জেড ক্যাটাগরি কোম্পানির

উদ্যোক্তা পরিচালকদের শেয়ার বিক্রিতে কমিশনের নিষেধাজ্ঞা

নিজস্ব প্রতিবেদক

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত জেড ক্যাটাগরিতে থাকা মন্দ কোম্পানির উদ্যোক্তা পরিচালকদের শেয়ার বিক্রি, হস্তান্তর, স্থানান্তর প্লেজের বিষয়ে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) গতকাল বিএসইসির চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াতুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ৭৩৫তম কমিশন সভায় সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। তাছাড়া জেড ক্যাটাগরির কোম্পানির পর্ষদ পুনর্গঠনসংক্রান্ত বেশকিছু সিদ্ধান্ত নিয়েছে কমিশন।

কমিশন সভা শেষে বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক (চলতি দায়িত্ব) মুখপাত্র মোহাম্মদ রেজাউল করিম স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, জেড ক্যাটাগরিতে লেনদেনকৃত কোম্পানিগুলোকে ছয় মাসের মধ্যে এজিএম করতে হবে। সব ধরনের শেয়ারহোল্ডার মিটিং (এজিএম/ইজিএম) -ভোটিং বা অনলাইনের সুবিধা প্রদানের মাধ্যমে ডিজিটাল প্লাটফর্মে অথবা হাইব্রিড সিস্টেমে করতে হবে। যেসব কোম্পানি দুই বছর বা তার বেশি সময় ধরে জেড ক্যাটাগরিতে অন্তর্ভুক্ত থাকবে, সেসব কোম্পানি ৪৫ কর্মদিবসের মধ্যে চলমান বোর্ড পুনর্গঠন করতে ব্যর্থ হলে বর্তমান পরিচালক উদ্যোক্তারা অন্য কোনো তালিকাভুক্ত কোম্পানি, পুঁজিবাজার মধ্যস্থতাকারী পুঁজিবাজারসংশ্লিষ্ট কোনো কোম্পানির পরিচালক হিসেবে থাকতে পারবেন না। কমিশন এক্ষেত্রে বিশেষ নিরীক্ষক কমিশন কর্তৃক পর্যবেক্ষক নিয়োগের মাধ্যমে পর্ষদ পুনর্গঠন করে জেড ক্যাটাগরির কোম্পানির সুশাসন নিশ্চিত করবে। পুনর্গঠিত পরিচালনা পর্ষদ চার বছরের মধ্যে কোম্পানির সার্বিক অবস্থার উন্নয়ন করতে ব্যর্থ হলে স্টক এক্সচেঞ্জ সেই কোম্পানিকে তালিকাচ্যুতি করাসহ অন্যান্য আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।

এদিকে কোনো কোম্পানিকে জেড ক্যাটাগরিতে স্থানান্তরের বিষয়ে নতুন করে বেশকিছু শর্তারোপ করেছে কমিশন। শর্তগুলো হচ্ছেছয় মাস বা তার বেশি সময় কোম্পানির উৎপাদন বা কার্যক্রম বন্ধ থাকলে অথবা পরপর দুই বছর নিট পরিচালন লোকসান অথবা পরিচালন কার্যক্রম থেকে নগদ অর্থপ্রবাহ ঋণাত্মক থাকলে অথবা যদি তালিকাভুক্ত কোম্পানির পুঞ্জীভূত লোকসান তার পরিশোধিত মূলধনের চেয়ে বেশি হয় অথবা কোনো তালিকাভুক্ত কোম্পানি যদি সিকিউরিটিজ আইন ভঙ্গ করে, তবে কমিশনের অনুমতিক্রমে স্টক এক্সচেঞ্জ সেই শেয়ারকে জেড ক্যাটাগরিতে স্থানান্তর করতে পারবে। তাছাড়া জেড ক্যাটাগরির কোম্পানির শেয়ার কেনাবেচার প্রক্রিয়া সহজ করার জন্য শেয়ার দেনদেনে নিষ্পত্তির সময় কমিয়ে টি প্লাস থ্রি করেছে বিএসইসি

তাছাড়া গতকালের কমিশন সভায়, পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত বিবিএস কেবলস লিমিটেডের শেয়ার কারসাজি, ইনসাইডার ট্রেডিং যথাসময়ে মূল্যসংবেদনশীল তথ্য প্রকাশ না করায় কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদসহ বিভিন্ন ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান সংশ্লিষ্টদের মোট কোটি ৪০ লাখ টাকা জরিমানা করেছে। এর মধ্যে বিবিএস কেবলসের চেয়ারম্যানের স্ত্রী খাদিজা তাহেরাকে কোটি, এমডি আবু নোমান হাওলাদারকে কোটি, তার ভাই আবু নাইম হাওলাদারকে ১০ লাখ, তার আত্মীয় ফরহাদ হোসেনকে ৩০ লাখ, মনোনীত পরিচালক সৈয়দ ফেরদৌস রায়হান কিরমানিকে লাখ, কবির আহমেদ অ্যান্ড অ্যাসোসিয়েটসকে ২৫ লাখ, ব্রোকারেজ হাউজ প্রুডেনশিয়াল ক্যাপিটালকে ৫৫ লাখ টাকা, আব্দুল কাইয়ুম অ্যান্ড অ্যাসোসিয়েটকে কোটি ৮০ লাখ, মো. নজরুল ইসলাম অ্যান্ড অ্যাসোসিয়েটকে ২৫ লাখ, সৈয়দ আনিসুর রহমানকে ২৫ লাখ হাসান জামিলকে ৩৫ লাখ টাকা জরিমানা করেছে বিএসইসি। এছাড়া যথাসময়ে মূল্যসংবেদনশীল তথ্য প্রকাশ না করায় বিবিএস কেবলসের প্রত্যেক পরিচালককে (স্বতন্ত্র পরিচালক ব্যতীত) ১০ লাখ টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন