নভেল করোনাভাইরাস (কভিড-১৯) সংক্রমণের তালিকায় বাংলাদেশের এক ধাপ অবনমন হয়েছে। এর মধ্য দিয়ে শীর্ষ ১৫টি দেশের মধ্য থেকে বের হয়ে গেল বাংলাদেশ। বৈশ্বিক এ তালিকায় পঞ্চদশ অবস্থানে উঠে এসেছে আর্জেন্টিনা। বাংলাদেশের অবস্থান ঠিক এর পরই।
যুক্তরাষ্ট্রের জন হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের করোনাভাইরাস রিসোর্স সেন্টারের দেয়া তথ্যমতে, সংক্রমণের বৈশ্বিক তালিকায় শীর্ষ পাঁচের মধ্যে আছে যুক্তরাষ্ট্র, ব্রাজিল, ভারত, রাশিয়া ও দক্ষিণ আফ্রিকা। এর তালিকায় ২ লাখ ৭১ হাজার ৮৮১ জন শনাক্ত রোগী নিয়ে বাংলাদেশের অবস্থান ১৬তম। বাংলাদেশের উপরের অবস্থানটি এখন আর্জেন্টিনার। দেশটিতে মোট রোগী শনাক্ত হয়েছে ২ লাখ ৭৬ হাজার ৭২ জন। বাংলাদেশের পরের ১৭তম অবস্থানটি অবশ্য ইতালির। দেশটির মোট কভিড-১৯ সংক্রমিত রোগীর সংখ্যা ২ লাখ ৫২ হাজার ২৩৫।
জন হপকিন্সের তথ্য বলছে, বৈশ্বিক এ তালিকা ষষ্ঠ থেকে চতুর্দশ অবস্থানে আছে পেরু, মেক্সিকো, কলম্বিয়া, চিলি, স্পেন, ইরান, যুক্তরাজ্য, সৌদি আরব ও পাকিস্তান। এখন পর্যন্ত বিশ্বে মোট ১৮৮টি দেশে এ ভাইরাস ছড়িয়ে পড়েছে। এতে মোট সংক্রমিত হয়েছে ২ কোটি ৯ লাখ ৫০ হাজার ৪০২ জন। এর মধ্যে মৃত্যুবরণ করেছে ৭ লাখ ৬০ হাজার ২৩৫ জন। এখন পর্যন্ত এ ভাইরাসের সংক্রমণ থেকে সুস্থ হতে পেরেছে ১ কোটি ৩৯ লাখ ৪৮ হাজার ৫৯২ জন রোগী। বাকিদের চিকিৎসা চলছে।
এদিকে সর্বশেষ একদিনে দেশে নভেল করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আরো ৩৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে এখন পর্যন্ত করোনায় মারা গেছে ৩ হাজার ৫৯১ জন। এদিন শনাক্ত হয়েছে ২ হাজার ৭৬৬ জন ও সুস্থ হয়েছে ১ হাজার ৭৫২ জন। আর এখন পর্যন্ত সুস্থ হয়েছে ১ লাখ ৫৬ হাজার ৬২৩ জন। গতকাল স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা স্বাক্ষরিত করোনা বিষয়ক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, বর্তমানে ৮৭টি পরীক্ষাগারে করোনার নমুনা পরীক্ষা করা হচ্ছে। তাতে সর্বশেষ নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ১২ হাজার ৮৫৬টি। এখন পর্যন্ত মোট ১৩ লাখ ২৮ হাজার ৭৫৭টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। সর্বশেষ মারা গেছেন ৩৪ জন। এদের মধ্যে ছয়জন নারী ও ২৮ জন পুরুষ। এ নিয়ে এখন পর্যন্ত মোট নারী মারা গেছে ৭৫০ জন এবং পুরুষ মারা গেছে ২ হাজার ৮৪১ জন।
সর্বশেষ মৃত্যুবরণকারীদের মধ্যে ৩১-৪০ বছরের মধ্যে দুজন, ৪১-৫০ বছরের মধ্যে চারজন, ৫১-৬০ বছরের মধ্যে ছয়জন এবং ৬০ বছরের ঊর্ধ্বে ২২ জন।
উল্লেখ্য, গত বছরের শেষ দিকে চীনের উহান শহরে নভেল করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শুরু হয়। এরপর তা পৃথিবীজুড়ে ছড়িয়ে পড়ে। মহামারী এ রোগ বাংলাদেশে প্রথম শনাক্ত হয় গত ৮ মার্চ।
