শিশুদের ক্লান্তি বা অত্যধিক ঘুম নিয়ে হেলাফেলা নয়

বণিক বার্তা ডেস্ক

মহামারীর কয়েক মাস পেরিয়ে গেলেও শিশুদের ওপর কভিড-১৯-এর প্রভাব সম্পর্কে এখনো পরিষ্কার ধারণা পাওয়া যায়নি। বিশেষজ্ঞরা প্রথম থেকেই শিশুদের ওপর ভাইরাসটির সীমিত প্রভাবের বিষয়টি বলে আসছেন। কিন্তু কোনো বাবা-মা তাদের কথার ওপর ভরসা করে সন্তানদের নিয়ে চিন্তামুক্ত থাকতে পারছেন না।

আমেরিকান একাডেমি অব পেডিয়াট্রিকস কমিটি অন ইনফেকশাস ডিজিজের ভাইস চেয়ার ডা. শোন ল্যারি সোমবার সিএনএনকে বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রে কয়েক মাসের মধ্যে ৯০টি শিশু মারা গেছে। তাই শিশুদের জন্য ভাইরাসটি সম্পূর্ণরূপে ক্ষতিকর নয়, এটা বলা ঠিক হবে না।

এএফপির সপ্তাহে প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, শেষ চার সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্রে শিশুদের মধ্যে ভাইরাসটির সংক্রমণ ৯০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।

মহামারী শুরুর পর থেকে শিশুরা বাড়িতে থাকায় তাদের মধ্যে সংক্রমণ কম ছিল। কিন্তু সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রে বিদ্যালয় খুলে দেয়ার পর থেকে বৃদ্ধি দেখা দিয়েছে। শিশুদের ক্ষেত্রেও প্রাপ্তবয়স্কদের মতো লক্ষণ দেখা দিতে পারে। তবে শরীরে ফুসকুড়ি, শক্তির অভাব, জেগে থাকতে না পারা ইত্যাদি লক্ষণও দেখা দিতে পারে।

এছাড়া অন্য লক্ষণগুলোর মধ্যে রয়েছে পেটে ব্যথা, ডায়রিয়া, ফোলা গ্রন্থি, লাল বা ফোলা ফোলা হাত, লাল ফাটা ঠোঁট এবং গোলাপি বা লাল চোখ। দ্রুত শ্বাস নেয়া বা শ্বাস-প্রশ্বাসের অন্যান্য লক্ষণও উপস্থিত থাকতে পারে।

নিউইয়র্কের শিশু বিশেষজ্ঞ ডা. ড্যানিয়েল কোহেন বলেন, আপনি যদি তাদের ঘুম থেকে সহজে ওঠাতে না পারেন, যদি তারা সারাক্ষণ ঘুমিয়ে পড়তে চায়, ক্লান্ত হয়ে পড়ে, না খায় তবে আপনার অবিলম্বে চিকিৎসককে জানানো জরুরি।

সিএনএন

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন