কভিডে মৃতদের স্মরণে ‘ওয়ার্ল্ড মেমোরিয়াল’

বণিক বার্তা ডেস্ক

বিশ্বজুড়ে কভিড-১৯- এখন পর্যন্ত কোটি ৯০ লাখ মানুষ আক্রান্ত হয়েছে এবং এর মধ্যে লাখ ২৪ হাজারের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া মহামারীতে নানাভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে কোটি কোটি মানুষ। তাদের কীভাবে স্মরণ করা যায়, তা নিয়ে ডিজাইনাররা এরই মধ্যে কাজ শুরু করেছেন। এমন একটি স্মৃতিসৌধের পরিকল্পনা করা হচ্ছে, যেটার মাধ্যমে ইতিহাসের অনন্য মহামারীতে আক্রান্ত ক্ষতিগ্রস্ত সবাইকে সম্মান জানানো হবে।

উরুগুয়ের রাজধানী মন্টিভিডিও উপকূলে বসে স্মৃতিসৌধটি দর্শনার্থীদের দীর্ঘ পথ ধরে এমন একটি জায়গায় নিয়ে যাবে, যেখানে শহুরে জীবনের কোলাহল দর্শনীয় স্থানগুলো ম্লান হয়ে যায়। ইস্পাতের তৈরি বৃত্তাকার প্লাটফর্মের মাঝখানে ৪০ মিটার ব্যাসের একটি খোলা জায়গা রয়েছে। এই খোলা জায়গা দিয়ে নিচের খোলা সমুদ্র দৃশ্যমান হবে।

ওয়ার্ল্ড মেমোরিয়াল নামের এই স্মৃতিসৌধটি কেবল কভিড-১৯ বা অন্যান্য মহামারীকে উদ্দেশ্য করে নয়, বরং এটা প্রকৃতির সঙ্গে মানুষের সম্পর্কের একটি বিস্তৃত ধারণাকে প্রকাশ করবে। স্মৃতিসৌধের নকশা করা মন্টিভিডিওভিত্তিক সংস্থা গোমেজ প্ল্যাটারোর পরিচালক প্রধান স্থপতি মার্টিন গোমেজ প্ল্যাটারো বলেছেন, আমরা চাই দর্শনার্থীরা এখানে প্রকৃতি মানুষের সম্পর্ককে উপলব্ধি করতে পারবে। কারণে স্মৃতিসৌধের কেন্দ্রবিন্দু কোনো মানুষ নয়, বরং একটা বিশাল শূন্যতা রাখা হয়েছে। আমরা যেন কখনই ভুলে না যাই যে আমাদের বাস্তুতন্ত্রের কেন্দ্র প্রকৃতি এবং আমরা প্রকৃতির অধীন। 

যদিও কভিড-১৯-এর ক্ষেত্রে চ্যালেঞ্জটি সম্পূর্ণ প্রকৃতির নয়। যুক্তরাষ্ট্রে কভিড-১৯-এর সংক্রমণের শুরুতেই সরকার যদি আরো দ্রুত এবং আরো দক্ষতার সঙ্গে কাজ করত তবে অনেক মানুষের মৃত্যু এড়ানো যেত। আর রোগটি সম্ভবত প্রকৃতি থেকেই উদ্ভব হতে পারে, কারণ মানুষ প্রকৃতি ধ্বংস করছে।

নতুন স্মৃতিসৌধের প্লাটফর্মে একে অন্যের থেকে সামাজিক দূরত্ব (ছয় ফুট) নিশ্চিত করে একসঙ্গে প্রায় ৩০০ জন দাঁড়াতে পারবে। এটা মহামারীতে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষ প্রকৃতি সম্পর্কে চিন্তার একটা সুযোগ করে দেবে। গোমেজ প্ল্যাটারো বলেন, স্তম্ভটির বৃত্তাকার জ্যামিতিটি আমাদের ঐক্য সম্প্রদায়ের ধারণাকে প্রতিফলিত করে। এবং এটা সমুদ্রের শক্তির একটি ধারণা এবং বাতাসের সংস্পর্শ এনে দেবে। এই ফর্মটি কেবল প্লাটফর্মে প্রবেশ করার ক্র্যাক দ্বারা বাধাপ্রাপ্ত হয়। এটা এমন একটি বিরতি বা বাধা, যা বিশ্বজুড়ে একটি অচলাবস্থা সৃষ্টি করে।

অবতল প্লাটফর্মটি এমনভাবে নকশা করা হয়েছে, যেন পরিবেশে খুবই সামান্য প্রভাব পড়ে। আগামী অক্টোবর থেকে স্মৃতিস্তম্ভটির মূল কাজ শুরু হবে বলে আশা করা হচ্ছে। আর ওয়ার্ল্ড মেমোরিয়ালের কাজ সম্পন্ন করতে প্রায় ছয় মাস সময় লাগবে।

ফার্স্ট কোম্পানি

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন