সেপ্টেম্বরের ৯ ও ১০ তারিখে পরপর ৪১ জনের মৃত্যু হয়েছিল করোনাভাইরাসে। গত সোমবার পর্যন্ত এটাই ছিল একদিনে সর্বোচ্চ মৃত্যু। ১১ থেকে ১৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত দৈনিক মৃত্যু কমতে কমতে ২৬-এ নেমে গিয়েছিল সোমবার, যা ছিল আগের ৪৩ দিনের মধ্যে সবচেয়ে কম। একদিন পরই সেপ্টেম্বরে ভাইরাসটিতে মৃত্যুর সব পরিসংখ্যান পাল্টে গেছে। চলতি মাসে করোনায় সবচেয়ে বেশি মৃত্যু হয়েছে শেষ ২৪ ঘণ্টায়। মারা গেছেন ৪৩ জন।
শেষ ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে করোনাভাইরাসের ১৪ হাজার ৫০টি নমুনা পরীক্ষার কথা জানায় বাংলাদেশের স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এতে নতুন করে সংক্রমণ ধরা পড়েছে ১ হাজার ৭২৪ জনের শরীরে। নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার ছিল ১২ দশমিক ২৭ শতাংশ। এ নিয়ে দেশে মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়াল ৩ লাখ ৪১ হাজার ৫৬। আর মৃত্যু হলো ৪ হাজার ৮০২ জনের। বিপরীতে সুস্থ হয়েছে ২ লাখ ৪৫ হাজার ৫৯৪ জন, যার মধ্যে ২ হাজার ৪৩৯ জন সুস্থ হয়েছে শেষ ২৪ ঘণ্টায়।
গতকাল যে ৪৩ জনের মৃত্যু হয়েছে তাদের মধ্যে পুরুষ ৩৬ জন, নারী সাতজন। সবাই হাসপাতালে মারা গেছেন। এর মধ্যে ৩২ জনেরই বয়স ছিল ৬০ বছরের বেশি। বাকিদের মধ্যে সাতজনের বয়স ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে, তিনজনের ৪১ থেকে ৫০ এবং একজনের বয়স ছিল ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে। মৃতদের ২৭ জন ঢাকা বিভাগের, তিনজন চট্টগ্রাম বিভাগের, দুজন করে রাজশাহী ও রংপুর বিভাগের, পাঁচজন খুলনা বিভাগের এবং চারজন সিলেট বিভাগের বাসিন্দা ছিলেন।
দেশে করোনাভাইরাসে প্রথম রোগী শনাক্তের ১০ দিন পর ১৮ মার্চ প্রথম মৃত্যুর তথ্য প্রকাশ করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। ৭ সেপ্টেম্বর সেই সংখ্যা সাড়ে চার হাজার ছাড়িয়ে যায়। এর মধ্যে ৩০ জুন একদিনে মারা যান ৬৪ জন। এটিই বাংলাদেশে একদিনে ভাইরাসটিতে সর্বোচ্চ মৃত্যু।
