বায়ু ও সৌরবিদ্যুৎ উৎপাদনে রেকর্ড, কয়লায় পতন

বণিক বার্তা ডেস্ক

২০২০ সালের প্রথমার্ধে বৈশ্বিক বিদ্যুতের ১০ শতাংশ উৎপাদন হয়েছে বায়ু সৌরশক্তির মাধ্যমে। অন্যদিকে সময়ে বিশ্বের কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোয় উৎপাদন কার্যক্রম পরিচালিত হয়েছে সক্ষমতার অর্ধেকেরও কম। গতকাল থিংক ট্যাংক এম্বার এনার্জির প্রকাশিত এক প্রতিবেদন অনুযায়ী, মহামারীর করাণে চাহিদায় প্রায় রেকর্ড পতনের পরও নবায়নযোগ্য উৎস থেকে জানুয়ারি-জুনে বিদ্যুৎ উৎপাদন হয়েছে হাজার ১২৯ টেরাওয়াট ঘণ্টা। উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের একই সময়ে এর পরিমাণ ছিল ৯৯২ টেরাওয়াট ঘণ্টা। সব মিলিয়ে ২০১৫ সালের দশমিক শতাংশের থেকে সৌর বায়ুবিদ্যুতের উৎপাদন বেড়েছে দ্বিগুণেরও বেশি। অন্যদিকে জীবাশ্ম জ্বালানির মধ্যে সবচেয়ে দূষণকারী কয়লা থেকে চলতি বছরের প্রথমার্ধে বিদ্যুৎ উৎপাদনে পতন হয়েছে দশমিক শতাংশ। এএফপি।

এম্বারের জ্যেষ্ঠ বিদ্যুৎ বিশ্লেষক ডেভ জোনস বলেন, ২০১৫ সালের তুলনায় বছর  বায়ু সৌরবিদ্যুতের উৎপাদন উল্লেখযোগ্য পরিমাণে বেড়েছে। যখন আমরা প্রশ্ন করি, পরিমাণ নবায়নযোগ্য বিদ্যুতের উৎপাদন যথেষ্ট কিনা, তখন মূলত যে বিষয়টি বিবেচনায় থাকে সেটি হলো, কত দ্রুত দূষণ কমছে। জীবাশ্ম জ্বালানি দূষণের ৩০ শতাংশেরই উৎস কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র। এর মানে হলো, জলবায়ু পরিবর্তন সীমিত করতে চাইলে কয়লানির্ভর বিদ্যুৎ উৎপাদনের দ্রুত পতন হওয়া জরুরি। তবে আশার কথা, বিশ্লেষণ অনুযায়ী বিশ্বের শীর্ষ অর্থনীতির দেশের মধ্যে চীন, যুক্তরাষ্ট্র, ভারত, জাপান, ব্রাজিল তুরস্ক তাদের মোট বিদ্যুতের ১০ শতাংশ এখন বায়ু সৌরশক্তির মাধ্যমে উৎপাদন করছে। তবে এক্ষেত্রে সবচেয়ে এগিয়ে আছে যুক্তরাজ্য ইউরোপীয় ইউনিয়ন। নবায়নযোগ্য উৎস থেকে তাদের বিদ্যুৎ উৎপাদনের হার যথাক্রমে ২১ ৩৩ শতাংশ, যা বর্তমান প্রেক্ষাপটে সত্যিকার অর্থেই প্রশংসার দাবিদার।

প্যারিস চুক্তি অনুসারে বিভিন্ন দেশ প্রধানত কার্বন নিঃসরণ হ্রাসের মাধ্যমে বৈশ্বিক তাপমাত্রা বৃদ্ধি দুই ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে রাখার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। আর লক্ষ্য অর্জনে জাতিসংঘের মতে, চলতি দশকেই কার্বন নিঃসরণ অবশ্যই দশমিক শতাংশের নিচে নামিয়ে আনতে হবে।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন