএসিসি) সর্বশেষ মাসভিত্তিক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চলতি বছরের আগস্টে আন্তর্জাতিক বাজার থেকে চীনা আমদানিকারকরা সব মিলিয়ে ৯৬ লাখ টন সয়াবিন আমদানি করেছেন, যা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় লাখ টন বেশি। ২০১৯ সালের আগস্টে চীনের বাজারে সব মিলিয়ে ৯৪ লাখ টন সয়াবিন আমদানি হয়েছিল। চীনের ইতিহাসে গত আগস্টে সয়াবিন আমদানির মাসভিত্তিক পরিমাণ সর্বোচ্চে উঠেছে।

আমদানি করা সয়াবিনের বড় একটি অংশ চীনের পশুপালন খাতে ব্যবহার হয়। এসব সয়াবিন দিয়ে দেশটিতে তৈরি হয় পশুখাদ্য। গত বছর থেকে দেশটির পশুপালন খাত আফ্রিকান সোয়াইন ফ্লুর ধকল সামলেছে। রীতিমতো মহামারী আকারে চীনের পশুপালন খাতে এক বছর ধরে আঘাত হেনেছে রোগটি। সাম্প্রতিক সময়ে এর আঘাত অনেকটাই সামলে উঠেছে চীন। ফলে দেশটিতে ধীরে ধীরে বাড়ছে পশুখাদ্যের চাহিদা। একই সঙ্গে বাড়ছে পশুখাদ্য হিসেবে সয়াবিন আমদানিও। মূলত কারণে গত আগস্টে চীনের বাজারে সয়াবিন আমদানি রেকর্ড ছুঁয়েছে।

এদিকে চীনের বাড়তি আমদানির তথ্যে চাঙ্গা হতে শুরু করেছে আন্তর্জাতিক বাজারে সয়াবিনের দাম। বর্তমানে শিকাগো বোর্ড অব ট্রেডে (সিবিওটি) বুশেলপ্রতি (৬০ পাউন্ড) ১০ ডলারের সামান্য কমে বিক্রি হচ্ছে কৃষিপণ্যটি। মাঝে সয়াবিনের দাম বুশেলপ্রতি ১০ ডলার ছাড়িয়ে গিয়েছিল। চলতি বছরের বাকি সময়ে চীন এভাবে বাড়তি আমদানি অব্যাহত রাখলে আগামী দিনগুলোয় আন্তর্জাতিক বাজারে কৃষিপণ্যটির দাম ফের বুশেলপ্রতি ১০ ডলার ছাড়িয়ে যাওয়ার জোরালো সম্ভাবনা রয়েছে।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন