নভেল করোনাভাইরাসের নমুনা সংগ্রহ ও চিকিৎসার বিষয়ে রিজেন্ট হাসপাতালের সঙ্গে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের চুক্তির ক্ষেত্রে দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধান করছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। অনুসন্ধানের অংশ হিসেবে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সাবেক
ডিজি ডা. আবুল কালাম আজাদকে আবারো ৫ ঘণ্টার বেশি সময় জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন দুদকের অনুসন্ধান কর্মকর্তারা। গতকাল সকাল ১০টার দিকে সেগুনবাগিচায় দুদক কার্যালয়ে উপস্থিত হলে ডা. আবুল কালাম আজাদকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেন দুদক পরিচালক শেখ মো. ফানাফিল্যার নেতৃত্বে একটি দল।
দ্বিতীয় দিনের জিজ্ঞাসাবাদ শেষে বেলা ৩টা ৪০ মিনিটের সময় বেরিয়ে যাওয়ার সময় ডা. আবুল কালাম আজাদ সাংবাদিকদের বলেন, ‘নতুন করে বলার তেমন কিছু নেই।’
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, এ কথা সুস্পষ্টভাবে বলতে চাই যে, কেউ অপরাধ করলে তার কঠোর শাস্তি হোক—এই আমি চাই। এ বিষয়ে তদন্তে আমি সব সহযোগিতা প্রদান করব।
তিনি বলেন, রিজেন্ট হাসপাতালের প্রতারণার অভিযোগ বিষয়ে দুর্নীতি দমন কমিশন তদন্ত করছে। সাবেক মহাপরিচালক হিসেবে এ বিষয়ে আমার কাছ থেকে শোনার জন্য দুদকের কর্মকর্তারা আমাকে আসার জন্য অনুরোধ করেছিলেন। আমি সেজন্যই আজ এসেছিলাম, যা জানি তাদের বলেছি। জেকেজি বিষয়েও আলোচনা হয়েছে। বিষয়টি তদন্তাধীন। তাই এ বিষয়ে বেশি কিছু বলা সমীচীন নয়।
লিখিত বক্তব্যের বাইরে সাংবাদিকদের কোনো প্রশ্নের জবাব দেননি অধ্যাপক আবুল কালাম আজাদ।
এর আগে নিম্নমানের মাস্ক, পিপিই ও অন্যান্য স্বাস্থ্যসরঞ্জাম কেনায় দুর্নীতির অভিযোগের বিষয়ে বুধবার ডা. আবুল কালাম আজাদকে সাড়ে ৪ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ করে দুদক। রিজেন্ট হাসপাতালের সঙ্গে চুক্তির বিষয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সাবেক পরিচালক (ওএসডি) ডা. মো. আমিনুল হাসান, উপপরিচালক মো. ইউনুস আলী এবং গবেষণা কর্মকর্তা ডা. মো. দিদারুল ইসলামকেও বুধবার জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।