যেখানে সেখানে শিল্প গড়ে তোলা যাবে না: অর্থমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক

যেখানে সেখানে ইন্ডাস্ট্রি গড়ে না তোলার সিদ্ধান্ত হয়েছে। আলাদা ইন্ডাস্ট্রির জন্য আলাদা অঞ্চল বরাদ্দ করা হবে। সবার প্রচেষ্টায় আমাদের ইজ অব ডুয়িং বিজনেস সূচকের মান ১৭৬ থেকে ১৬৮-তে উন্নীত হয়েছে। ২০২১ সালের মধ্যে ব্যবসা সহজীকরণ বাইজ অব ডুয়িং বিজনেসসূচক ডাবল ডিজিটে উন্নীত করার নিমিত্ত বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা) সব অংশীজনের সঙ্গে সমন্বয় কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। গতকাল বিডা আয়োজিতইজ অব ডুয়িং বিজনেসসংক্রান্ত জাতীয় স্টিয়ারিং কমিটির অনুষ্ঠিত ভার্চুয়াল সভায় কমিটির সভাপতি অর্থমন্ত্রী মুস্তফা কামাল এসব কথা বলেন।

সভায় আরো সংযুক্ত ছিলেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশী; স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল; স্থানীয় সরকারমন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম; প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প বিনিয়োগবিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান; জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন; নৌ-পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহ্মুদ চৌধুরী; বিদ্যুৎ, জ্বালানি খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ; বিডার নির্বাহী চেয়ারম্যান মো. সিরাজুল ইসলাম প্রমুখ।

অর্থমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করে আমাদের এগিয়ে যেতে হবে। ইজ অব ডুয়িং বিজনেস সূচকের মান উন্নীত করতে পারলে আমাদের সময় বাঁচবে, সময় বাঁচলে আমাদের অহেতুক যে অনেক খরচ বেড়ে যায়, সেটিও বাঁচবে। সময় খরচ দুটিই বাঁচার মাধ্যমে ব্যবসার পরিবেশও অনেক উন্নত হয়ে যাবে।

বিডা ইজ অব ডুয়িং বিজনেসের যে ম্যাপিং করেছে, এটি অত্যন্ত সুন্দর একটি পরিকল্পনা হয়েছে। এটির মাধ্যমে একটি লিনিয়ার রেসপনসিবিলিটি অর্গানাইজেশন চার্ট তৈরি করা হবে। অর্থাৎ নিশ্চিত করতে হবে যে এটির কোন পর্যায়ে কে কাজ করবে, কে কাজ বাস্তবায়ন করবে এবং এর চূড়ান্ত সার্টিফিকেশন দেবে। প্রতিটি ধাপে আমাদের কাজ সুষ্ঠু বাস্তবায়ন নিশ্চিত করতে হবে, টাইম লাইন দিয়ে কাজ সমাপ্ত করা হবে। লক্ষ্যে বিডা বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, বিভাগ সংস্থার সঙ্গে সমন্বয় সাধন করে কাজ করবে। পরিকল্পনা অনুযায়ী আমরা অতি দ্রুতই আরেকটি সভা করব, যেখানে পরিকল্পনা বাস্তবায়নের সঙ্গে আরো যারা সম্পৃক্ত তারাও অন্তর্ভুক্ত থাকবে।

ইজ অব ডুয়িং বিজনেসের জন্য বেশকিছু উদ্যোগ নেয়া হয়েছে, এটার বাস্তবায়নে বেশকিছু জটিলতাও বিশ্বব্যাংক ১০টি সূচকের ভিত্তিতে বিশ্বের দেশগুলোর ব্যবসার পরিবেশের সহজীকরণ প্রতিবেদন তৈরি করে। এর মধ্যে রয়েছে ব্যবসা শুরু, নির্মাণ অনুমোদন, বিদ্যুত্প্রাপ্তি, সম্পত্তি নিবন্ধন, ঋণপ্রাপ্তি, ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীর স্বার্থরক্ষা, কর পরিশোধ, সীমান্ত বাণিজ্য, চুক্তি কার্যকর দেউলিয়াত্ব মীমাংসা। বিশ্বব্যাংকের সংজ্ঞা অনুযায়ী, ব্যবসা শুরুর সূচকটি পরিমাপ করা হয় ব্যবসার বাণিজ্যিক বিরোধ মেটাতে প্রয়োজনীয় সময় ব্যয় এবং -সংক্রান্ত আইনি পদ্ধতির গুণগত মানের ওপর ভিত্তি করে। এর প্রতিটি ক্ষেত্রেই বাংলাদেশকে অগ্রসর হতে হবে। ১০টি সূচকের মধ্যে যে কাজগুলো আগে করলে বেশি মার্কস পাওয়া যাবে, সে বিষয়গুলোকে গুরুত্ব দিয়ে আগে সম্পাদন করতে হবে। সভায় বিষয়গুলো আলোচনা হয়।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন