শুক্রবার মুম্বাইয়ের অঙ্কিত সেথিয়া নির্ঘুম রাত কাটিয়েছেন। তার রাতের ঘুম হারাম হয়ে গিয়েছিল মুম্বাইয়ে নিজের ৫০ শয্যার হাসপাতালের জন্য দরকারি অক্সিজেন সংগ্রহ করতে গিয়ে। তার হাসপাতালে সে সময় মাত্র চার ট্যাংক তরল অক্সিজেন ছিল। অথচ হাসপাতালের ৫০টি শয্যার মধ্যে ৪৪টিতে কভিড আক্রান্ত রোগী চিকিৎসা নিচ্ছে। যে ডিলারদের কাছে থেকে মি. সেথিয়া অক্সিজেন সংগ্রহ করেন তাদের স্টক আউট অবস্থা। রাত ২টার দিকে ১৮ মাইল দূরের এক হাসপাতাল থেকে পাওয়া যায় অক্সিজেনের ২০টি বড় সিলিন্ডার। পরবর্তী ১২ ঘণ্টার জন্য নিশ্চিন্ত হন সেথিয়া। রোববার তিনি বিবিসিকে বলেন, ‘আমরা প্রতিদিন যুদ্ধ করছি। যেকোনোভাবে কিছুটা অক্সিজেন সংগ্রহের যুদ্ধ।’
সারা ভারতে ৫০০টি ফ্যাক্টরি আছে যারা বাতাস থেকে অক্সিজেন সংগ্রহ করে হাসপাতাল ও কলকারখানায় সরবরাহ করে। সম্প্রতি ভারতে লকডাউন তুলে নেয়ার পর থেকে কভিড রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। ফলে হাসপাতালে চাহিদা বাড়ছে অক্সিজেনের। এপ্রিলে প্রতিদিন ভারতের হাসপাতালগুলোতে অক্সিজেনের চাহিদা ছিল ৭৫০ টন আর এখন দৈনিক চাহিদা বেড়ে হয়েছে ২৭০০ টন। অক্সিজেন সাপ্লায়ার মি ভাট বলেন, সরকার শিগগিরই অক্সিজেনের সংকট কাটাতে ব্যবস্থা না নিলে ভারতের অবস্থা ইতালিতে মহামারীর সংকটময় সময়ের মতো হয়ে উঠবে।
বিবিসি