চ্যাডউইক বোসম্যানের ভাস্কর্য নির্মাণে হাজারো মানুষের স্বাক্ষর

ফিচার ডেস্ক

মার্ভেল সিনেমাটিক ইউনিভার্সের ব্ল্যাক প্যান্থার চরিত্রটি সারা পৃথিবীতেই তুমুল জনপ্রিয়। পর্দায় চরিত্রটিকে জীবন্ত করে তোলা চ্যাডউইক বোসম্যান অবেলায় ক্যান্সারের কাছে পরাজিত হয়েছেন। তবে তার কর্মের প্রতি সম্মান জানিয়ে তার নিজ শহর এন্ডারসনের জনগণ কনফেডারেট মেমোরিয়াল ভাস্কর্যটি সরিয়ে সেখানে প্রিয় নায়কের ভাস্কর্য স্থাপনের দাবি জানিয়েছে। এর পক্ষে এরই মধ্যে ১৫ হাজারের বেশি মানুষ পিটিশনে স্বাক্ষর করেছে।

যুক্তরাষ্ট্রের সাউথ ক্যারোলিনা রাজ্যের এন্ডারসন শহরের জাদুঘরের অধীনে মেমোরিয়ালটি থাকার কোনো প্রয়োজন নেই বলে মনে করেন পিটিশনে স্বাক্ষরকারী নাগরিকরা। ১৫ হাজার পেরিয়ে এখন নতুন লক্ষ্য ২৫ হাজার স্বাক্ষর জোগাড় করা। পিটিশনে উল্লেখ করা হয়েছে, ‘‘আমি মনে করি, সিনেমা ইন্ডাস্ট্রিকে পরিবর্তন করার ক্ষমতা রাখা এন্ডারসনের স্মৃতি রক্ষায় স্থানীয় জনগণের এগিয়ে আসা উচিত। হাজারো কৃষ্ণাঙ্গ তরুণের জন্য সুযোগের নতুন দুয়ার দেখিয়ে দেয়া একজন সত্যিকার নেতা হিসেবে কাজ করেছেন ব্ল্যাক প্যান্থার মার্শাল ছবিতে। এখন আমাদের উচিত তিনি যা করে গেছেন তার প্রতি সম্মান জানানো। বিষয়ে কোনো রাজনৈতিক বিবাদ করা উচিত হবে না।’’

তবে রাজ্যের ঐতিহ্য সংরক্ষণ আইন-এর ধারা অনুযায়ী যেকোনো ভাস্কর্য সরিয়ে ফেলার জন্য সাউথ ক্যারোলিনা সিনেটের অনুমতি প্রয়োজন। সেজন্য পিটিশনটি এন্ডারসন শহরের মেয়র টেরেন্স রবার্টস, রাজ্যের গভর্নর হেনরি ম্যাকমাস্টার এবং স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের কাছেও পাঠানো হয়েছে কনফেডারেট ভাস্কর্যটি প্রতিস্থাপনের ব্যাপারে চিন্তা করার জন্য। পিটিশনটি এমন সময় সামনে এসেছে, যখন পুরো যুক্তরাষ্ট্রে কনফেডারেট নেতাদের বর্ণবাদী আচরণের ইতিহাসের বিষয়টি নিয়ে সমালোচনা আন্দোলন চলছে।

যুক্তরাষ্ট্রের চলচ্চিত্র সমালোচক ওয়েন গ্লেইবারম্যান বলেন, বোসম্যান জানতেন কীভাবে কোনো চরিত্রকে ফুটিয়ে ধারণ করতে হয়, তাকে থ্রিডি আকারে চিন্তা করতে হয় এবং কীভাবে তা বাস্তবে ফুটিয়ে তুলতে হয়। সেটাই তাকে চলচ্চিত্রের একজন প্রকৃত নায়ক বানিয়েছে। তবে ব্ল্যাক প্যান্থারে সব ছাপিয়ে তার সাংস্কৃতিক হিরো হয়ে ওঠার বিষয়টি বেশি স্পষ্ট হয়ে উঠেছে।

উল্লেখ্য, পারিবারিক সূত্রমতে, চ্যাডউইক বোসম্যান ২০১৬ সালে প্রথম জানতে পারেন তিনি কোলোন ক্যান্সারে আক্রান্ত এবং সেটা তৃতীয় পর্যায়ে রয়েছে। সর্বশেষ এটি চতুর্থ পর্যায়ে এসে পৌঁছায়। যদিও তিনি প্রকাশ্যে বিষয়টি একদমই জানাননি। নীরবেই চলচ্চিত্র আর চিকিৎসা দুটোই একসঙ্গে করে গেছেন।

 

সূত্র: ভ্যারাইটি

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন