জানুয়ারি-জুন ২০২০

বিদেশী বিনিয়োগ কমেছে, নতুন প্রস্তাব নেমেছে অর্ধেকে

বদরুল আলম

বিদেশী বিনিয়োগ আকর্ষণের লক্ষ্যে সম্প্রতি সংশোধন আনা হয়েছে দেশের কোম্পানি আইনে। ওয়ার্ল্ড ব্যাংকের সহজে ব্যবসা করার সূচকেও দেশের অবস্থান উন্নত করতে নানা কার্যক্রমের বাস্তবায়ন চলছে। আর পরিকল্পিত শিল্পায়নে এর আগেই প্রণয়ন করা হয়েছিল বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ আইন। যুক্তরাষ্ট্র-চীন সম্পর্কসহ চীনে পণ্য উৎপাদনে ব্যয় বৃদ্ধির মতো আরো বেশকিছু কারণে বাংলাদেশের সামনে বিদেশী বিনিয়োগ আকর্ষণের ব্যাপক সম্ভাবনাও রয়েছে। তবে এমন প্রেক্ষাপটেও বিদেশী বিনিয়োগ আকর্ষণের সম্ভাবনা কাজে লাগাতে পারছে না বাংলাদেশ।

সরকারি তথ্য-উপাত্তেই দেখা গেছে, বিদেশী বিনিয়োগ আকর্ষণ ব্যর্থতার বোঝা আরো ভারী করে তুলেছে কভিড-১৯ সংক্রমণ পরিস্থিতি। গত বছরের ডিসেম্বরের পর থেকে দেশে দেশে ছড়িয়ে পড়া নভেল করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বাংলাদেশে প্রথম শনাক্ত হয় মার্চে। তবে তার আগেই দেশে বিদেশী বিনিয়োগ প্রবাহ ব্যাপক হারে কমে যায়। আর সাধারণ ছুটি বা লকডাউনে অর্থনীতির নিষ্ক্রিয়তায় এপ্রিল থেকে জুন এই তিন মাসে বাংলাদেশে বিনিয়োগে বিদেশীদের আগ্রহেও পড়েছে ভাটা। যদিও সংশ্লিষ্টরা বলছেন, চলতি বছরের প্রথমার্ধে অর্থনৈতিক অঞ্চলে চীনের হাইটেক পার্কে জৈবপ্রযুক্তিতে বড় বিনিয়োগ প্রতিশ্রুতি পাওয়া গেছে। অথচ সময়ে ভারত, ভিয়েতনাম ইন্দোনেশিয়াসহ উদীয়মান অর্থনীতির দেশগুলো উল্লেখযোগ্য বিনিয়োগ আকর্ষণ করতে পেরেছে।

নভেল করোনাভাইরাসের প্রভাবে চলতি বছর প্রথম প্রান্তিক শেষে দেশে থমকে যায় সব ধরনের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড। রফতানি থেকে শুরু করে বিদেশী বিনিয়োগ (এফডিআই) সবখানেই ছিল ভাটা। বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ তথ্য বলছে, মার্চে বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের আঘাত আসার আগে থেকেই নিম্নমুখী ছিল এফডিআই প্রবাহ।

চলতি মাসে এফডিআইয়ের ২০২০ সালের হালনাগাদ পরিসংখ্যান প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এতে দেখা গেছে, ২০২০ সালের জানুয়ারি থেকে মার্চে ৫৮ কোটি ২১ লাখ ৭০ হাজার ডলার বিনিয়োগ এসেছে, যা আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ৪৪ শতাংশ কম। ২০১৯ সালের জানুয়ারি থেকে মার্চে দেশে এফডিআই প্রবাহের পরিমাণ ছিল ১০৩ কোটি ৫৫ লাখ ৬০ হাজার ডলার। অর্থাৎ এক বছরের ব্যবধানে এফডিআই কমেছে ৪৫ কোটি ৩৩ লাখ ৯০ হাজার ডলার।

বাংলাদেশে হানা দেয়া করোনাভাইরাস প্রথম শনাক্ত হয় মার্চের তারিখ, সাধারণ ছুটির নামে লকডাউন শুরু হয় মার্চের ২৬ তারিখ। এপ্রিলে করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধির আগেই বিদেশী বিনিয়োগ প্রবাহ ৪৪ শতাংশ কম ছিল। আর জানুয়ারির আগে ২০১৯ সালের পুরোটা সময়ই ২০১৮ সালের তুলনায় বিদেশী বিনিয়োগ প্রবাহ কম ছিল। ২০১৯ সালে নিট এফডিআই প্রবাহ ২০১৮ সালের তুলনায় ছিল ২০ শতাংশ কম। বিনিয়োগ-সংশ্লিষ্ট উদ্যোক্তা সংস্থাগুলোর আশঙ্কা, করোনাভাইরাসের প্রভাবে চলতি বছর বিদেশী বিনিয়োগ আরো কমে ২০০ কোটি ডলারের নিচে নেমে আসতে পারে।

এফডিআই আকর্ষণে ২০১৮ সালে বড় উল্লম্ফনের মুখ দেখেছিল বাংলাদেশ। জাপানি প্রতিষ্ঠানের বাংলাদেশী তামাক ব্যবসা অধিগ্রহণে ওই বছর দেশে অর্থ প্রবেশের ফলে এক লাফে ৬৮ শতাংশ বেড়ে যায় এফডিআই। কিন্তু ২০১৯ সালে নতুন বিনিয়োগ যেমন আসেনি, তেমনি বিদ্যমান বিনিয়োগকারীরাও পুনরায় বড় ধরনের বিনিয়োগ করেননি। ফলে ২০১৯ সালে বিদেশী বিনিয়োগ প্রবাহ কমে গেছে। বিনিয়োগের উৎস পশ্চিমা দেশগুলোতে করোনার ব্যাপ্তিতে যা ২০২০ সালের প্রথম প্রান্তিকে আরো কমে গেছে। 

অর্থনীতির বিশ্লেষকদের মতে, করোনার আগেই এফডিআই কমে যাওয়ার চিত্রটি ছিল বাংলাদেশের বিনিয়োগ পরিবেশের নাজুক বাস্তবতার প্রতিফলন। জমি নিরবচ্ছিন্ন গ্যাস-বিদ্যুতের মতো ভৌত অবকাঠামোগত সম্পদে ঘাটতির পাশাপাশি বিনিয়োগের সার্বিক পরিবেশে ব্যাপক অস্বস্তি, অস্বচ্ছতা বিভ্রান্তি রয়েছে বাংলাদেশে। সক্ষমতার উন্নয়ন হচ্ছে ধীরগতিতে, যা কাঙ্ক্ষিত পরিমাণে বিনিয়োগ আকর্ষণ করতে পারছে না। সবকিছুর প্রতিফলন দেখা যাচ্ছে ২০১৯ সালের বিনিয়োগ প্রবাহের তথ্যে। আর করোনার প্রভাবে বিনিয়োগ প্রবাহ আরো কমেছে ২০২০ সালের প্রথম প্রান্তিকে। করোনা প্রাদুর্ভাবে নিকট সুদূর ভবিষ্যতে বৈশ্বিক বিনিয়োগের গতিপ্রকৃতিতে বড় পরিবর্তন আসতে পারে। সেখানে নতুন বিনিয়োগ আকর্ষণে বাংলাদেশের সম্ভাবনা যেমন আছে, তেমিন ভুল কৌশলে এগোলে এফডিআই প্রবাহ আরো কমে যাওয়ার আশঙ্কাও রয়েছে।

পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (পিআরআই) নির্বাহী পরিচালক . আহসান এইচ মনসুর বণিক বার্তাকে বলেন, কভিড-পরবর্তী প্রেক্ষাপটে বিদেশী বিনিয়োগে অনেক ভালো কিছু দেখার সম্ভাবনা ছিল, কারণ অনেক কোম্পানি চীন থেকে মাইগ্রেট করছে। কিন্তু সেটা আমরা ধরতে পারছি না। কভিডের পাশাপাশি ভূরাজনৈতিক প্রেক্ষাপটেও বিনিয়োগের অনেক সম্ভাবনা আমাদের সামনে ছিল। ভূরাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে জাপান থেকে অনেক কোম্পানি চলে আসছে, যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠানও চলে আসছে। আবার ট্যারিফসহ নানামুখী কারণে চীনা কোম্পানিগুলোও রি-লোকেট করছে। অনেক দেশ সরে আসা বিনিয়োগ পেতে শুরু করলেও আমরা এখনো কিছু পাইনি।

আহসান এইচ মনসুর আরো বলেন, ২০২০ সাল অতিবাহিত হওয়ার পর বোঝা যাবে বিদেশী বিনিয়োগের অবস্থা কী দাঁড়ায়। খুব খারাপ পরিস্থিতিতে ২০০ কোটি ডলারের নিচেও নেমে যেতে পারে তা। সরকার নড়েচড়ে বসেছে, কিন্তু কতখানি সফল হবে তা বলা মুশকিল। কভিড নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থতাও আমাদের পিছু হটিয়ে দেবে। আশা ছাড়া যাবে না, আমাদের চেষ্টা করতে হবে। অনেক প্রো-অ্যাক্টিভ হতে হবে। বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলের সঙ্গে বাণিজ্য বাড়াতে নতুন মার্কেট অ্যাকসেস খুঁজতে হবে। মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি করতে হবে। ভিয়েতনাম যদি করতে পারে আমরা কেন পারব না?

দেশের ব্যক্তি খাতের বিনিয়োগের বড় অংশ নিবন্ধন দেয় বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা) নিবন্ধনের মাধ্যমে মূলত প্রস্তাব বাস্তবায়নের প্রতিশ্রুতিই দেন সম্ভাব্য বিনিয়োগকারীরা। চলতি বছরে এপ্রিল থেকে জুন এই তিন মাসে বিডার নিবন্ধন পরিসংখ্যান বলছে, বিনিয়োগ নিবন্ধন কমেছে ৫৫ শতাংশ। ২০১৯ সালের এপ্রিল-জুন তিন মাসে নিবন্ধিত বিদেশী বিনিয়োগ প্রস্তাব ছিল কোটি ৪২ লাখ ডলারের। চলতি ২০২০ সালের একই সময়ে বিনিয়োগ প্রস্তাব নিবন্ধন হয় কোটি ৫৩ লাখ ডলারের। যা হয়েছে শুধু জুন মাসে। অর্থনৈতিক কার্যক্রমের নিষ্ক্রিয়তায় এপ্রিল মে মাসে কোনো প্রস্তাব নিবন্ধন হয়নি।

তবে চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিকে করোনার প্রভাব দৃশ্যমান হওয়ার আগেও নতুন বিনিয়োগ প্রবাহ উল্লেখযোগ্য ছিল না। বিদ্যমান বিনিয়োগকারীদের আয়ের পুনর্বিনিয়োগ ছিল সবচেয়ে বেশি। ব্যাংকিং চ্যানেল ব্যবহার করে বিনিয়োগকারী বিদেশী প্রতিষ্ঠানগুলোর বাংলাদেশে নিয়ে আসা অর্থসংক্রান্ত জরিপের ভিত্তিতেই এফডিআই প্রবাহের পরিসংখ্যান গতিপ্রকৃতির তথ্য প্রকাশ করে বাংলাদেশ ব্যাংক। এক্ষেত্রে নিট নিজস্ব মূলধন (ইকুইটি ক্যাপিটাল), আয়ের পুনর্বিনিয়োগ (রিইনভেস্টেড আর্নিংস) আন্তঃপ্রতিষ্ঠান ঋণ (ইন্ট্রাকোম্পানি লোন)—এই তিন ভাগে এফডিআই প্রবাহ হিসাব করে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সর্বশেষ হিসাব অনুযায়ী, চলতি বছর জানুয়ারি থেকে মার্চ পর্যন্ত বিদ্যমান বিনিয়োগকারীদের আয়ের পুনর্বিনিয়োগ ছিল সবচেয়ে বেশি। মোট এফডিআই প্রবাহ ৫৮ কোটি ২১ লাখ ৭০ হাজার ডলারের মধ্যে নিট নিজস্ব মূলধন ছিল ১৭ কোটি ৮৯ লাখ ৮০ হাজার ডলার। আয়ের পুনর্বিনিয়োগ ছিল ৪১ কোটি লাখ ৩০ হাজার ডলার। আর আন্তঃপ্রতিষ্ঠান ঋণপ্রবাহ ছিল ঋণাত্মক ৭৭ লাখ ৪০ হাজার ডলার। অর্থাৎ ঋণ বাবদ বিদেশী বিনিয়োগ আসেনি, বরং যা এসেছে তার চেয়ে বেশি পরিশোধ হয়েছে, ফলে প্রবাহ ঋণাত্মক দেখাচ্ছে।

বছরভিত্তিক পরিসংখ্যান বিশ্লেষণে দেখা যায়, ২০১৯ সালের প্রথম প্রান্তিকের তুলনায় ২০২০ সালের প্রথম প্রান্তিকে নিট নিজস্ব মূলধন দশমিক ২৯ শতাংশ কমেছে। অর্থাৎ বিদ্যমান বা নতুন বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠানের নতুন বিনিয়োগ প্রবাহ কমেছে। অন্যদিকে বিনিয়োগকারীদের আয় থেকে পুনর্বিনিয়োগ বেড়েছে ১২ দশমিক ৬৩ শতাংশ। আন্তঃপ্রতিষ্ঠান ঋণের মাধ্যমে বিদেশী বিনিয়োগ প্রবাহ কমেছে প্রায় ১০১ শতাংশ। বিশ্লেষকরা বলছেন, তিন সূচক বিবেচনায় নতুন বিনিয়োগ আসছে না। আবার ঋণের মাধ্যমে বিদেশী বিনিয়োগ প্রবাহ কমেছে ব্যাপক হারে। আর বিদ্যমান বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর আয় থেকে পুনরায় বিনিয়োগ হচ্ছে সামান্য।

২০১৯ সালে প্রবাহ কমে যাওয়ার পর চলতি বছর শুরু হয় করোনা প্রাদুর্ভাব। তার পরও নতুন সম্ভাবনা কাজে লাগাতে বেশ তত্পরতা চালাচ্ছে বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ (বেজা) বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা) করোনাভাইরাসের উত্পত্তিস্থল চীন থেকে অনেক বিনিয়োগ প্রকল্প সরে যাওয়ার গুঞ্জনে বিদেশী বিনিয়োগকারীদের জন্য করমুক্ত সুবিধা, বিনিয়োগ প্রণোদনা নির্ধারণসহ নানামুখী নীতিনির্ধারণ নিয়ে ব্যতিব্যস্ততা দেখা যাচ্ছে সংস্থা দুটির কার্যক্রমে।

বিনিয়োগ আকর্ষণে নিয়োজিত পোষক কর্তৃপক্ষসংশ্লিষ্টরা বলছেন, করোনার আগে থেকেই দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির লক্ষ্য অর্জনের জন্য যে পরিমাণ বিদেশী বিনিয়োগ আসা দরকার ছিল তা আসেনি। আরো অনেক তত্পরতা সমন্বয়ের প্রয়োজন, যার ঘাটতি আছে। কভিড প্রেক্ষাপটে এখন আরো প্রস্তুতি নিয়ে পরিপূর্ণ একটি পরিকল্পনা তৈরি করতে হবে। প্রতিদ্বন্দ্বীরা কীভাবে এফডিআই আকর্ষণ করছে তা লক্ষ রেখে কৌশল নির্ধারণ করতে হবে। কভিড-১৯-এর কারণে চ্যালেঞ্জের পাশাপাশি সম্ভাবনাও দেখা দিয়েছে। সেই সম্ভাবনাগুলো কাজে লাগাতে কাজ করে যেতে হবে। বেজাও কাজ করছে। পরিকল্পিত শিল্পায়নের জন্য বেজার জমি বিনিয়োগ আকর্ষণে ভূমিকা রাখবে।

কভিড-১৯-এর আগে থেকেই এফডিআই আকর্ষণে যে পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছিল, কভিড-পরবর্তী প্রেক্ষাপটে তা নতুন করে সাজাতে হবে বলে মনে করেন বিডা নির্বাহী চেয়ারম্যান সিরাজুল ইসলাম। তিনি বণিক বার্তাকে বলেন, এফডিআই বাড়াতে বড় ধরনের কৌশল নির্ধারণ করে লক্ষ্য অর্জনের চেষ্টা করতে হবে। কভিড-১৯ আমাদের আরো কোণঠাসা করে ফেলেছে। আসন্ন বিশ্ব অর্থনৈতিক মন্দা মাথায় রেখে পরিকল্পনা করতে হবে। মহামন্দাকে কীভাবে মোকাবেলা করব, সেটি বিবেচনায় নিয়েই এগোতে হবে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ পরিসংখ্যান অনুযায়ী, বাংলাদেশে ২০২০ সালের প্রথম প্রান্তিকে সবচেয়ে বেশি এফডিআই এসেছে যুক্তরাজ্য থেকে। এর পরই বেশি বিনিয়োগ এসেছে যথাক্রমে নরওয়ে, সংযুক্ত আরব আমিরাত, যুক্তরাষ্ট্র, সিঙ্গাপুর থাইল্যান্ড থেকে। এছাড়া ভারত, হংকং, তাইওয়ান, দক্ষিণ কোরিয়া, মালয়েশিয়া, নেদারল্যান্ডস, সুইজারল্যান্ড, ব্রিটিশ ভার্জিনিয়া আইল্যান্ড, চীন, মরিশাস, জাপান, সুইডেন, মাল্টা, ডেনমার্ক থেকেও বিনিয়োগ এসেছে দেশে। যে খাত পণ্যগুলোতে বিদেশী বিনিয়োগ প্রবাহ বেশি ছিল তার মধ্যে আছে টেলিযোগাযোগ, নির্মাণ, বিদ্যুৎ, বস্ত্র পোশাক, বাণিজ্য, খাদ্য, ব্যাংকিং, গ্যাস, তথ্যপ্রযুক্তি, চামড়া, কেমিক্যাল, বীমা, সিমেন্ট সার।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন