গভীরে দৃষ্টি

রংপুর বিভাগের দারিদ্র্য পরিস্থিতি ও কভিড-১৯ মহামারী

ড. মো. মোরশেদ হোসেন

ডিসেম্বর ২০১৯- সর্বপ্রথম চীনে কভিড-১৯ চিহ্নিত হয়। কভিড-১৯ মহামারী প্রাথমিকভাবে স্বাস্থ্যের ওপর হুমকিস্বরূপ হলেও বর্তমানে তা সামাজিক, অর্থনৈতিক মানবিক বিপর্যয়ের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এটি বর্তমানে ব্যক্তিগত, সামাজিক, অর্থনৈতিক, জাতীয় আন্তর্জাতিক সর্বক্ষেত্রে বহুমুখী সংকটের সৃষ্টি করেছে। কভিড-১৯-এর ফলে ২০২০ সালে বিশ্বে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি কমে যাবে বলে অর্থনীতিবিদদের আশঙ্কা। তাই আসন্ন মন্দার আশঙ্কায় কম্পমান বিশ্ব অর্থনীতি। অর্থনৈতিক সংকোচনের কারণে বিশ্বে কোটি কোটি মানুষের দরিদ্র হওয়ার আশঙ্কাও এখন বাস্তবতা। ২০৩০ সালে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জনের যে প্রচেষ্টা বৈশ্বিকভাবে অর্জন হচ্ছিল, তা অনেকটাই হোঁচট খাবে। টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার নং লক্ষ্য দারিদ্র্য ক্ষুধা দূরীকরণের প্রচেষ্টা অর্জনে পিছিয়ে পড়বে বিশ্ব।

বাংলাদেশেও কভিড-১৯ তার ভয়াল থাবা বসিয়েছে। বাংলাদেশে মার্চ ২০২০- সর্বপ্রথম কভিড-১৯ চিহ্নিত হয়। আজ পর্যন্ত (২২ আগস্ট ২০২০) পরিসংখ্যান অনুযায়ী, এতে বাংলাদেশে মোট মৃতের সংখ্যা হাজার ৯০৭ জন এবং মোট শনাক্তের সংখ্যা পরীক্ষা অনুযায়ী লাখ ৯২ হাজার ৬২৫ জন। কভিড-১৯ বাংলাদেশের অর্থনীতির প্রায় সব ক্ষেত্রে অর্থনৈতিক কার্যক্রম বাধাগ্রস্ত করেছে। এতে কোনো সন্দেহ নেই যে দুই মাসের সাধারণ ছুটি, দেশে আন্তর্জাতিকভাবে লকডাউন, পরিবহন-যোগাযোগ বিচ্ছিন্নতা, উৎপাদন বন্ধ, ব্যবসা-বাণিজ্যে মন্দায় বিশ্বের প্রতিটি দেশ অর্থনৈতিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বাংলাদেশের অর্থনীতিতে জিডিপি পরিমাপের ১৫টি খাতের মধ্যে প্রায় সব খাতই যেমন কৃষি, মত্স্য, শিল্প (ম্যানুফ্যাকচারিং), নির্মাণ, পাইকারি খুচরা বাণিজ্য, হোটেল রেস্তোরাঁ, পরিবহন, সংরক্ষণ যোগাযোগ, রিয়াল এস্টেট, ভাড়া অন্যান্য ব্যবসা, শিক্ষা, স্বাস্থ্য সামাজিক সেবা, কমিউনিটি, সামাজিক ব্যক্তিগত সেবা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বাংলাদেশে ২০১৯-২০ অর্থবছরে জিডিপি প্রবৃদ্ধির হার দশমিক শতাংশ নির্ধারণ করা হলেও কভিড-১৯ মহামারীর কারণে তা দশমিক ২৪ শতাংশ অর্জিত হয়েছে। অর্থাৎ স্থির মূল্যে জিডিপির আকার দাঁড়িয়েছে ২৭ লাখ ৯৬ হাজার ৩৭৮ কোটি টাকা। যদিও বিশ্বব্যাংকের প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল, ২০১৯-২০ সালে বাংলাদেশে জিডিপির প্রবৃদ্ধি হবে   থেকে শতাংশ এবং আইএমএফ প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল, জিডিপির প্রবৃদ্ধি হবে দশমিক শতাংশ।

কভিড-১৯ মহামারীর কারণে বাংলাদেশে দারিদ্র্যের হার বেড়েছে। কারণ কভিড-১৯-এর ট্রান্সমিশন মেকানিজম অনুযায়ী, কভিড-১৯-এর প্রভাবে অর্থনৈতিক কার্যক্রম হ্রাস পেয়েছে। ফলে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি হ্রাস পেয়েছে। এতে খানার গড় ব্যয় হ্রাস পেয়েছে, খানার গড় ব্যয় হ্রাসের ওপর বণ্টনগত প্রভাব পড়েছে। ফলে দারিদ্র্য সংঘটন হয়েছে। সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি) এক গবেষণায় দেখিয়েছে, কভিড-১৯ মহামারীর কারণে বাংলাদেশে ২০১৬ সালের যে উচ্চ দারিদ্র্যের হার ছিল ২৪ দশমিক শতাংশ, তা ২০২০ সালে ৩৫ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। একই সঙ্গে জিনি সহগ দিয়ে পরিমাপকৃত আয়বৈষম্য ২০১৬ সালে ছিল শূন্য দশমিক ৪৮, তা ২০২০ সালে শূন্য দশমিক ৫২ হয়েছে এবং ভোগবৈষম্য ২০১৬ সালে ছিল শূন্য দশমিক ৩২, যা ২০২০ সালে শূন্য দশমিক ৩৫ হয়েছে। বলা হচ্ছে, প্রায় ১৬ দশমিক মিলিয়ন মানুষ কভিড-১৯-এর কারণে দারিদ্র্যসীমার নিচে চলে এসেছে, এর মধ্যে পাঁচ মিলিয়ন মানুষ চরম দারিদ্র্যসীমার নিচে এসেছে। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর হিসাব মতে, ২০১৮-১৯ অর্থবছরের শেষে উচ্চ দারিদ্র্যের হার ছিল ২০ দশমিক শতাংশ। সে হিসাবে দেখা যায়, কভিড-১৯-এর কারণে প্রায় ১৫ শতাংশ মানুষ নতুন করে দারিদ্র্যের শিকার হয়েছে। সানেমের এক গবেষণায় দেখা গেছে, থেকে ১২ মিলিয়ন মানুষ কভিড-১৯-এর কারণে তাদের চাকরি হারিয়েছে। ব্র্যাকের গবেষণায় দেখা যায়, কভিড-১৯-এর কারণে ৭৪ শতাংশ পরিবারের আয় কমে গেছে এবং দশমিক মিলিয়নের বেশি অভিবাসী শ্রমিক  চাকরি হারিয়েছেন এবং দেশে ফিরে এসেছেন।

কভিড-১৯-এর কারণে রংপুর বিভাগে আজ পর্যন্ত (২২ আগস্ট ২০২০) পরিসংখ্যান অনুযায়ী, মোট মৃতের সংখ্যা ১৫৪ জন এবং মোট শনাক্তের সংখ্যা পরীক্ষা অনুযায়ী হাজার ২৪৮ জন। কভিড-১৯-এর প্রভাবে রংপুর বিভাগে সৃষ্টি হচ্ছে অনেক নতুন দরিদ্র। আন্তর্জাতিক জাতীয় পর্যায়ে যখন দারিদ্র্য বেড়েছে, তখন বাংলাদেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চল রংপুর বিভাগে দারিদ্র্য পরিস্থিতি আরো শোচনীয়। কারণ রংপুর বিভাগে দারিদ্র্যের হার আগে থেকে অনেক বেশি। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর খানা আয়-ব্যয় জরিপ২০১৬ অনুসারে জাতীয় পর্যায়ে দারিদ্র্যের হার যেখানে উচ্চ দারিদ্র্য রেখা অনুসারে ২৪ দশমিক শতাংশ, সেখানে সব বিভাগের মধ্যে রংপুর বিভাগে দারিদ্র্যের হার সবচেয়ে বেশি ৪৭ দশমিক শতাংশ। উল্লেখ্য, খানা আয়-ব্যয় জরিপ-২০১০ অনুযায়ী রংপুর বিভাগে ২০১০ সালে দারিদ্র্যের হার ছিল ৪২ দশমিক শতাংশ। দেশের জাতীয় দারিদ্র্যের হার যেখানে  কমছে, অন্য বিভাগগুলোয় দারিদ্র্যের হার কমছে, তখন রংপুর বিভাগে হার বেড়ে যাওয়া অস্বাভাবিক বিষয় এবং পরিসংখ্যানটা চমকে দেয়ার মতো। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর জেলাভিত্তিক দারিদ্র্য পরিসংখ্যান আরো ভয়াবহ চিত্র তুলে ধরেছে। সবচেয়ে বেশি দারিদ্র্যসীমাভুক্ত ১০টি জেলার মধ্যে পাঁচটি উত্তরাঞ্চলের। এর মধ্যে কুড়িগ্রামে দারিদ্র্যের হার সর্বোচ্চ ৭০ দশমিক শতাংশ। কভিড-১৯ নতুন করে দারিদ্র্যের হার বাড়িয়ে দিয়েছে।

রংপুর বিভাগের অর্থনীতি মূলত কৃষিভিত্তিক। স্বাধীনতার এত বছর পরেও গড়ে ওঠেনি কোনো শিল্পাঞ্চল। কভিড-১৯-এর কারণে অঞ্চলের কৃষি খাতের সাপ্লাই চেইন ভেঙে পড়ায় কৃষকরা উৎপাদিত কৃষিপণ্যের ন্যায্যমূল্য পাননি, সার-বীজ সরবরাহ ছিল অপ্রতুল। অঞ্চলের অনেক কৃষক দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে গিয়ে কৃষি শ্রমিক হিসেবে শ্রম দেন। কিন্তু চলাচলে নিষেধাজ্ঞা থাকায় তারা অন্য অঞ্চলে গিয়ে কাজ করতে ব্যর্থ হন। ফলে নিদারুণ অর্থকষ্টে নিপতিত হন। অঞ্চলের অনেক স্বল্প আয়ের মানুষ রাজধানী, বিভাগীয় জেলা শহরগুলোয় অনানুষ্ঠানিক নানা খাতে কাজ করে। নির্মাণ শ্রমিক, রিকশা-ভ্যান চালানো, পরিবহন শ্রমিক, হোটেল-রেস্তোরাঁ, মুদি দোকান, ছোট ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে কাজ করে। কভিড-১৯-এর কারণে কর্মহীন হয়ে তারা গ্রামে ফিরে এসেছে। জুন ২০২০-এর শেষে বেসরকারি একটি উন্নয়ন সংস্থার এক গবেষণায় দেখা গেছে, রংপুর রাজশাহী বিভাগের প্রায় ৬০ শতাংশ মানুষ শহর থেকে কর্মহীন হয়ে গ্রামে ফিরে গেছে এবং ৭৩ শতাংশ দরিদ্র বা হতদরিদ্র পরিবার কভিড-১৯-এর কারণে আয়হীন হয়ে খাদ্য সংকটে ভুগছে, ৫৩ শতাংশ পরিবার ক্ষুদ্রঋণ সংস্থা, প্রতিবেশী   আত্মীয়স্বজনের কাছ থেকে অর্থ ধার করে জীবন বাঁচাচ্ছে এবং ৩৭ শতাংশ পরিবার তাদের সঞ্চিত সম্পদ বিক্রি করে খাদ্য সংগ্রহ করছে। অঞ্চলের মত্স্য খামার কিংবা পোলট্রি খামারের মালিকরা তাদের পণ্যের সরবরাহ সংকটের কারণে যথাযথ মূল্য না পাওয়ায় অনেকেই পুঁজি হারিয়েছেন। যারা সাধারণ ব্যবসায়ী, ছোট ব্যবসায়ী কিংবা পণ্য সরবরাহকারী, তারাও পণ্য বিক্রয় কম হওয়ায় পুঁজি সংকটে পড়েছেন। ক্ষুদ্র মাঝারি শিল্পের মালিকরা উৎপাদন ব্যাহত, পণ্য বিক্রি না হওয়া, কারখানা বন্ধ, কর্মী সংকট ইত্যাদি কারণে লোকসানের সম্মুখীন হয়ে পুঁজি সংকটে পড়েছে। রংপুর বিভাগের বিদেশে কর্মরত শ্রমিকের সংখ্যা এমনিতেই অন্যান্য বিভাগ থেকে তুলনামূলকভাবে কম, ২০০৫ থেকে ২০১৮ সময়কালে মোট বৈদেশিক কর্মসংস্থানের মাত্র দশমিক ৭৪ শতাংশ, রেমিট্যান্স প্রাপ্তি শূন্য দশমিক ৮৫ শতাংশ। সেসব শ্রমিকের অনেকেই চাকরি হারিয়ে দেশে ফেরত এসেছেন। তারা আবার বিদেশে ফেরত যেতে পারবেন কিনা, তা নিয়ে সংশয় রয়েছে। যারা বিদেশে গিয়ে কর্মসংস্থানের প্রক্রিয়ায় ছিলেন, তারাও আজ হতাশ। সরকারের সাধারণ ছুটি ঘোষণার সময়কালে যে ত্রাণসহায়তা, নগদ অর্থসহায়তা দেয়া হয়েছে, তা অপ্রতুল। সরকারের ঘোষিত ২০২০-২১ সালের বাজেটের কৃষি খাতের হাজার ৫০০ কোটি টাকার ভর্তুকির হয়তো খুব সামান্যই পাবেন এলাকার প্রকৃত কৃষক। ব্যাংকগুলো ঋণসহায়তা করলেও অঞ্চলের তরুণদের উদ্যোক্তা হওয়ার প্রশিক্ষণ, সচেতনতা, আগ্রহ না থাকায় স্টার্টআপ সম্ভব হচ্ছে না। অর্থনৈতিক কার্যক্রম মূলত পরস্পর নির্ভরশীল। একজনের ব্যয়, আরেকজনের আয়’— তত্ত্ব মেনে অর্থনৈতিক কার্যক্রম চলে। ফলে কোনো পর্যায়ে ব্যয় বন্ধ হলে তা গুণক প্রক্রিয়ায় সব ব্যক্তি খাতকে প্রভাবিত করে। কভিড-১৯ মহামারীর ফলে সেই প্রক্রিয়ায় মানুষ আয়হীন-কর্মহীন হয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

কভিড-১৯-এর দারিদ্র্যকরণ প্রভাব এবং উত্তরাঞ্চলের যুগ যুগ ধরে চলে আসা বঞ্চনার অবসান করতে হলে প্রয়োজন কিছু স্বল্পমেয়াদি দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা এবং তার বাস্তবায়ন। স্বল্পমেয়াদি পরিকল্পনাগুলোর মধ্যে হলো খাদ্য কৃষিবাজারের সাপ্লাই চেইন কার্যকর করা, চাকরি হারানো নতুন বেকার, দেশে ফেরত আসা প্রবাসী শ্রমিকদের স্বল্প সুদে সহজ শর্তে ঋণ দেয়া, ক্ষতিগ্রস্ত ক্ষুদ্র মাঝারি শিল্প মালিকদের প্রণোদনা দেয়া, হতদরিদ্রদের সহায়তার জন্য সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির আওতা বাড়ানো এবং ছয় মাসের জন্য এমপ্লয়মেন্ট গ্যারান্টি স্কিম চালু করা। দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনার মধ্যে অন্যতম হলো, রংপুর বিভাগে স্থায়ীভাবে দারিদ্র্য দূরীকরণের জন্য শিল্পায়ন। রংপুর বিভাগে নয়টি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল করার কথা থাকলেও তা বাস্তবায়নে অত্যন্ত ধীরগতি পরিলক্ষিত হচ্ছে। এখন পর্যন্ত পঞ্চগড়, নীলফামারী, কুড়িগ্রাম দিনাজপুর বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল অনুমোদন পেয়েছে, অন্যগুলো প্রস্তাবনা পর্যায়ে রয়ে গেছে। এই বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলগুলো দ্রুত প্রতিষ্ঠা করে অঞ্চলের তরুণদের সচেতনতা সৃষ্টি, প্রশিক্ষণ ঋণসহায়তা দিয়ে উদ্যোক্তা হিসেবে প্রতিষ্ঠা করা গেলে অঞ্চলে যেমন কর্মসংস্থান সৃষ্টি হতো, তেমনি কমত দারিদ্র্য। বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে কৃষিভিত্তিক শিল্প প্রতিষ্ঠা হলে অঞ্চলের কৃষি খাতেরও উন্নয়ন হতো। বিদেশে দক্ষ শ্রমিক প্রেরণের লক্ষ্যে কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রশিক্ষণ কেন্দ্র স্থাপন, ঋণসহায়তা প্রদানের ব্যবস্থা করা প্রয়োজন। বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব প্ল্যানার্সের (বিআইপি) এক গবেষণায় দেখা যায় যে দেশের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (এডিপি) অনেক কম অংশ বরাদ্দ করা হয় রংপুর বিভাগের জন্য, ২০১২-১৩ থেকে ২০১৬-১৭ অর্থবছরে এডিপিতে রংপুর বিভাগের জন্য বরাদ্দ ছিল মাত্র দশমিক ১৩ শতাংশ, যেখানে ঢাকা বিভাগের বরাদ্দ ছিল ৩৮ দশমিক ৫৪ শতাংশ। রংপুর বিভাগের বরাদ্দ বাড়ানো প্রয়োজন। রংপুর বিভাগের ক্রমবর্ধমান দারিদ্র্য দূরীকরণের জন্য এডিপিতে ন্যায্য বরাদ্দ ছাড়াও বিশেষ বরাদ্দই এখন কভিড-১৯ পরবর্তী বাস্তবতা।

 

. মো. মোরশেদ হোসেন: অধ্যাপক, অর্থনীতি বিভাগ

বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়, রংপুর

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন