সুবিধাজনক অবস্থানে থেকেও ম্যানচেস্টার টেস্টে হারের মুখ দেখতে হয়েছিল পাকিস্তানকে। ক্রিস ওকস ও জস বাটলারের দারুণ নৈপুণ্যে মুঠো থেকে বেরিয়ে যাওয়া ম্যাচ নিজেদের করে নেয় স্বাগতিক ইংল্যান্ড। অধিকাংশ সময় নাগালে থাকা ম্যাচ হাতছাড়া করা অতিথিদের এখন সামনে এসেছে ঘুরে দাঁড়ানোর সুযোগ। সাউদাম্পটনে জিততে পারলে তিন ম্যাচের সিরিজে সমতা আনতে পারবে পাকিস্তান। কিন্তু হারলে সিরিজ হাতছাড়া হওয়ার পাশাপাশি পিছিয়ে পড়বে টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের লড়াইয়েও। অন্যদিকে নাটকীয় প্রত্যাবর্তনে ম্যাচ নিজেদের করে নেয়া ইংলিশরা দ্বিতীয় টেস্টে বেশ উজ্জীবিত হয়েই মাঠে নামবে।
অবশ্য দ্বিতীয় টেস্টে মাঠে নামার আগে সুসংবাদ পাচ্ছে পাকিস্তান, যা পক্ষান্তরে ইংলিশদের কপালে দুশ্চিন্তার ভাঁজ ফেলছে। এ ম্যাচে ব্যক্তিগত কারণে খেলতে পারছেন না ইংল্যান্ডের অন্যতম নির্ভরযোগ্য তারকা বেন স্টোকস। এ তারকা অলরাউন্ডারকে হারানো জো রুটের দলের জন্য বড় ধাক্কাই বলা যায়। গুরুত্বপূর্ণ সময়ে একাই ম্যাচের ভাগ্য গড়ে দিতে পারেন স্টোকস। তবে স্টোকসের পরিবর্তে দলে জায়গা পেতে পারেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে নৈপুণ্য প্রদর্শন করা জ্যাক ক্রলওয়ে। নিজেকে প্রমাণে এটা ক্রলওয়ের জন্য বড় মঞ্চও বটে। পাশাপাশি ধারণা করা হচ্ছে, স্টোকস ছাড়াও আরো পরিবর্তন আসতে পারে স্বাগতিক শিবিরে। যেখানে পেসার জেমস অ্যান্ডারসনের পরিবর্তে ওলি রবিনসনের অভিষেক হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে এ ম্যাচ দিয়ে।
অন্যদিকে পাকিস্তান দলেও আছে পরিবর্তনের সম্ভাবনা। ব্যাট হাতে সাত নম্বরে ভালো করলেও চতুর্থ দিন লেগব্রেকে খুব বেশি কার্যকারিতা দেখাতে পারেননি অলরাউন্ডার শাদাব খান। বিকল্প হিসেবে অভিষেকের অপেক্ষায় থাকায় কাশিফ ভাট্টিও স্কোয়াডে আছেন। এখন দুজনের মাঝে কাকে স্কোয়াডে রাখা হবে, সেটি জানার জন্য হয়তো ম্যাচ শুরু পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। এছাড়া হারলেও পাকিস্তানের জন্য সেই ম্যাচটি থেকে অনেক প্রাপ্তি আছে। তাই একটি পরিবর্তনের সম্ভাবনা বাদ দিলে পাকিস্তানে আর তেমন কোনো পরিবর্তনের সুযোগ নেই। প্রথম ইনিংসে শান মাসুদ ও বাবর আজম ব্যাট হাতে নৈপুণ্য দেখিয়েছিলেন। দুই ইনিংসেই বোলাররা দেখিয়েছেন নিজেদের সক্ষমতা। সব মিলিয়ে চতুর্থ দিনের শেষ বেলায় ওকস-বাটলার অবিশ্বাস্য প্রতিরোধ গড়ে না তুললে জয়টা মুঠোতেই চলে এসেছিল আজহার আলীর দলের। তবে নিজেদের নামের পাশে ‘আনপ্রেডিক্টেবল’ বিশেষণটিকে ফিরিয়ে এনেই হেরেছিল তারা।
এ অবস্থায় দ্বিতীয় ম্যাচ সামনে রেখে পাকিস্তানের প্রধান কোচ মিসবাহ উল হক বলেন, আমাদের মনে রাখা উচিত শেষ সেশনের আগ পর্যন্ত ম্যাচে আমরা বেশ ওপরের দিকেই ছিলাম এবং আমরা খুব ভালো ক্রিকেট খেলেছি। নিশ্চিতভাবেই আমাদের ১০ থেকে ১৫ শতাংশ উন্নতি করতে হবে এবং চাপের মুখে আরো ভালোভাবে রুখে দাঁড়াতে হবে। আমাদের কোনোভাবেই মানসিকভাবে ভেঙে পড়লে চলবে না।
ক্রিকইনফো, আইসিসি
