ষড়যন্ত্রকারীরা দেশের এগিয়ে যাওয়ার পথ বন্ধ করতে চায় —ওবায়দুল কাদের

নিজস্ব প্রতিবেদক

সড়ক পরিবহন সেতুমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ধারাবাহিক ষড়যন্ত্রের কুশীলবরা সাম্প্রদায়িকতার বিষ ছড়িয়ে দেশের এগিয়ে যাওয়ার পথ বন্ধ করতে চায়। গতকাল বিকালে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি) আয়োজিত আলোচনা সভা দোয়া মাহফিলে জাতীয় সংসদ ভবনের বাসভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত হয়ে তিনি কথা বলেন।

সেতুমন্ত্রী বলেন, ধারাবাহিক ষড়যন্ত্রের কুশীলবরা এখনো আছে। উন্নয়নবিরোধী অপশক্তি এখনো চারপাশে। উগ্র সাম্প্রদায়িক অপশক্তি এখনো সুযোগ খুঁজছে। তারা দেশের উন্নয়নবিরোধী। শান্তি স্বস্তির বাংলাদেশ তারা চায় না। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সমৃদ্ধ আগামীর পথে এগিয়ে যাওয়া তাদের গাত্রদাহ।

তিনি বলেন, তারা দেশকে পাকিস্তানি ভাবধারায় নিয়ে যেতে চায়, চায় সংঘাতে জর্জরিত রক্তান্ত প্রান্তর। তারা সাম্প্রদায়িকতার বিষ ছড়িয়ে দেশের এগিয়ে যাওয়া বন্ধ করতে চায়। কিন্তু যতক্ষণ দেশরত্ন শেখ হাসিনা আছেন, আমাদের সমৃদ্ধ আগামী বিনির্মাণের আগ্রযাত্রা এগিয়ে যাবেই। সতর্কতার পাশাপাশি আমাদের ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। সম্মিলিত প্রয়াসে দেশরত্ন শেখ হাসিনার হাতকে করতে হবে শক্তিশালী।

ওবায়দুল কাদের বলেন, যারা কথায় কথায় গুম-খুনের কথা বলে, মানবাধিকারের বুলি আওড়ায় তারাই অপারেশন ক্লিন হার্টের নামে ২০০২ থেকে ২০০৩ সালের জানুয়ারি পর্যন্ত সময়ে ৯৭ জনকে হত্যা করেছিল। যারা বঙ্গবন্ধুর খুনিদের বাঁচাতে ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ জারি করেছিল তাদের মুখে মানবাধিকারের কথা মানায় না।

তিনি বলেন, খুনিদের সঙ্গে সখ্যতা, খুনের অনুমোদন দেয়া আর হত্যা সন্ত্রাসনির্ভর রাজনীতিই বিএনপির ঐতিহ্য। তারা দুর্নীতি নিয়ে কথা বলে। অথচ বিএনপি আর দুর্নীতি শব্দ দুটি এখন অনেকটাই সমার্থক।

বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে মুক্তিযুদ্ধে লাখো শহীদের রক্তস্রোতে দেশের প্রতি ইঞ্চি ভূমি পবিত্র উল্লেখ করে তিনি বলেন, প্রতি ইঞ্চি ভূমি এখন উন্নয়নের ফসলে ভরে তুলেছেন উন্নয়নের কাণ্ডারী শেখ হাসিনা।

১৫ ২১ আগস্টের কুশীলবরা এখনো সক্রিয়। এখনো তাদের ষড়যন্ত্রের নীলনকশা চলছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ১৫ আগস্ট ইতিহাসের নিষ্ঠুরতম রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ড। জগতে আর কোনো হত্যাকাণ্ডে নিষ্পাপ শিশুকে হত্যা করা হয়নি, অবলা নারীকে হত্যা করা হয়নি, টার্গেট করা হয়নি অন্তঃসত্ত্বা নারীকে।

তিনি বলেন, সে সময় বিদেশে ছিলেন বলেই প্রাণে বেঁচে যান আমাদের আশার বাতিঘর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং বঙ্গবন্ধুর আরেক কন্যা শেখ রেহানা। সেদিন তারা বেঁচে গিয়েছিলেন বলেই আজকে বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার হয়েছে। হয়েছে যুদ্ধাপরাধের বিচার। কলঙ্কমুক্ত হয়েছে দেশ।

ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপসের সভাপতিত্বে শোক দিবসের অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন স্থানীয় সরকার মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহমেদ মান্নাফি, সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির, এলজিআরডি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব হেলাল উদ্দিন আহমদ প্রমুখ।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন