হালকা লক্ষণ থেকে তরুণের অর্গান ফেইলিউর!

বণিক বার্তা ডেস্ক

স্পেনসার রলিসন মে মাসে যখন করোনাভাইরাসের হালকা লক্ষণ অনুভব করেছিলেন তখন তিনি সেটিকে সাধারণ ফ্লুর বেশি কিছু ভাবেননি। কিন্তু সপ্তাহ পরই রোগটি তাকে মৃত্যুমুখে নিক্ষেপ করে।

তিনি বলেন, আমি কখনো ভাবিনি ২১ বছর বয়সে আমি মৃত্যুর দুয়ারে পৌঁছে যাব। প্রাথমিকভাবে সংক্রমণটি কেবল ফ্লু বা সর্দির মতো মনে হয়েছিল এবং সেগুলো কয়েকদিন স্থায়ী হয়েছিল। কিন্তু প্রায় দেড় বা দুই সপ্তাহ পরে আমার খারাপ লাগতে শুরু করে।

স্পেনসার হাসপাতালের জরুরি কক্ষে ১০৩ দশমিক ডিগ্রি জ্বর নিয়ে ভর্তি হওয়ার পর চিকিৎসকরা সমস্যা খুঁজে বের করতে তার বুকের এক্স-রে এবং সিটি স্ক্যানসহ বেশ কয়েকটি পরীক্ষা করেছিলেন। ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে অবস্থা গুরুতর হওয়ায় রলিসনকে আইসিইউতে নেয়া হয়। তিনি বলেন, তখন থেকেই শরীরের অনেক অঙ্গপ্রত্যঙ্গের কাজ বন্ধ হয়ে যাওয়া শুরু হয়েছিল।

তার এই যন্ত্রণাদায়ক অভিজ্ঞতা তরুণদের ওপর ভাইরাসটির প্রভাব নিয়ে চিকিৎসকদের নতুন করে ভাবাচ্ছে। অনেকগুলো লক্ষণ ছাড়াই শরীরে খারাপভাবে সংক্রমণ হতে পারে বলে মনে হচ্ছে। যদিও মানুষভেদে ভাইরাসটি কেমন প্রতিক্রিয়া দেখাবে তা এখনো নিশ্চিত করে বলা যায় না।

রলিসন বলেছেন, চিকিৎসকরা তাকে বলেছিলেন যে তিনি হূদরোগ, শ্বাসযন্ত্রের কার্যক্ষমতা হারানো গুরুতর বিষক্রিয়ার মুখোমুখি হওয়ার আগে তার শরীর ভাইরাসটির বিরুদ্ধে লড়াই করার চেষ্টা করেছে। সুস্থ হওয়ার কয়েক সপ্তাহ পরে এখনো তার হূত্স্পন্দনের হার পর্যবেক্ষণ করা হয় এবং তিনি রক্তচাপের ওষুধ খাচ্ছেন। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, ওষুধগুলো সম্ভবত কমপক্ষে আরো এক বছর অব্যাহত থাকবে।

সিএনএন

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন