ভ্যাকসিন নিয়ে মিথ্যা আশ্বাস ক্ষতিকর

বণিক বার্তা ডেস্ক

কভিড-১৯ মহামারীর অবসান ঘটাতে ভ্যাকসিনগুলো অব্যর্থ সমাধানের মতো কাজ নাও করতে পারে। এজন্য বিশ্বনেতাদের এমন মিথ্যা আশা দেয়া বন্ধ করতে হবে বলে সতর্ক করেছেন ব্রিটিশ সরকারের শীর্ষ একজন পরামর্শদাতা। গত রোববার লন্ডনের ওয়েলকাম ট্রাস্টের পরিচালক স্যার জেরেমি ফারার অবজারভারে লিখেছেন, প্রথম ভ্যাকসিনগুলো কেবল আংশিকভাবে কার্যকর হতে পারে। প্রত্যাশা বৃদ্ধি যেকোনো ভ্যাকসিন কর্মসূচিতে জনসাধারণের আস্থাকে ক্ষতিগ্রস্ত করবে।

জরুরি পরিস্থিতিতে সরকারের বৈজ্ঞানিক পরামর্শদাতা দলের সদস্য ফারার ভ্যাকসিন জাতীয়তাবাদকে উদ্দেশ করে বলেছেন, ধনী দেশগুলোর সংগ্রহের চেয়ে দরকারি জায়গায় পর্যাপ্ত ভ্যাকসিন বরাদ্দ দেয়া দরকার। যুক্তরাজ্যের ভ্যাকসিনগুলো যাদের সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন তাদের কাছে প্রথমে যাওয়া উচিত। ক্রমবর্ধমান হারে কভিড-১৯ পজিটিভ পরীক্ষা করা তরুণ প্রাপ্তবয়স্কদের থেকে ঝুঁকিপূর্ণ লোকদের মধ্যে ভাইরাস ছড়িয়ে পড়া প্রতিরোধে ব্যবস্থা নেয়ার আহ্বান জানান তিনি।

ফারার লিখেছেন, মিথ্যা বা ভুল প্রত্যাশা এড়াতে আমাদের যথাসাধ্য চেষ্টা করতে হবে। প্রথম ভ্যাকসিনটি সিলভার বুলেট নাও হতে পারে। এগুলো সব বয়সীর জন্য পুরোপুরি কার্যকর বা সব স্বাস্থ্য ব্যবস্থার উপযুক্ত নাও হতে পারে। এটা কেবল আমাদের কয়েক মাসের জন্য স্বাভাবিক অবস্থা দিতে পারে।

বিশ্বজুড়ে ১৭০টিরও বেশি গবেষণা দল কভিড-১৯-এর ভ্যাকসিন আবিষ্কারের চেষ্টা করছে। এর মধ্যে নয়টি সংস্থা তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়ালে পৌঁছেছে। ফরার বলেন, আমি আশাবাদী আমরা শিগগিরই শেষ পর্যায়ের ট্রায়ালে থাকা প্রথম ভ্যাকসিনগুলোর ফলাফল দেখতে পাব। ভ্যাকসিন বিকাশের গতি স্কেল লক্ষণীয়, তবে এটা নিয়ে মিথ্যা আশ্বাস এড়ানো গুরুত্বপূর্ণ।

গার্ডিয়ান

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন