২০১৯-২০ মৌসুম

৫৭ লাখ টন চিনি রফতানি করেছে ভারত

বণিক বার্তা ডেস্ক

আগামী অক্টোবর ভারতে চিনির নতুন ২০২০-২১ বিপণন মৌসুম শুরু হতে যাচ্ছে। সেই হিসাবে বিদায়ী ২০১৯-২০ মৌসুমের একেবারে শেষ ভাগ চলছে। চলতি মৌসুমের শেষ মাস অবধি দেশটির চিনি রফতানি খাতে গতিশীলতা দেখা গেছে। সময় ভারত থেকে আন্তর্জাতিক বাজারে খাদ্যপণ্যটির রফতানি ৫৭ লাখ টনে উন্নীত হয়েছে। মূলত বাড়তি চাহিদার কারণে মৌসুমের শেষ ভাগে এসে ভারত থেকে চিনি রফতানি চাঙ্গা হয়ে উঠেছে। খবর বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড বিজনেস লাইন।

ভারতের কেন্দ্রীয় খাদ্য মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব সুবোধ কুমার সিংহ জানান, চলতি মৌসুমে সব মিলিয়ে ৬০ লাখ টন চিনি রফতানির লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছিল। তবে এখন অবধি ৫৭ লাখ টন চিনি রফতানির চুক্তি সম্পন্ন হয়েছে। এর মধ্যে ৫৫ লাখ টনের মতো চিনি রফতানি গন্তব্যের উদ্দেশ্যে মিলগুলো থেকে পাঠানো হয়েছে। পরিস্থিতিতে আমরা আশা করছি, মৌসুম শেষের আগেই আরো পাঁচ-ছয় লাখ টন চিনি রফতানি করা সম্ভব হবে।

সুবোধ কুমার সিংহ আরো বলেন, করোনা মহামারীর কারণে ভারতের চিনি রফতানি গতি হারিয়েছিল। তবে মৌসুমের শেষ ভাগে এসে পণ্যটির রফতানি খাত ফের চাঙ্গা হয়ে উঠেছে। মূলত আন্তর্জাতিক বাজারে ভারত থেকে রফতানি হওয়া চিনির চাহিদা দিন দিন বাড়ছে। এটা ভারতের চিনি রফতানিতে গতি ফিরিয়ে এনেছে। সরকার, মিল মালিক, রফতানিকারক পরিবহন খাতের সঙ্গে সম্পৃক্ত সবার আন্তরিক ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টার ফলাফল হিসেবে মৌসুমের শেষ ভাগে এসে ভারত থেকে চিনি রফতানিতে প্রবৃদ্ধির দেখা মিলেছে।

খাতসংশ্লিষ্টরা জানান, ভারত সরকার মিল মালিকরা চিনি রফতানি বাড়াতে আপ্রাণ চেষ্টা করেছেন। রফতানি বাড়াতে শিল্পে হাজার ২৬৮ কোটি রুপি ভর্তুকি দেয়া হয়েছে। তবে ব্রাজিল থাইল্যান্ডের তুলনায় দাম কিছুটা কম থাকায় বিভিন্ন দেশের আমদানিকারকরা চিনি আমদানিতে ভারতের প্রতি আকৃষ্ট হয়েছেন। একই সময়ে মুদ্রাবাজারে ভারতীয় রুপির তুলনামূলক দুর্বল অবস্থান চিনি রফতানি বাড়াতে ভূমিকা রেখেছে। মূলত এসব কারণে এবারের মৌসুমে এখন পর্যন্ত ভারত থেকে ৫৭ লাখ টন চিনি রফতানির চুক্তি করা সম্ভব হয়েছে। এখন মৌসুমের বাকি সময়ে আরো চিনি রফতানির আশা করছেন ভারতীয় রফতানিকারকরা।

আসন্ন ২০২০-২১ মৌসুমেও চিনি রফতানিতে প্রবৃদ্ধি ধরে রাখার আশা করছে ভারত। বিষয়ে সুবোধ কুমার সিংহ জানান, অক্টোবর শুরু হতে যাওয়া পরবর্তী মৌসুমে সব মিরিয়ে কোটি ২৫ লাখ টন চিনি উৎপাদনের আশা করা হচ্ছে। এর মধ্য দিয়ে এবারের মৌসুমের তুলনায় আসন্ন মৌসুমে ভারতে পণ্যটির উৎপাদন বাড়তে পারে ৬০-৬৫ লাখ টন। বাড়তি উৎপাদন হলে মৌসুমজুড়ে বেশি বেশি চিনি রফতানি হবে।

এদিকে মার্কিন কৃষি বিভাগের (ইউএসডিএ) ফরেন এগ্রিকালচারাল সার্ভিসের সাম্প্রতিক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চলতি বছর ভারত থেকে সব মিলিয়ে ৫০ লাখ টন চিনি রফতানির সম্ভাবনা রয়েছে। গত বছরও দেশটি থেকে একই পরিমাণ চিনি রফতানি হয়েছে।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন