সম্প্রতি যুক্তরাজ্যে জারি হয়েছে ‘রুল অব সিক্স’। অর্থাৎ কোনো জায়গায় ছয়জনের বেশি জমায়েত হতে পারবেন না। এ বিষয়ে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনকে জিজ্ঞেস করা হয়েছিল, ক্রিসমাসে বড় আকারে পার্টির আয়োজন করা যাবে কিনা। বরিস জানিয়েছেন, সে বিষয়ে মন্তব্য করার সময় এখনো আসেনি। তবে এ নিয়ম চালু থাকলে যুক্তরাজ্যে ক্রিসমাসের চেহারা কেমন হতে পারে তা নিয়ে চলছে জল্পনা-কল্পনা।
নতুন নিয়মে ভিন্ন পরিবারের মোট ছয় সদস্যের বেশি একত্রিত হতে পারবেন না। এক্ষেত্রে যাদের পরিবারের সদস্য সংখ্যা পাঁচ, তারা নিকটাত্মীয় কাউকে ক্রিসমাস ডিনারে দাওয়াত দিতে পারবেন বলে মনে হয় না। আর ডিনারে বেশি মানুষ না হলে টার্কির বিক্রি এ বছর ক্রিসমাসে ২০ শতাংশ কমে যাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
ক্রিসমাসের প্রার্থনা, মিডনাইট ম্যাস, ক্রিসমাস ডে ম্যাস অনুষ্ঠিত হবে, তবে সমবেত ধর্মীয় সংগীত ছাড়া।
ইংল্যান্ডে ইনডোর ও আউটডোর বিভিন্ন বিনোদন অনুষ্ঠান উপভোগের অনুমতি দেয়া হলেও থিয়েটারগুলো এখনো খোলেনি। তাই ক্রিসমাসে থিয়েটারের প্রোগ্রাম দেখা কতটা হবে তা নিয়ে ব্রিটিশরা সন্দিহান।
উৎসবের অপরিহার্য উদযাপন থাকে শপিংয়ে। এবার দেখা যাবে ক্রিসমাস শপিংয়ের ভিন্ন চেহারা। দলবেঁধে দোকানে ঘোরার দৃশ্য দেখা যাবে না। কেনাকাটা মূলত হবে অনলাইনেই। রিটেইল বিশেষজ্ঞরা বলছেন এবার দেখা যাবে ডিজিটাল ক্রিসমাস। অ্যামাজনের যে অর্ডারের ‘সুনামি’ দেখা যাবে সেটা প্রায় নিশ্চিত।
বিবিসি