এবারো দেশে চিনি আমদানি কমতে পারে

বণিক বার্তা ডেস্ক

বাংলাদেশের ইতিহাসে ২০১৮ সালে সবচেয়ে বেশি চিনি আমদানির রেকর্ড হয়েছিল। তবে গত বছর দেশে খাদ্যপণ্যটির আমদানি রেকর্ড অবস্থান থেকে কমে এসেছে। ধারাবাহিকতায় এবারো দেশের বাজারে চিনি আমদানি আগের বছরের তুলনায় আরো শতাংশের বেশি কমতে পারে। মার্কিন কৃষি বিভাগের (ইউএসডিএ) ফরেন এগ্রিকালচারাল সার্ভিসের প্রতিবেদনের বরাতে তথ্য জানিয়েছে ইনডেক্স মুন্ডি।

বাংলাদেশ বিশ্বের চতুর্থ শীর্ষ চিনি আমদানিকারক দেশ। গত এক দশকে (২০১১-২০) দেশে চিনি আমদানির চিত্র পর্যালোচনা করে দেখা যায়, দশকের শুরুতে দেশের বাজারে ১৫ লাখ ৩৭ হাজার টন চিনি আমদানি হয়েছিল। দশকের মধ্যে এটাই খাদ্যপণ্যটির সর্বনিম্ন আমদানির রেকর্ড। এর পর থেকে ধারাবাহিক উত্থান-পতনের ভেতর দিয়ে গেছে চিনির আমদানি বাজার।

২০১৪ সালে দেশের বাজারে প্রথমবারের মতো চিনি আমদানির পরিমাণ ২০ লাখ টন ছাড়িয়ে যায়। ওই বছর সব মিলিয়ে ২০ লাখ ৮৫ হাজার টন চিনি আমদানি হয়েছিল, যা আগের বছরের তুলনায় ৩৪ দশমিক ৭৮ শতাংশ বেশি। ২০১৬ সালে খাদ্যপণ্যটির আমদানির পরিমাণ আরো ১৫ দশমিক ১৯ শতাংশ বেড়ে ২২ লাখ ৮৩ হাজার টনে উন্নীত হয়।

২০১৮ সালে দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি চিনি আমদানির রেকর্ড হয়েছিল। ওই বছর খাদ্যপণ্যটির সম্মিলিত আমদানির পরিমাণ দাঁড়ায় ২৬ লাখ ৫৪ হাজার টন, যা আগের বছরের তুলনায় ২৬ দশমিক ৫৬ শতাংশ বেশি। তবে গত বছর দেশের বাজারে সব মিলিয়ে ২৪ লাখ ২৯ হাজার টন চিনি আমদানি হয়েছে, যা আগের বছরের তুলনায় দশমিক ৪৮ শতাংশ কম।

চলতি বছরও দেশের বাজারে খাদ্যপণ্যটির আমদানি আগের বছরের তুলনায় আরো দশমিক ১৯ শতাংশ কমে ২২ লাখ ৩০ হাজার টনে নেমে আসতে পারে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে ইউএসডিএ। সেই হিসাবে এক বছরের ব্যবধানে দেশে চিনি আমদানি কমতে পারে প্রায় দুই লাখ টন।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন