দিনটি যেমন (১৯.০৯.২০২০)

আজ ১৯ তারিখ। আজ জন্মগ্রহণ করায় আপনার সঠিক জন্মসংখ্যা (১৯ =১+৯=১০=১+০)= ১। আর ১ জন্মসংখ্যা ‘১’এর জাতক বা জাতিকা হিসেবে আপনি হয়েছেন অদম্য ইচ্ছাশক্তির অধিকারী এবং প্রবল আত্মবিশ্বাসী। আপনার মধ্যে এক ধরনের জবরদস্তি ভাব আছে যা অনেক ক্ষেত্রে পরিস্থিতির নিয়ন্ত্রণে এককভাবে ভূমিকা রাখতে সক্ষম। গতানুগতিক  নিয়ম-নীতি বা অন্যের উপদেশের প্রতি আপনার রয়েছে একধরনের অনীহা। পক্ষান্তরে, কঠিন অভিজ্ঞতার মাধ্যমে শিক্ষা অর্জনের প্রতিই আপনার আগ্রহ বা অনুরাগ বেশী। ক্ষেত্রবিশেষে দেখা যায়,  কোলাহলপূর্ণ সাংসারিক জীবনে বাস করেও, একাকিত্বের অনুভূতি থেকে আপনি বেরিয়ে আসতে পারেন না। হঠাৎ রেগে  যাওয়ার একটা প্রবণতা আপনার মধ্যে ক্রিয়াশীল থাকতে পারে। আজ জন্মগ্রহন করায় আপনার জন্য-

শুভ বর্ণ: সাদা, সোনালী, কমলা, বেগুনী, গোলাপী, সোনালী, নীল এবং সবুজ।

শুভ বার: রবি, সোম এবং মঙ্গল। 

শুভ রত্ন: রুবী, পোখরাজ এবং নীলা।  

গুরুত্বপূর্ণ তারিখ: ১, ২, ৪, ৭, ৯, ১০, ১১, ১৩, ১৬, ১৮, ১৯, ২০, ২২, ২৫, ২৭, ২৮, ২৯ ও ৩১।

গুরুত্বপূর্ণ সংখ্যা: ১, ২, ৪, ৭ ও ৯। 

উপযোগী পেশা: প্রশাসন, নির্দেশনা, পরিচালনা, নেতৃত্ব, চিকিৎসা, আই.টি, সংগঠন, পরিকল্পনা, আধ্যাত্মিক প্রশিক্ষণ, বাণিজ্য-উদ্যোগ, রাজকর্ম এবং মস্তিষ্কচালনা সংশ্লিষ্ট কাজকর্মে আপনার সফলতা আসবে তুলনামূলক সহজে। 

বিশেষ পরামর্শ: আপনার চারিপাশের অনেকের তুলনায় আপনি জীবনে অনেক বেশি সফলতা লাভ করবেন। তবে, সে সফলতা  আসতে একটু সময় লাগবে। ধৈর্য ধরে কাজ করে যান।    

এবার অন্যান্য জন্মসংখ্যার ব্যক্তিদের সাথে আপনিও জেনে নিন কেমন কাটতে পারে আজ আপনার দিনটি।                                      

(১) মধু একটি উৎকৃষ্ট পথ্য। বলা হয়ে থাকে, ৯৯টি রোগের উপশম ঘটে মধু সেবনে। তবে, মধু খুবই গরম একটি খাদ্য বা পথ্যপণ্য। তাৎক্ষণিকভাবেই দেহের তাপমাত্রা বাড়িয়ে দেয়। তাই, এই গরমে মধু না খেলেই ভালো হবে। তারপরেও যদি কোনো বিশেষ প্রয়োজন থাকে, খেতে পারেন। তবে একেবারে ভোর বেলায়। 

(২) পুদিনা পাতায় রোজমেরিক এসিড নামে একটি উপাদান  থাকে। যেটি শ্বাসনালী পরিষ্কার রাখার ব্যাপারে অত্যন্ত কার্যকরী ভূমিকা পালন করে। তাই, অ্যাজমাটিক সমস্যায় এটি বেশ উপকারী। এ জাতীয় সমস্যা থেকে আপনার থাকলে, মাঝে মাঝে পুদিনা পেতে খেতে পারেন সালাদে বা পিষে সরবৎ করে। তবে, ফ্রিজের ঠান্ডা পানিতে গুলে নয়।     

(৩) ধনেপাতা যকৃৎকে শক্তিশালী করে। তাই, লিভারের বা যকৃতের সমস্যায় নিয়মিত ধনেপাতা সেবন করতে পারেন। সালাদ কিম্বা চাটনি বানিয়ে। তবে, চাটনি বানিয়ে খেলে তাতে শুকনো মরিচ ব্যবহার করা ঠিক হবে না। এছাড়া, এই পথ্য সপ্তাহে দু/দিন দিনের বেশি খাওয়া উচিৎ হবে না। 

(৪) ‘ধূমপানে বিষপান’ বলে একটা কথা প্রচার করে বেড়ান অনেকেই। তবে, আমার দৃঢ় বিশ্বাস, ক্যান্সারের উৎকৃষ্ট ঔষধ পাওয়া যাবে, তামাক গাছের পাতায় বা শেকড়ে। যদিও, এ বিশ্বাস একান্তই আমার ব্যক্তিগত। তবু, সংশ্লিষ্ট বিষয়ে কোনো বিজ্ঞানী হলে, বিষয়টি নিয়ে একটু ভাবতে পারেন আপনি। 

(৫) ধনে পাতা রক্তের উপকারী কোলেস্টরেলের মাত্রা বাড়ায় এবং ক্ষতিকর কোলেস্টরল মাত্রা কমিয়ে দেয়। এছাড়া, রক্তের চিনির মাত্রা এবং ইনসুলিন নিঃসরণের মাত্রায় ভারসাম্য রক্ষা করতে সাহায্য করে। তাই, আপনার এই জাতীয় কোনো সমস্যা থাকলে ধনে পাতা সেবন করুন।

(৬) পেটের সমস্যা থেকে নিষ্কৃতি চাইলে, নিয়মিত কালিজিরা সেবন করুন। তবে, কালিজিরা ফুড সাপ্লিমিন্টারি। তাই খালি পেটে কালিজিরা খেলে, পেটটা ভরা ভরা বোধ হয়। অন্য খাবার খেতে অসুবিধা হয়। এজন্য, খাবার গ্রহনের  কিছুক্ষণ পরে কালিজিরা সেবন করা ভালো। তবে, একবারে আধা  বা এক চা চামচের বেশি না খাওয়াই উত্তম।

(৭) চর্মরোগের নানান ধরনের প্রকোপ এড়াতে সকালে খালি পেটে দু/তিনটি নিম পাতা ভালো মত ধুয়ে, খুব ভালো করে চিবিয়ে নেয়ার পর দুই গ্লাস পানি সেবন করে নিন; চর্মরোগের যন্ত্রনা থেকে মুক্তি পেয়ে যাবেন অচিরেই। এছাড়া, দুপুর বেলায় ভাতের সাথে করল্লা ভাজি খেতে পারেন। তবে, রাতে নয়। 

(৮) নিমপাতা ধুয়ে, খুব ভালো মত পিষে, মুলতানী মাটি এবং গোলাপপানি মিশিয়ে, সে পেস্টটি মুখে মাখুন। শুকিয়ে গেলে, হাল্কা গরম পানি দিয়ে পরিষ্কার করে ধুয়ে ফেলুন। মুখে ব্রন হওয়ার যন্ত্রণা থেকে মুক্তি মিলবে সহজেই। তবে, মাঝে মাঝেই এ প্যাকটি তৈরি করে ব্যবহার করতে হবে।  

(৯) আমলকী শরীরের অপ্রয়োজনীয় ফ্যাট ঝরিয়ে দিতে সাহায্য করে। এছাড়া, ব্রঙ্কাইটিস বা অ্যাজমা প্রতিরোধে বা নিরাময়ে অত্যন্ত কার্যকরী ভূমিকা রাখতে সক্ষম। এখন বাজারে আমলকি যথেষ্টই পাওয়া যাচ্ছে। সকাল-বিকাল নিয়মিত একটা করে আমলকী খান- দেহকে রোগ-বালাইমুক্ত এবং তরতাজা রাখার স্বার্থে। 

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন