সংবাদের শিরোনাম আকারে যে প্রশ্নটি উত্থাপিত হয়েছে তার জবাব ‘সম্ভবত না, আবার হ্যাঁ’। গত মাসে মুম্বাই শহরে গবেষকরা এক অদ্ভুত আবিষ্কার করে বসেন। মুম্বাইয়ের বস্তি থেকে সংগ্রহ করা সাত হাজার ব্লাড স্যাম্পলের ৫৭ শতাংশের মধ্যে করোনাভাইরাসের অ্যান্টিবডি পাওয়া যায়।
মুম্বাই প্রশাসন ও টাটা ইনস্টিটিউট অব ফান্ডামেন্টাল রিসার্চের করা এ সমীক্ষা অনেককে ঘাবড়ে দেয়, আবার অনেকে যেন আশার আলো দেখতে পান।
মুম্বাইয়ের বস্তিতে সামাজিক দূরত্ব মেনে চলা অসম্ভব। অবশ্য এটা দুনিয়ার কোনো বস্তিতেই বোধ হয় সম্ভব নয়। তবে মুম্বাইয়ের বস্তিতে সম্ভবত দুনিয়ায় সর্বোচ্চ হারের ইমিউনিটি দেখা যাচ্ছে। ভারতের দিল্লিতে পরীক্ষা করা স্যাম্পলে অ্যান্টিবডি পাওয়া গেছে ২৩ দশমিক ৫ শতাংশ আর নিউইয়র্কে এ হার ১৪ শতাংশ।
ভারতের সায়েন্টিফিক অ্যাডভাইজরি কমিটি অব ইন্ডিয়াস ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব এপিডেমিওলজির চেয়ারম্যান জয়প্রকাশ মুলিয়িল মনে করেন, সম্ভবত মুম্বাইয়ের বস্তিগুলো হার্ড ইমিউনিটি অর্জন করেছে। মুম্বাইয়ে যদি কেউ করোনাভাইরাস সংক্রমণ এড়াতে চায় তাহলে তাকে বস্তিগুলোতে থাকতে হবে।
অবশ্য জনস হপকিনস ব্লুমবার্গ স্কুল অব পাবলিক হেলথের এপিডেমিওলজির অধ্যাপক ডেভিড ডাউডি বলেছেন, মুম্বাইয়ের বস্তির সমীক্ষায় গবেষকরা খুব সম্ভবত অনেক ফলস পজিটিভ পেয়েছেন। ভারতীয় গবেষক ওম শ্রীবাস্তব মনে করেন মহামারীর আট মাসেরও কম সময়ে হার্ড ইমিউনিটি অর্জনের বিষয়ে নিশ্চিত না হওয়াই ভালো।
সিএনএন