সরকারি ক্রয় নিয়ে উদ্বিগ্ন পরিকল্পনামন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক

পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান বলেছেন, জনগণের অর্থ ব্যয়ে কোনোভাবেই নয়ছয় হতে দেয়া হবে না। ক্রয় প্রক্রিয়া কিছু ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা নিয়ে আমি বেশ উদ্বেগে আছি। প্রধানমন্ত্রীও ক্রয় নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। এজন্য উন্নয়ন প্রকল্পে অতিরিক্ত অর্থ বরাদ্দ, প্রশিক্ষণের নামে বিদেশ সফর আপ্যায়নসহ নানাভাবে অর্থের অপচয় হচ্ছে। সেগুলোকে বন্ধের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।

গতকাল রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠক শেষে তিনি কথা বলেন। তিনি বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন। বৈঠকে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মুখ্য সচিব . আহমেদ কায়কাউসসহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয় বিভাগের সচিব সিনিয়র সচিবরা অংশ নেন।

সভা শেষে সাংবাদিকদের পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, জনগণের টাকা স্বচ্ছতার সঙ্গে ব্যয় করতে হবে। যাতে কোনোভাবেই নয়ছয় না হয়। মন্ত্রণালয় পর্যায়েই ব্যাপক মনিটরিং জোরদার করতে হবে। বিধিবিধান মেনেই তৈরি করতে হবে উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাব (ডিপিপি) উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে জনগণ আমাদের নজরে রাখছে। আমাদের গতিবিধি, আচার-আচরণ দেখছে। জনগণের সম্পদ আমরা কীভাবে ব্যবহার করছি তা তারা গভীর নজরে রেখেছে। তাই টাকার ব্যবহার, সময়োপযোগিতা পরিমাণ সম্পর্কে সচেতন থাকতে হবে।

সভায় জানানো হয়, অপচয় রোধ এবং সঠিক প্রকল্প প্রস্তাব তৈরিতে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় টাস্কফোর্স গঠন করেছে এবং কৃষি মন্ত্রণালয় দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছে। অন্য মন্ত্রণালয়গুলোও কঠোর মনিটরিং করবে।

এতে আরো জানানো হয়, গত ২০১৯-২০ অর্থবছরে সংশোধিত বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (আরএডিপি) বাস্তবায়ন হয়েছে ৮০ দশমিক ৪৫ শতাংশ, যা আগের অর্থবছর হয়েছিল ৯৪ দশমিক ৬৬ শতাংশ। গত জুন পর্যন্ত ব্যয় হয়েছে লাখ ৬১ হাজার ৮৫৭ কোটি টাকা। সভায় চলতি অর্থবছরের এডিপি বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে নতুন প্রকল্প প্রক্রিয়াকরণে সতর্কতা, সম্ভাব্যতা সমীক্ষা প্রয়োজনীয় ডিজাইনের ভিত্তিতে প্রকল্প দলিল প্রণয়ন, প্রকল্প সংশোধন মেয়াদ বৃদ্ধিতে সতর্কতা অবলম্বন, সমাপ্তির জন্য নির্ধারিত প্রকল্প সুষ্ঠুভাবে বাস্তবায়ন নির্ধারিত মেয়াদে সমাপ্তকরণ, বৈদেশিক অর্থায়নের প্রকল্পে গতি বৃদ্ধি এবং প্রকল্প বাস্তবায়নে ব্যাপক মনিটরিং করার তাগিদ দেয়া হয়।

বৈঠকে উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাব (ডিপিপি) তৈরির ক্ষেত্রে বিভিন্ন পণ্যের অতিরিক্ত দাম নির্ধারণ, প্রশিক্ষণের নামে বিদেশ সফরসহ অযাচিত ব্যয় নিয়ন্ত্রণের বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। এছাড়া গত অর্থবছরের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির পর্যালোচনা এবং চলতি অর্থবছরের অগ্রগতি বৃদ্ধির বিষয়ে আলোচনা হয়।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন