অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারে অনেক দেশের চেয়েই এগিয়ে বাংলাদেশ

ব্যক্তি খাতের সহযোগিতায় উন্নত অর্থনীতি গঠনের পথ প্রশস্ত করতে প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প বিনিয়োগ উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন বেক্সিমকো গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা সালমান ফজলুর রহমান এমপি। কভিড-১৯ মহামারীর প্রেক্ষাপটে বৈশ্বিক স্থানীয় অর্থনীতি এবং এর পুনরুদ্ধারসহ সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে সম্প্রতি কথা বলেছেন বণিক বার্তার সঙ্গে। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন বদরুল আলম

কভিড-১৯-পরবর্তী পরিস্থিতিতে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার কত দ্রুত সম্ভব হবে বলে আপনি মনে করেন?

কত দ্রুত পারব তা বলা মুশকিল। তবে অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার যে শুরু হয়ে গেছে, সেটা আমরা দেখতেই পাচ্ছি। আমাদের অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার কত দ্রুত সম্ভব হবে, সেটা নির্ভর করে বৈশ্বিক অর্থনীতির ঘুরে দাঁড়ানোর গতিপ্রকৃতির ওপর। কারণ আমাদের অর্থনীতির কিছুটা বৈশ্বিক বাজারনির্ভর। তবে এখন পর্যন্ত অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারের পথে অনেক দেশের চেয়ে এগিয়ে রয়েছি আমরা। এখানে আরেকটা বিষয় উল্লেখ করা প্রয়োজন, সবাই বলত যে একটা ভ্যাকসিন উদ্ভাবনে তিন থেকে চার বছর লাগে। কিন্তু এখন দেখা যাচ্ছে যে শিগগিরই ভ্যাকসিন চলে আসবে। ভ্যাকসিন নিয়ে অনেকগুলো কাজ হচ্ছে, সবাই খুব আশাবাদী বছরের মধ্যে বা আগামী বছরের শুরুর দিকে ভ্যাকসিন পাওয়া যাবে। ভ্যাকসিন যদি চলে আসে, তাহলে সবকিছু স্বাভাবিক হতে বেশি সময় লাগা উচিত নয়।

বাংলাদেশে কভিড-১৯ প্রেক্ষাপটে বিনিয়োগ আকর্ষণের ক্ষেত্রে স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনা কতটুকু গুরুত্বপূর্ণ?

এক্ষেত্রে স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। আমরা দেখছি খাতে অনেকগুলো কাজও করা হচ্ছে। স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনায় আমাদের যে দুর্বলতাগুলো ছিল কভিডের কারণে সেগুলো দৃশ্যমান হয়েছে। এতে সুবিধা হয়েছে যে আমরা যা যা সমস্যা ছিল সেগুলো অ্যাড্রেস করতে পারছি, সমাধানের কাজ হচ্ছে। স্বাস্থ্য খাতে কাঠামোগত যে সংস্কার প্রয়োজন প্রধানমন্ত্রী সেগুলোই করছেন। চিকিৎসক স্বাস্থ্যকর্মী নিয়োগ হয়েছে। এছাড়া জেলা উপজেলা হাসপাতালগুলোকে আরো স্বয়ংসম্পূর্ণ করা হচ্ছে। আমি মনে করি আমাদের অবকাঠামো খুব ভালো। আমাদের অনেকগুলো কমিউনিটি ক্লিনিক আছে, সবগুলোই শক্তিশালী করা হচ্ছে। আবার টেলিমেডিসিনের প্রসঙ্গে বলা যায়, কভিডের কারণে আমাদের বাংলাদেশ যে ডিজিটাল আমরা যে ডিজিটালাইজড ছিলাম, তার সুবিধা নিতে পারছি। বিনিয়োগকারীরা যখন আসবেন তখন স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনার বিষয়গুলো দেখতে চাইবেনই।

কভিডের আগে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বৈশ্বিক পর্যায়ে প্রশংসা পেয়েছে, আবার দেশের অভ্যন্তরে প্রবৃদ্ধি নিয়ে সমালোচনাও আছে। বিষয়টিকে কীভাবে দেখছেন?

এটা খুবই দুঃখজনক। যখন আমাদের অর্থনীতি ভালো করছিল, তখন কিছুসংখ্যক মানুষ বিশ্বাস করতে পারেননি। আমাদের পরিসংখ্যান ঠিক না, নির্ভরশীল না, পদ্ধতি ঠিক নাএমনই নানা রকম কথা বলতেন তারা। তারপর যখন ওয়ার্ল্ড ব্যাংক, এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক বলল যে পরিসংখ্যান ঠিক আছে তখন তাদের সুর পরিবর্তন হয়ে গেল। প্রথমে আমাদের , , শতাংশ যে প্রবৃদ্ধি হয়েছে, সেটা তারা ভুল বলে অস্বীকার করত। যখন দেখল ওয়ার্ল্ড ব্যাংক, এডিবি, ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরাম পরিসংখ্যান সঠিক বলছে, তখন তারা সুর পরিবর্তন করে বলতে শুরু করল প্রবৃদ্ধি কর্মসংস্থানহীন। যারা এসব বলছে অতীতে তাদের ইতিহাসটা আমরা দেখেছি, আমরা জানি। তাদের চেষ্টাটা কী তা আমরা এক-এগারোর সময় দেখেছি। এই গ্রুপই এক-এগারোতে অনির্বাচিত সরকারকে সমর্থন করেছে। তাদের কথা হলো আমরা কোনোভাবে ক্ষমতায় চলে আসব, ক্ষমতায় থাকব। তাদের অতীত চরিত্রটা আমাদের কাছে একদম পরিষ্কার। আমি মনে করি এটা খুবই দুঃখজনক। দেশকে তারা ভালোবাসে না, তারা নিজের স্বার্থ অর্জনের জন্য ধরনের কথা বলে। এখন নতুন করে বলা হচ্ছে বিদেশী মুদ্রার রিজার্ভ নিয়ে। এটা একটা গৌরবের বিষয় যে রিজার্ভ ৩৯ বিলিয়ন অতিক্রম করেছে, কিন্তু ওনাদের এটা সহ্য হয় না। আমাদের অর্থনীতির কোনো ভালো ওনাদের সহ্য হয় না। সমালোচনা তাদের করতেই হবে, তা যেভাবেই হোক। আমার কথা হলো সমালোচনা করার অধিকার সবার আছে, কিন্তু আপনি গঠনমূলক সমালোচনা করেন। তাতে কারোর আপত্তি নেই। কিন্তু শুধু সমালোচনার জন্যই সমালোচনা ঠিক না।

পরিসংখ্যানের গুণগত মানোন্নয়নের বিষয়ে ওয়ার্ল্ড ব্যাংকও বলেছে। এক্ষেত্রে আমাদের করণীয় কী?

আমি বলছি না যে আমাদের পরিসংখ্যান শতভাগ মানসম্পন্ন, এটা কোনো দেশেরই নেই। মান উন্নয়নের সুযোগ সব সময়ই আছে। কিন্তু আপনি যদি বলেন যে পরিসংখ্যান পুরোটাই ভুল, সেটা গ্রহণযোগ্য না। উন্নতির সুযোগ যে আছে সেটা কেউ অস্বীকার করবে না।

করোনাভাইরাস মহামারীর মধ্যেও বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ রেকর্ড হাজার ৯০০ কোটি ডলারে পৌঁছেছে। ধারা টেকসই করতে কী ধরনের উদ্যোগ প্রয়োজন বলে মনে করেন?

টেকসই হওয়ার ক্ষেত্রে দুই-তিনটি বিষয় আছে যেগুলো লক্ষণীয়। প্রবাসীরা ফিরে আসছেন বলে টাকা পাঠাচ্ছেন আর রিজার্ভ বৃদ্ধিতে শুধু এই বিষয়টিই শতভাগ অবদান রাখছেএমনটি নয়। মৌলিক কিছু বিষয়ে পর্যবেক্ষণে নিতে হবে। যেমন আগে যুক্তরাষ্ট্র বা ইউরোপ থেকে যে রেমিট্যান্সটা আসত সেটা মধ্যপ্রাচ্য অঞ্চলের তুলনায় কম। এখন এই চিত্রটি পাল্টে গেছে। এর অর্থ কী? যুক্তরাষ্ট্র-ইউরোপে বসবাসকারী প্রবাসীরা তো ফিরে আসছেন না। যারা শ্রমিক হিসেবে প্রবাসে গিয়েছেন তারা ফিরে আসছেন। এখানে যে বিষয়টি নিশ্চিতভাবেই হয়েছে, তা হলো দেশে থাকা স্বজনদের সাহায্য করার জন্য প্রবাসীরা রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন। রিজার্ভের প্রবাহ টেকসই করার জন্য যেটা করতে হবে সেটা আমরা এরই মধ্যে করেছি। শুধু শতাংশ প্রণোদনা দেয়া হয়েছে তা নয়। আমাদের রেমিট্যান্সের বেশির ভাগটা হুন্ডির মাধ্যমে আসত, অবৈধ পথে। যদিও এটা এখন অনেকটাই বন্ধ হয়েছে। প্রক্রিয়া বন্ধের দুটো পথ আছে। একটা পথ হলো আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া। তবে শুধু পদক্ষেপে হবে না। কারণেই সরকার সিদ্ধান্ত নিলেন শতাংশ প্রণোদনার, যাতে সঠিক পথে প্রবাসীরা টাকা পাঠান। সবকিছু মিলিয়ে আমি খুব আশাবাদী যে রেমিট্যান্স প্রবাহ টেকসই হবে। যে কারণে আমাদের দেশ থেকে লোক গিয়ে চাকরি করত সে কারণ তো রয়েছেই। করোনার কারণে শ্রমবাজারে সাময়িক সংকট তৈরি হয়েছে, আমাদের অনেক শ্রমিক বিভিন্ন দেশ থেকে ফিরে আসছে। তবে সমস্যা দীর্ঘস্থায়ী নয়। করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে শ্রমবাজারের সংকট কেটে যাবে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশ করোনা ভাইরাসের ভ্যাকসিন তৈরির চেষ্টা করছে। একবার যদি ভাইরাসের প্রতিষেধক ভ্যাকসিন পাওয়া যায়, তাহলে সংকট থাকবে না এবং বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভে রেকর্ডের বর্তমান ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখা সম্ভব হবে।

সম্প্রতি শ্রম কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় একটি জাতীয় কর্মসংস্থান নীতিমালা তৈরি করেছে। এতে দেখা যাচ্ছে, যুবকদের বেকারত্ব বেড়ে ১০ দশমিক শতাংশ হয়েছে। পরিস্থিতিতে ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ডকে আমরা কতটুকু কাজে লাগতে পারছি বলে আপনি মনে করেন?

ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ড যথাযথভাবে কাজে লাগাতে সরকার বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করেছিল। করোনাভাইরাসের কারণে হয়তো সেসব কার্যক্রম কিছুটা ব্যাহত হয়েছে। আমাদের দেশ এখন ডিজিটাল হয়েছে। গ্রামের মানুষ ফোর-জি ইন্টারনেট সেবা ব্যবহারের সুযোগ পাচ্ছে। গ্রামে বসেই ইন্টারনেটের মাধ্যমে অর্থ আয়ের সুযোগ তৈরি হয়েছে তরুণদের জন্য। এখন যারা কর্মসংস্থানের জন্য বিদেশে যায় তাদের যথাযথ প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দক্ষ করে তুলতে হবে। কিছু দেশকে টার্গেট করে তাদের দেশে শ্রমিক পাঠাতে যেসব কারিগরি দক্ষতা প্রয়োজন তা আগে থেকেই শ্রমিকদের প্রশিক্ষণের মাধ্যমে গড়ে তুলতে হবে। এখানে জাপানের কথা বলতে পারি। জাপানে মোট জনসংখ্যার ৮০ শতাংশের বেশি বয়স্ক মানুষ, যে কারণে সেখানে শ্রমিকের সংকট রয়েছে। একই সঙ্গে এই বয়স্ক লোকেদের সেবা প্রদানে লোকের সংকট দেখা দিয়েছে। বর্তমানে দেশে যে প্রশিক্ষণ প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলো রয়েছে, তারা যদি জাপানি ভাষার পাশাপাশি জাপানি সংস্কৃতি বিষয়ে শ্রমিকদের দক্ষ করে তুলতে পারে। বয়স্কদের সেবা প্রদানের জন্য শ্রমশক্তিকে প্রশিক্ষণ দিয়ে গড়ে তুলতে পারে তাহলে বিশ্ববাজারে আমাদের শ্রমিকদের চাহিদা তৈরি হবে। সরকার এই লক্ষ্য বাস্তবায়নে কিছু উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। তবে আমি বলব একটি সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা করে বিশ্ববাজারে চাহিদা অনুযায়ী আমাদের শ্রমিকদের দক্ষ করে তুলতে হবে। এছাড়া আমাদের দেশে ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল তৈরির কাজ চলমান রয়েছে। এগুলোর কাজ শেষ হলে এখানে অনেক নতুন কর্মসংস্থনের সুযোগ তৈরি হবে।

কৃষি আমাদের দেশের অর্থনীতির মূল চালিকাশক্তি। বিশ্বের মধ্যে বাংলাদেশ অন্যতম জনবহুল দেশ হলেও খাদ্য উৎপাদনের দিক দিয়ে আমরা স্বনির্ভর। এমনকি করোনাকালেও আমাদের খাদ্যের কোনো প্রকার ঘাটতি দেখা দেয়নি। দেশের ধারাবাহিক উন্নয়ন অব্যাহত রাখতে হলে কৃষি খাতকে যথাযথ গুরুত্ব দিতে হবে। খাতকে উন্নয়নে নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে আধুনিকায়ন প্রয়োজন। সবক্ষেত্রে আধুনিক উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার   প্রয়োগের ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে। ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ড কাজ লাগাতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যেসব পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন এগুলো দৃশ্যমান হলে আগামী ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত দেশ হিসেবে বিশ্বের বুকে প্রতিষ্ঠা লাভ করবে বাংলাদেশ।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন প্রবৃদ্ধি নিয়ে উচ্ছ্বসিত না হয়ে সামাজিক নিরাপত্তার মতো বিষয়গুলোতে বেশি গুরুত্ব দিতে। বিষয়টি কীভাবে দেখছেন?

যারা বলছেন তারা সব সময় তাত্ত্বিক কথা বলেন, তাত্ত্বিক কথায় সব কাজ হয় না। বাস্তবভিত্তিক ভাবতে হবে। করোনা আগমনের শুরুর দিকে সরকার একের পর এক পদক্ষেপ প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা দেন। সময় তারা বলেছিলেন, যে প্রণোদনা সরকারের পক্ষ থেকে ঘোষণা করা হয়েছে সেটা যথেষ্ট নয়। এমনকি সরকারের সক্ষমতা নিয়েও নানা প্রশ্ন তোলেন তারা। প্রতিটা পদক্ষেপ ধরে ধরে সমালোচনা করেন। এত অল্প প্রণোদনা প্যাকেজ মানুষের উপকারে আসবে না বলেও জানান তারা। তবে বর্তমান চিত্র কিন্তু ভিন্ন, এক্সপোর্টাররা বলছে সঠিক সময়ে সরকারের প্রণোদনা পাওয়ার কারণে শ্রমিক ধরে রাখা সম্ভব হয়েছে। এমনকি করোনার মধ্যেও প্রতি মাসে বৈদেশিক বাজার বিলিয়ন ডলার অতিক্রম করছে। সরকারের ভালো কাজ তাদের চোখে পড়ে না। তাদের একমাত্র লক্ষ্য হচ্ছে যেকোনোভাবে দেশে অস্থিতিশীল পরিবেশ তৈরি করে তাদের লোকদের ক্ষমতায় বসানো। আগেই বলেছি ভিত্তিহীন সমালোচনা না করে তাদের উচিত হবে গঠনমূলক সমালোচনা করা। 

পাট শিল্প উন্নয়নে সরকার নতুন যে উদ্যোগ গ্রহণ করেছে এটাকে কীভাবে দেখছেন?

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পাটমন্ত্রী সমন্বয়ে পাটশিল্প উন্নয়নে যে পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন, এটা অবশ্যই সহসী সিদ্ধান্ত বলে আমি মনে করি। পাটকলগুলোর সবচেয়ে বড় সমস্যা ছিল অতিরিক্ত শ্রমিক। সংবাদপত্রে এমন খবর এসেছে যে দিনের পর দিন কাজ না করেও অনেক শ্রমিক বেতন নিয়েছে। এটা এরই মধ্যে বন্ধ হয়েছে। অনেক বিনিয়োগকারী বিনা শর্তে জুট মিলে বিনিয়োগ করতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে। এরই মধ্যে অনেকে আমাদের সঙ্গে যোগাযোগও করেছেন। পাট কলের পাশে অনেক অব্যবহূত জমি পড়ে আছে। আমাদের সতর্ক থাকতে হবে বিনিযোগকারীরা মিল স্থাপনের জন্য বলছেন, নাকি মিলের পাশে অব্যবহূত জমি নেয়ার চেষ্টা করছেন। সরকার শুধু মিল স্থাপনের জন্য জায়গা দেবে। অব্যবহূত জমি নিয়ে সরকারের অন্য পরিকল্পনা রয়েছে।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন