বৈশ্বিক পেমেন্ট টেকনোলজি কোম্পানি ভিসা বাংলাদেশে তাদের ‘ফিউচার অব সিকিউরিটি রোডম্যাপ’
প্রণয়ন করেছে। ফলে পরবর্তী তিন বছরের জন্য প্রতিষ্ঠানটির লেনদেন ব্যবস্থায় এক অধিকতর নিরাপদ ও নির্ভরযোগ্য নকশা অঙ্কিত হওয়ার দাবি করা হয়েছে।
বিশ্বজুড়ে প্রতিনিয়ত মোবাইল এবং অন্যান্য ডিজিটাল ডিভাইসের মাধ্যমে আর্থিক লেনদেনের পরিমাণ ও নির্ভরশীলতা বাড়ছে। একই সঙ্গে প্রতিদিন যুক্ত হচ্ছে নতুন নতুন গ্রাহক। ভিসার সদ্য প্রণীত এ ভবিষ্যৎ নিরাপত্তা নকশা বাংলাদেশে এমন ক্রমবর্ধমান গ্রাহকদের পূর্ণ সহযোগিতা প্রদান এবং দেশের সামগ্রিক অর্থ ব্যবস্থাপনায় প্রযুক্তি নির্ভরশীলতা বাড়িয়ে একটি নিরাপদ ও বিশ্বাসযোগ্য অবস্থান তৈরিতে সময়োপযোগী ভূমিকা রাখবে বলে মনে করা হচ্ছে।
নতুন প্রণীত পরিকল্পনার আওতাধীন রয়েছে সব স্থানীয় ভিসা ক্রেডেনশিয়াল ব্যাংকের ইএমভিআর থ্রিডিএস প্রটোকল, যা মোবাইল লেনদেনের ক্ষেত্রে ইন-অ্যাপ টোকেনাইজেশন ও পেমেন্ট সিকিউরিটি প্রসঙ্গে ভিসা মার্চেন্টদের উৎসাহিত করে। টোকেনাইজেশনের ফলে মার্চেন্টরা আরো সুরক্ষিত উপায়ে গ্রাহকের পেমেন্ট ডাটার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পারবে। সামগ্রিক লেনদেন ব্যবস্থাকে নির্ভরযোগ্য করে তোলার জন্য এ রোডম্যাপের আওতায় এটিএম ইএমভি মাইগ্রেশন সুবিধা রয়েছে। একই সঙ্গে গ্রাহকদের হাতে অধিকতর নিয়ন্ত্রণ তুলে দিতে যুক্ত করা হয়েছে রিয়েল টাইম ফ্রড মনিটরিং টুল।
ভিসার এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলের হেড অব রিস্ক জো কানিংহ্যাম ভিসা ফিউচার অব সিকিউরিটি রোডম্যাপ প্রণয়ন বিষয়ে বলেন, বিশ্বব্যাপী মহামারীর প্রাদুর্ভাব অসংখ্য ব্যবসায়ী ও ভোক্তাকে ডিজিটাল বাণিজ্যের প্রতি উৎসাহী ও নির্ভরশীল করে তুলেছে। প্রযুক্তিভিত্তিক লেনদেনের সঙ্গে মানুষ যতই পরিচিত ও নির্ভরশীল হয়ে উঠছে, আমরা ততই প্রাধান্য দিচ্ছি একটি সহজতর, দ্রুততর ও নিরাপদ গ্রাহক সুবিধা সুনিশ্চিত করতে। আর সেটি অনলাইন পেমেন্ট বা কন্টাক্টলেস কার্ড যেভাবেই হোক না কেন। ভিসা গ্রাহকের অর্থ আদান-প্রদানের ক্ষেত্রে নিরাপত্তার প্রশ্নটিকে সবচেয়ে বেশি জোর দেয় এবং আমরা বিশ্বাস করি একটি পরিবর্তনশীল বিশ্বে গ্রাহকদের সঙ্গে একটি দীর্ঘস্থায়ী সম্পর্ক সৃষ্টিতে একই ধরনের ব্যবস্থা তৈরি করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
তিনি বলেন, বাংলাদেশে একটি আন্তর্জাতিক মানের অর্থনিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা তৈরিতে ভিসা প্রণীত ফিউচার অব সিকিউরিটি রোডম্যাপ এক কার্যকরী ভূমিকা পালন করবে। আমরা আমাদের সব অংশীদারকে ধন্যবাদ জানাই, আমাদের এক ও অভিন্ন লক্ষ্যমাত্রা বাংলাদেশকে একটি উন্নততর ডিজিটাল পেমেন্ট ব্যবস্থার ওপর নির্ভরশীল হতে সাহায্য করবে।
বৈশ্বিকভাবে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স বা এআইয়ের সাহায্যে ভিসা ২৫ বিলিয়ন ডলার সমপরিমাণের বার্ষিক জালিয়াতি প্রতিরোধ করেছে, যা নিঃসন্দেহে ক্রেতা ও বিক্রেতা উভয় পক্ষের জন্যই একটি আস্থার জায়গা নিশ্চিত করেছে। একাধিক স্তরে মনুষ্য বুদ্ধিমত্তা ও প্রযুক্তিনির্ভর নিরাপত্তা ব্যবস্থার সংমিশ্রণ ঘটিয়ে ভিসা বহু বছর ধরে ০.১ শতাংশেরও কম জালিয়াতির হার ধরে রেখেছে।
