জেড ক্যাটাগরির ২২ কোম্পানি

ব্যবসায়িক পরিকল্পনা জানতে চেয়েছে বিএসইসি

নিজস্ব প্রতিবেদক

জেড ক্যাটাগরির কোম্পানিগুলোর ব্যবসায়িক অবস্থা উন্নতির জন্য উদ্যোগ নিয়েছে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) সম্প্রতি উদ্দেশ্যে ১২টি কোম্পানিকে জেড ক্যাটাগরি থেকে উন্নীত করে বি ক্যাটাগরিতে নেয়া হয়েছে। গতকাল জেড ক্যাটাগরিতে থাকা আরো ২২ কোম্পানির কাছে ব্যবসায়িক পরিকল্পনা জানতে চেয়েছে কমিশন। কোম্পানিগুলোর পরিকল্পনা জানার পর বিষয়ে পরবর্তী করণীয় নির্ধারণ করা হবে।

কমিশনের পক্ষ থেকে জেড ক্যাটাগরির যেসব কোম্পানির কাছে ব্যবসায়িক পরিকল্পনা জানতে চাওয়া হয়েছে, তার মধ্যে রয়েছে শ্যামপুর সুগার মিলস, জিলবাংলা সুগার মিলস, আল-হাজ্জ্ব টেক্সটাইল মিলস, আরামিট সিমেন্ট, বাংলাদেশ সার্ভিসেস, বিচ হ্যাচারি, বাংলাদেশ ইন্ডাস্ট্রিয়াল ফিন্যান্স কোম্পানি, ডেল্টা স্পিনার্স, দুলামিয়া কটন স্পিনিং মিলস, ফারইস্ট ফিন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট, জেনারেশন নেক্সট ফ্যাশনস, আইসিবি ইসলামিক ব্যাংক, ইমাম বাটন ইন্ডাস্ট্রিজ, কেয়া কসমেটিকস, পদ্মা ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্স, প্রাইম ফিন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট, সাভার রিফ্র্যাক্টরীজ, শাইনপুকুর সিরামিকস, সানলাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি, তাল্লু স্পিনিং মিলস, ইউনিয়ন ক্যাপিটাল উসমানিয়া গ্লাস শিট ফ্যাক্টরি লিমিটেড।

বিএসইসির উপপরিচালক মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম স্বাক্ষরিত চিঠিতে কোম্পানিগুলোকে লাভজনকভাবে কার্যক্রম পরিচালনার জন্য ব্যবস্থাপনা আর্থিক পারফরম্যান্স উন্নতির জন্য সুনির্দিষ্ট বিস্তারিত প্রস্তাবসহ যথাযথ কর্মপরিকল্পনা কিংবা ব্যবসায়িক পরিকল্পনা জমা দিতে বলা হয়েছে। একই সঙ্গে তাদের জেড ক্যাটাগরি থেকে উত্তরণের কৌশলগত পরিকল্পনা জমা দিতে বলা হয়েছে। এছাড়াও কোম্পানিগুলোর সর্বশেষ বার্ষিক প্রতিবেদন বা নিরীক্ষিত আর্থিক বিবরণী, বর্তমান আর্থিক অবস্থার বিবরণী, বিদ্যমান সব সম্পদের বিবরণী, উদ্যোক্তা পরিচালকদের বিদ্যমান শেয়ারধারণ বিবরণী, প্রাথমিক গণপ্রস্তাব (আইপিও) রিপিট পাবলিক অফারের (আরপিও) প্রসপেক্টাস, রাইট অফার ডকুমেন্টস, কোম্পানির কার্যক্রম বন্ধের কারণ পুনরায় কার্যক্রম শুরুর ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা, পুঁজিবাজার থেকে নেয়া তহবিলের পরিমাণ অর্থ ব্যয়সংক্রান্ত বিবরণী, ব্যাংকঋণ শ্রেণীকৃত ঋণের বিবরণী, স্টকে থাকা পণ্যের বিবরণী, মূসক আয়কর রিটার্নের বিস্তারিত তথ্যসহ কোম্পানিগুলোর পরিচালনা পর্ষদের সব সদস্য, ব্যবস্থাপনা পরিচালক, কোম্পানি সচিব, প্রধান অর্থ কর্মকর্তাকে কমিশনে উপস্থিত হতে বলা হয়েছে।

বিষয়ে জানতে চাইলে বিএসইসির কমিশনার অধ্যাপক . শেখ শামসুদ্দিন আহমেদ বণিক বার্তাকে বলেন, একটি কোম্পানি তো জেড ক্যাটাগরিতে বছরের পর বছর ধরে থাকতে পারে না। আমরা চাইছি জেড ক্যাটাগরির কোম্পানিগুলো যাতে ব্যবসায়িকভাবে সফল হতে পারে। এজন্য আমরা ২২টি কোম্পানির সঙ্গে তাদের সার্বিক ব্যবসায়িক আর্থিক অবস্থার বিষয়ে আলোচনা করার উদ্যোগ নিয়েছি। পাশাপাশি বিদ্যমান অবস্থা থেকে উত্তরণে তাদের পরিকল্পনাগুলোও জানতে চাই। কোম্পানিগুলোর সঙ্গে আলোচনার পর পরবর্তী করণীয় নির্ধারণ করা হবে। এর আগে সম্প্রতি আমরা ১২টি কোম্পানির ক্যাটাগরি উন্নীত করেছি। আমরা নিবিড়ভাবে কোম্পানিগুলোর কার্যক্রম মনিটরিং করব। যাতে তারা সঠিকভাবে ব্যবসায়িক পুনর্গঠন পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে পারে। আমি বিনিয়োগকারীদের উদ্দেশ্যে বলতে চাই, বর্তমানে জেড ক্যাটাগরির কোম্পানি নিয়ে বাজারে অনেক গুজব ভেসে বেড়াচ্ছে। আপনারা এগুলোতে কান দেবেন না। বিনিয়োগকারীদের স্বার্থরক্ষা করাই আমাদের দায়িত্ব।

প্রসঙ্গত, বছরের পর বছর ধরে জেড ক্যাটাগরিতে থাকা কোম্পানিগুলো লোকসান গুনছে। লোকসানের কারণে কোম্পানিগুলো বিনিয়োগকারীদের লভ্যাংশ দিচ্ছে না। অনেক কোম্পানি নিয়মিতভাবে বার্ষিক সাধারণ সভাও (এজিএম) করছে না। আর কোম্পানিগুলোর দুরবস্থার ফল ভোগ করছেন সাধারণ বিনিয়োগকারীরা।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন