৫% মার্জিনে পেঁয়াজের এলসি খোলার পরামর্শ কেন্দ্রীয় ব্যাংকের

নিজস্ব প্রতিবেদক

বাজারে পেঁয়াজের দাম বাড়ছে হু হু করে। ভারত সরকার রফতানি বন্ধের ঘোষণা দেয়ায় গত তিনদিনে পেঁয়াজের দাম হয়েছে দ্বিগুণ। অবস্থায় বিশ্বের অন্যান্য দেশ থেকে পেঁয়াজ আমদানি বাড়ানোর উদ্যোগ নিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। এজন্য নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যটির আমদানি নীতি সহজ করে দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

গতকাল এক প্রজ্ঞাপনে কেন্দ্রীয় ব্যাংক বলেছে, ন্যূনতম মার্জিনে পেঁয়াজ আমদানির জন্য ব্যাংকগুলো ঋণপত্র খুলতে পারবে। সাধারণত বেসরকারি ঋণপত্রের জন্য শতাংশ অর্থ জমা রাখাকে ন্যূনতম মার্জিন ধরা হয়। সে হিসেবে পেঁয়াজ আমদানিকারকরা এখন থেকে শতাংশ অর্থ জমা রেখেই ঋণপত্র খুলতে পারবে।

জারীকৃত প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, পেঁয়াজসহ কয়েকটি নিত্যপ্রয়োজনীয় ভোগ্যপণ্যের আমদানি ঋণপত্র স্থাপনের ক্ষেত্রে মার্জিনের হার ন্যূনতম পর্যায়ে রাখার জন্য পরামর্শ প্রদান করা হয়, যা গত ৩০ মে পর্যন্ত বহাল ছিল। সম্প্রতি আন্তর্জাতিক বাজারে পেঁয়াজের মূল্যবৃদ্ধির কারণে স্থানীয় বাজারেও পেঁয়াজের দাম বাড়ার প্রবণতা লক্ষ করা যাচ্ছে।

প্রেক্ষাপটে বাজারে পেঁয়াজের সরবরাহ স্বাভাবিক মূল্য স্থিতিশীল রাখার জন্য পেঁয়াজ আমদানি ঋণপত্র স্থাপনের ক্ষেত্রে মার্জিনের হার ন্যূনতম পর্যায়ে রাখতে ব্যাংকগুলোকে পরামর্শ দেয়া হলো। নির্দেশনা এখন থেকেই কার্যকর হবে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত বহাল থাকবে।

এদিকে চাহিদা অনুযায়ী বাজারে পেঁয়াজের মজুদ, সরবরাহ মূল্য স্বাভাবিক রাখতে আট পদক্ষেপ নিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের পাশাপাশি জেলা প্রশাসন বাজার মনিটরিং জোরদার করেছে। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর সার্বিক পরিস্থিতি মনিটরিং করছে। এছাড়া পেঁয়াজ রফতানিতে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের অনুরোধ জানিয়ে ভারতীয় হাইকমিশনকে চিঠি দিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন