দুই মাস পর ২০ শতাংশের নিচে নেমেছে দৈনিক নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে সংক্রমণ শনাক্তের হার। এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, গতকাল সকাল পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে মোট নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে সংক্রমণ শনাক্তের হার ছিল ১৯ দশমিক ৮৮ শতাংশ।
অধিদপ্তরের তথ্যমতে, নভেল করোনাভাইরাসে সংক্রমিত সবশেষ দিন রোগী শনাক্তের হার দাঁড়িয়েছে ১৯ দশমিক ৮৮ শতাংশ। ঠিক দুই মাস সময় নিয়ে সংখ্যাটি ২০ শতাংশের নিচে নেমেছে। গত ১৩ জুন পরীক্ষার অনুপাতে রোগী শনাক্তের হার ছিল ১৭ শতাংশ। এর পর থেকে তা ২০-এর নিচে আর নামেনি। বরং তা একদিন ৩২ শতাংশ পর্যন্ত উঠেছিল।
ঠিক ৬০ দিন আগে দেশে দৈনিক নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে সংক্রমণ শনাক্তের হার ছিল ১৭ শতাংশ। এরপর এক লাফে এ হার ২০ শতাংশ অতিক্রম করে যায়। এর মধ্যে জুলাইয়ের মাঝামাঝি সময়ে সংক্রমণ শনাক্তের হার বেড়ে দাঁড়ায় ২৫ শতাংশের ঘরে। ৩ আগস্ট তা ৩২ শতাংশ পর্যন্তও উঠে যায়। ওই দিন ৪ হাজার ২৪৯ জনের নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে ১ হাজার ৩৫৬ জনের দেহে নভেল করোনাভাইরাসের উপস্থিতি শনাক্ত করা হয়। গতকাল সকাল পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ১৩ হাজার ১৬২টি নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে ২ হাজার ৬১৭ জনের সংক্রমণ শনাক্তের কথা জানা গিয়েছে।
এদিকে এ ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনা আক্রান্ত হয়ে আরো ৪৪ জনের মৃত্যুর কথা জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। মৃত্যুবরণকারীদের মধ্যে ৩১ জন পুরুষ ও ১৩ জন নারী। তাদের মধ্যে ষাটোর্ধ্বের সংখ্যাই সবচেয়ে বেশি—২৫ জন। এছাড়া এ সময় ৫১-৬০ বছর বয়সসীমার মধ্যে ১১ জন, ৪১-৫০ বছরের সাত ও ৩১-৪০ বছর বয়সসীমার মধ্যে একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে অধিদপ্তর এখন পর্যন্ত দেশে ৩ হাজার ৫৫৭ জনের নভেল করোনাভাইরাসে সংক্রমিত হয়ে মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করতে পেরেছে। এর মধ্যে পুরুষ ২ হাজার ৮১৩ ও নারী ৭৪৪ জন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে আরো জানানো হয়, এ ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়ে উঠেছে আরো ১ হাজার ৭৮২ জন। এ নিয়ে এখন পর্যন্ত সংক্রমণ নিশ্চিতকৃতদের মধ্যে সুস্থ হয়ে ওঠা রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ৫৪ হাজার ৮৭১-এ। সার্বিক হিসেবে শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৫৭ দশমিক ৫৫ শতাংশ ও মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৩২ শতাংশ।
গতকাল সকাল পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ৮৩১ জনকে আইসোলেশনে রাখা হয়েছে বলে অধিদপ্তরের বিজ্ঞপ্তিতে আরো জানানো হয়। বর্তমানে দেশের বিভিন্ন স্থানে মোট আইসোলেশনে থাকা রোগীর সংখ্যা ১৯ হাজার ৭০৮। এ ২৪ ঘণ্টায় আইসোলেশন থেকে ছাড়া পেয়েছে ৮৩৫ জন। এখন পর্যন্ত মোট ছাড়া পেয়েছে ৪০ হাজার ৩১২ জন।
বিজ্ঞপ্তিতে আরো জানানো হয়, প্রাতিষ্ঠানিক ও হোম কোয়ারেন্টিন মিলিয়ে এ ২৪ ঘণ্টায় কোয়ারেন্টিন করা হয়েছে ২ হাজার ৪৩২ জনকে। এ ২৪ ঘণ্টায় কোয়ারেন্টিন থেকে ছাড়া পেয়েছে ২ হাজার ৪০৮ জন। বর্তমানে সব মিলিয়ে ৫২ হাজার ৯০২ জন কোয়ারেন্টিনে রয়েছে।