মহামারীতে বেড়েছে প্রকৃতি পর্যবেক্ষণ উপকৃত হচ্ছেন প্রকৃতিবিদরা

বণিক বার্তা ডেস্ক

মার্চের শুরুতে যুক্তরাষ্ট্রে নভেল করোনাভাইরাস মহামারী আঘাত হানার পর যুক্তরাষ্ট্রে নিত্যদিনের কাজকর্ম বন্ধ হয়ে যায়। তবে অনেক মানুষ অন্তহীন জুমকলে বসে থাকার পরিবর্তে বিভিন্ন কাজে যুক্ত হয়েছিলেন। অবসরের সময়ে অনেক মানুষ বাড়ির বাইরে গিয়ে তাদের চারপাশের পরিবেশ পর্যবেক্ষণে লেগে যান। আর এটা প্রকৃতি গবেষণায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে।

যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক বিজ্ঞানের ওয়েবসাইটগুলোতে অন্যান্য বছরের তুলনায় বছর ডাটার পরিমাণ ব্যাপক আকারে বৃদ্ধি পেয়েছে। ধরনের সাইটগুলোতে নিজের অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে নাগরিকরা তাদের চারপাশের বিভিন্ন ধরনের ছবি তথ্য যুক্ত করার সুযোগ পায়। কর্নেল ল্যাব অব অরনিথোলজির ইবার্ড ওয়েবসাইটে গত বছরের তুলনায় বছর ২৯ শতাংশ ডাটা বৃদ্ধি পেয়েছে। বিভিন্ন ধরনের পাখির বাসা তুলে ধরা নেস্টওয়াচ নামের আরেকটি কর্নেল ল্যাব ওয়েবসাইটে এবার ৪১ শতাংশ ডাটা বৃদ্ধি পেয়েছে।

সক্রিয় গবেষণা প্রকল্পগুলোর সঙ্গে নাগরিক বিজ্ঞানীদের সংযুক্তকারী ওয়েবসাইট সায়স্টার্টার গত বছরের এপ্রিলের তুলনায় বছরের এপ্রিলে প্রকল্পগুলোতে অবদানের হার ৪৮০ শতাংশ বৃদ্ধির রেকর্ড করেছে। এটার প্রতিষ্ঠাতা ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক এক্সপ্লোরার ডার্লিন ক্যাভালিয়ার বছরের শেষ নাগাদ এক লাখের বেশি নিবন্ধিত ব্যবহারকারী যুক্ত হওয়ার প্রত্যাশা করছেন। ক্যালিফোর্নিয়া একাডেমি অব সায়েন্সেস ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক সোসাইটির যৌথ উদ্যোগে করা আইন্যাচারালিস্টে কয়েক সপ্তাহের মধ্যে রেকর্ড ৫০ মিলিয়ন পর্যবেক্ষণ যুক্ত হওয়ার আশা করা হচ্ছে।

নর্থ ক্যারোলিনা স্টেট ইউনিভার্সিটির পাবলিক সায়েন্স বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ক্যারেন কুপার বলেছেন, একটা প্রচলিত ধারণা রয়েছে যে গবেষণা কেবল শিল্পে বা একাডেমিক পর্যায়ে ঘটে। কিন্তু বাস্তবতা হলো যুক্তরাষ্ট্রের প্রকৃতিপ্রেমী স্বেচ্ছাসেবীরা সমুদ্রের কচ্ছপ ট্র্যাকিং থেকে শুরু করে রাতের আকাশের আলোকসজ্জা পর্যবেক্ষণ পর্যন্ত কাজগুলো ব্যবহারিক গবেষণায় অনেক বেশি অবদান রাখে। স্বেচ্ছাসেবীদের অবদান বছর খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ কভিড-১৯ মহামারীর কারণে অনেক বিজ্ঞানী তাদের ফিল্ডওয়ার্ক স্থগিত বা বাতিল করতে বাধ্য হয়েছে।

প্রতি শুক্রবার জিম ওয়াগনার একদল লোকের সঙ্গে উত্তর ভার্জিনিয়ার প্রাকৃতিক অঞ্চলজুড়ে ফড়িং, প্রজাপতি, ড্যামসেলফ্লাইস অন্যান্য প্রজাতি সন্ধানে বের হন। তাদের রেকর্ড কীটপতঙ্গগুলো সম্পর্কে মূল্যবান পর্যবেক্ষণ সরবরাহ করে। প্রায় ৩০ বছর আগে ওককোয়ান বে মেইডুউডস সার্ভেইস নামে পরিচিত গ্রুপটি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন ওয়াগনার।

ওয়াশিংটন ডিসির জর্জটাউন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রজাপতি গবেষক এলিস লারসন বলেন, স্বেচ্ছাসেবীদের তথ্য ব্যবহার করে একটি প্রজাপতি কীভাবে রুপালি দাগযুক্ত হয়ে ওঠে এবং পুনরুৎপাদন করে সে সম্পর্কে অনেক বেশি জানা যায়। মডেলগুলো প্রজাপতির জনসংখ্যার প্রবণতা এবং জলবায়ু পরিবর্তন বা দূষণের মতো প্রভাবের কারণে তারা কীভাবে পরিবর্তিত হতে পারে, তা তুলে ধরতে পারে। ওই ব্যক্তিরা বিষয়টির প্রতি অনুরাগী প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন