এন্টিবডি টেস্ট চালু করাও প্রয়োজন : জাতীয় পরামর্শক কমিটি

নিজস্ব প্রতিবেদক

দেশে বর্তমানে করোনাভাইরাস শনাক্তকরণে চালু থাকা পিসিআর পরীক্ষার পাশাপাশি এন্টিজেন ও এন্টিবডি টেস্ট কার্যক্রম চালু রাখা গেলে পরিস্থিতি মোকাবেলায় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে মনে করে করোনা মোকাবেলায় গঠিত জাতীয় পরামর্শক কমিটি। কমিটির চেয়ারপারসন প্রফেসর ডা. মোহাম্মদ সহিদুল্লার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ১৯তম অনলাইন সভায় এ পরামর্শ দেয়া হয়। বৃহস্পতিবার (১৭ সেপ্টেম্বর) কমিটির চেয়ারপারসন প্রফেসর ডা. মোহাম্মদ সহিদুল্লা স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। 

বর্তমানে পিসিআর টেস্ট এর মাধ্যমে কভিড-১৯ পরীক্ষা করা হচ্ছে যার পরিমাণ তুলনামূলকভাবে কম উল্লেখ করে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, কভিড-১৯ পরীক্ষার পরিমাণ বৃদ্ধি করতে পারলে আরও বেশী সংক্রমণ শনাক্ত করার সম্ভাবনা রয়েছে। এ উদ্দেশ্যে জাতীয় পরামর্শক কমিটি এন্টিজেন ও এন্টিবডি টেস্টের জন্য একাধিকবার পরামর্শ দিয়েছে। 

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ও এ বিষয়ে বেশ কিছু পদক্ষেপ নিয়েছে উল্লেখ করে বলা হয়, ইতোমধ্যে রোগ নির্ণয়ে এন্টিজেন টেস্টের নীতিগত সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে। এন্টিজেন ও এন্টিবডি টেস্টের ব্যাপারে একটি নীতিমালা ও বাস্তবায়ন পরিকল্পনা অনুমোদনের চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে। প্রাথমিক পর্যায়ে যে সব জেলায় পিসিআর টেস্ট এর সুবিধা নেই এবং বিশেষায়িত হাসপাতালে এন্টিজেন টেস্ট এর পরিকল্পনা দাখিল করা হয়েছে। এন্টিজেন টেস্ট কিট এর যাচাইকরণ প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে। তবে একটি সাবধানতার বিষয়ও এখানে রয়েছে যে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এ ধরনের কিটের এখনও অনুমোদন দেয়নি। 

কমিটির পক্ষ থেকে ডা. মোহাম্মদ সহিদুল্লা বলেন, জাতীয় পরামর্শক কমিটি মনে করে তিন পদ্ধতিতে (পিসিআর, এন্টিজেন ও এন্টিবডি টেস্ট) কভিড-১৯ পরীক্ষা কার্যক্রম পাশাপাশি থাকলে তা কভিড-১৯ পরিস্থিতি মোকাবেলায় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। এখন সেরোসার্ভিল্যান্স নিয়ে কাজ করার সময় এসে গেছে। যার জন্য এন্টিবডি টেস্ট চালু করাও প্রয়োজন।

যে সব কারণে কভিড-১৯ পরীক্ষা কমে গেছে সেগুলো দূর করে পরীক্ষার সংখ্যা আরও বাড়ানো গেলে বিশ্বমহামারী নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি সংক্রমণ পরিস্থিতির একটি পরিষ্কার চিত্র পাওয়া যাবে বলে মনে করে কারিগরি পরামর্শক কমিটি। তারা বিজ্ঞপ্তিতে বলেন, কভিড-১৯ পরীক্ষা বাড়ানোর জন্য জনগণের মাঝে জনসচেতনতা বৃদ্ধি করার জন্য পদক্ষেপ নিতে হবে। নমুনা সংগ্রহের বুথের তালিকা প্রকাশ্য স্থানে প্রদর্শন (ডিসপ্লে) করা প্রয়োজন। এ ছাড়া নমুনা সংগ্রহের ও পরীক্ষার মান বৃদ্ধির জন্য সচেষ্ট হওয়া প্রয়োজন। পরীক্ষা দ্রুত করার জন্য অটো এক্সট্রাকশন এর ব্যবস্থা করা প্রয়োজন। সকল বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা ও দ্রুত সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের জন্য স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ল্যাবরেটরি ব্যবস্থাপনা কমিটি/দলের সাথে জাতীয় পরামর্শক কমিটির ল্যাবরেটরী সাবকমিটির একটি যৌথ সভার প্রস্তাব করছে। 

এছাড়াও অগ্রিম টাকা জমা দিয়ে ভ্যাকসিনের বুকিং দেয়া, জনগণের শিথিলতা দূর করতে সচেতনতামূলক কার্যক্রম জোরদার করা, সীমিত পরিসরে ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে দুর্গাপূজা উদযাপনসহ করোনা মোকাবিলায় বেশকিছু পরামর্শ দিয়েছে কভিড-১৯ বিষয়ক জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটি।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন