নতুন করে সংক্রমণ বৃদ্ধির প্রেক্ষাপটে উত্তর ইংল্যান্ডের বেশকিছু এলাকায় নভেল করোনাভাইরাস সংক্রান্ত বিধিনিষেধের মেয়াদ বাড়িয়েছে ব্রিটিশ সরকার। এছাড়া গ্লাসগোয় জারি করা হয়েছে নতুন পদক্ষেপ। মূলত বৃহত্তর ম্যাসচেস্টারের বোল্টন ও ট্রাফোর্ডসহ এ অঞ্চলের আরো বেশকিছু অংশের বিধিনিষেধ তুলে নেয়ার কথা ছিল। কিন্তু কভিড-১৯ সংক্রমণের হার বৃদ্ধি পাওয়ায় স্থানীয় রাজনীতিবিদরা বিধিনিষেধ বহাল রাখার পক্ষে মত দেন। খবর এএফপি।
স্বাস্থ্য সচিব ম্যাট হ্যানকক বলেন, আমরা দেশজুড়ে মহামারী সংক্রমণ পরিস্থিতি নিয়মিত পর্যবেক্ষণ করছি। এতে দেখা গেছে, বোল্টনে এক সপ্তাহের মধ্যে সংক্রমণের হার তিন গুণেরও বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে। অন্যদিকে ট্রাফোর্ডে সর্বশেষ রিভিউর পর থেকে সংক্রমণ বেড়েছে দ্বিগুণ। আমরা আগে থেকেই স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছিলাম, সংক্রমণ প্রতিরোধে প্রয়োজনীয় স্থলে দ্রুত সিদ্ধান্ত নেয়ার পাশাপাশি তা বাস্তবায়ন করা হবে।
এদিকে পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী, উত্তর ও উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় ইংল্যান্ডের অন্য এলাকায় স্থানীয় সময় বুধবার বিধিনিষেধ তুলে নেয়া হয়েছে। এর মধ্যে অন্যতম হলো বার্নলে, হাইন্ডবার্ন এবং কার্কলিজ ও বার্ডফোর্ডের কিছু অংশ।
এদিকে স্কটল্যান্ড সরকার জানিয়েছে, গ্লাসগো ও আশপাশের দুটি অঞ্চলের অধিবাসীদের অন্যদের বাড়িতে যেতে নিষেধ করা হয়েছে। মঙ্গলবার ওই এলাকায় ৬৬ জন কভিড-১৯ আক্রান্ত শনাক্ত হওয়ার পর এ নির্দেশ দেয়া হয়। নতুন এ পদক্ষেপ জারি থাকবে দুই সপ্তাহ পর্যন্ত।
এ বিষয়ে ফার্স্ট মিনিস্টার নিকোলা স্টারজন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম টুইটারে লেখেন, আমি জানি না যে এ পদক্ষেপ কতটুকু কঠিন হবে। আমি গ্লাসগোর বাসিন্দা। ফলে আমাকেও এ নিয়ম মেনে চলতে হবে। কিন্তু মূল কথা হলো, এ পদক্ষেপ খুবই জরুরি।
গত মার্চের শেষদিকে কভিড-১৯ সংক্রমণের পরিপ্রেক্ষিতে ব্রিটেনে দেশব্যাপী বিধিনিষেধ জারি করা হয়। এরপর থেকে এখন পর্যন্ত দেশটিতে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে ৪১ হাজার ৫০০ জনের বেশি, যা ইউরোপের মধ্যে সর্বোচ্চ। পরবর্তী সময়ে ধীরে ধীরে অধিকাংশ স্থানের লকডাউন তুলে নেয়া হলেও কিছু এলাকায় তা বহাল ছিল। এছাড়া নতুন করে সংক্রমণের দেখা দেয়ায় তা মোকাবেলার জন্যও বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়। এদিকে স্কটল্যান্ড জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার থেকে গ্রিস থেকে আগতদের ১৪ দিন আইসোলেশনে থাকতে হবে।
