জামাকনের তথ্য ব্যবহার করে প্রতারণায় গ্রেফতার ৮

নিজস্ব প্রতিবেদক

জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের (জামাকন) ওয়েবসাইটের তথ্য ব্যবহার করে ভুয়া নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে প্রতারণার অভিযোগে আটজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গত মঙ্গলবার বনানীর ব্লক-আই, রোড--এর ৬৩ নং বাড়ি থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়। এর আগে সেপ্টেম্বর জামাকনের উপপরিচালক এম রবিউল ইসলাম বাদী হয়ে তেজগাঁও থানায় আইসিটি আইনে মামলা করেন।

গ্রেফতারকৃত আটজন হলেন জাতীয় মানবাধিকার কাউন্সিলের চেয়ারম্যান . ফরিদ উদ্দিন ফরিদ, চিফ কো-অর্ডিনেটর মো. মাইন উদ্দিন শেখ, সেন্ট্রাল কো-অর্ডিনেটর মো. ফরজ আলী ওরফে রাসেল, নির্বাহী কর্মকর্তা মো. শামছুদ্দিন, পরিচালক (গণসংযোগ) মো. সাইফুল ইসলাম, চেয়ারম্যানের মেয়ে প্রশাসনিক কর্মকর্তা ফারজানা মেরি, চেয়ারম্যানের পিএস মেহেদী হাসান, কম্পিউটার অপারেটর রিফাত রহমান।

তেজগাঁও থানার এসআই মো. শরিফুল ইসলাম জানান, আসামিরা জাতীয় মানবাধিকার কাউন্সিল নাম দিয়ে হুবহু জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের ওয়েবসাইটের প্রায় সব তথ্য নিজেদের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করে। ওই ওয়েবসাইটে ১৪৭টি শূন্য পদে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে। পরে হাজার হাজার সাধারণ মানুষ চাকরির জন্য আবেদন করে। বিভিন্ন অংকের টাকা দেন।

তাদেরকে হেড অফিস, জেলা থানা প্রতিনিধি হিসেবে নিয়োগের প্রলোভন দেখিয়ে প্রতারিত করা হয়। আসামিদের বনানী অফিস থেকে ১০ হাজারের বেশি চাকরির আবেদন উদ্ধার করা হয়। প্রতিদিন ওই অফিসে চাকরির নামে ভাইভা নেয়া হতো। গতকাল তেজগাঁও থানায় করা মামলায় আসামিদের গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে পাঠিয়ে সাতদিনের রিমান্ড চাওয়া হয়।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন