দাঁতের রুটিন চিকিৎসা এড়ানোর পরামর্শ ডব্লিউএইচওর

বণিক বার্তা ডেস্ক

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) বলেছে, কভিড-১৯ সংক্রমণ হার পর্যাপ্ত পরিমাণে হ্রাস না হওয়া পর্যন্ত রুটিন, অপরিহার্য নয় দাঁতের এমন চিকিৎসা স্থগিত করা উচিত। মঙ্গলবার সংস্থাটি রোগীদের মুখ থেকে অ্যারোসল তৈরি করে এমন পদ্ধতির বিষয়ে সতর্ক করে দিয়েছে। মহামারী চলাকালীন সংক্রমণের ঝুঁকি হ্রাস সম্পর্কে দন্ত চিকিৎসকদের জন্য নির্দেশিকা প্রকাশ করে ডব্লিউএইচও বলেছে, রুটিন চেকআপ, দাঁত পরিষ্কার প্রতিরোধমূলক যত্ন স্থগিত করা যেতে পারে।

জাতিসংঘের স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে, অনেক দেশে দাঁতের পরিষেবাগুলো আবার শুরু হচ্ছে, বেশ কয়েকটি পদ্ধতি এমনভাবে করা যেতে পারে যাতে অ্যারোসল বা বাতাসে ভেসে বেড়ানো মাইক্রো-ড্রপলেটগুলো হ্রাস করা যায়।

নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, ডব্লিউএইচও পরামর্শ দেয় যে রুটিন চিকিৎসা, যার মধ্যে রয়েছে সাধারণত মৌখিক স্বাস্থ্য পরীক্ষা-নিরীক্ষা, দাঁত পরিষ্কার প্রতিরোধমূলক যত্ন। যতদিন পর্যন্ত কভিড-১৯-এর কমিউনিটি ট্রান্সমিশন থেকে ক্লাস্টার সংক্রমণগুলো পর্যাপ্ত হারে কমে না আসে ততদিন পর্যন্ত এগুলো স্থগিত রাখুন। এটা দাঁতের সৌন্দর্যবর্ধন চিকিৎসার ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য। তবে অত্যন্ত দরকারি বা জরুরি মুখের চিকিৎসা যেমন গুরুতর ব্যথা বা জীবনের মান সুরক্ষার জন্য জরুরি বিষয়গুলোতে সেবা দেয়া উচিত।

ডব্লিউএইচও বলেছে, যদি সম্ভব হয় তবে অ্যাপয়েন্টমেন্টের আগে রোগীদের দূর থেকে পরীক্ষা করা উচিত। মঙ্গলবার ডব্লিউএইচওর মাধ্যমে আগস্টের অন্তর্বর্তীকালীন নির্দেশিকাটি প্রচারিত হয়েছিল। স্বাস্থ্য সংস্থাটি বলেছে, দন্ত চিকিৎসকরা নভেল করোনাভাইরাসে সংক্রমিত হওয়ার উচ্চঝুঁকিতে রয়েছে। মুখের স্বাস্থ্যসেবা দলগুলো দীর্ঘকাল ধরে রোগীদের মুখের ঘনিষ্ঠতায় কাজ করে। তাদের চিকিৎসা পদ্ধতিগুলোর মধ্যে মুখোমুখি যোগাযোগ, লালা, রক্ত শরীরের অন্য তরলগুলোর সংস্পর্শে আসা এবং তীক্ষ যন্ত্রগুলো পরিচালনা করা জড়িত। তাই তারা কভিড-১৯ সংক্রমিত হওয়ার বা রোগীদের সংক্রমিত করার ঝুঁকির মধ্যে রয়েছেন।

আল্ট্রাসোনিক স্কেলারের সাহায্যে ডেন্টাল ক্লিনিং পলিশ করা, হাত দিয়ে ব্যবহারযোগ্য উচ্চ বা কম গতির যন্ত্রাংশ দিয়ে কাজ করা, অস্ত্রোপচার করে দাঁত তোলা এবং দাঁত বসানোর সঙ্গে অ্যারোসল উৎপাদন পদ্ধতি (এজিপি) অন্তর্ভুক্ত থাকে। ডব্লিউএইচওর নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, ভাঙা দাঁত অর্থোডন্টিক সরঞ্জাম এবং দাঁতের ক্ষয় চিকিৎসা করার সময় এজিপিগুলো হ্রাস বা এড়িয়ে চলা যেতে পারে।

ডব্লিউএইচওর ডেন্টাল চিফ বেনোইট ভারেন সাংবাদিকদের বলেছেন, মুখের রোগ অনেক দেশেই একটি উপেক্ষিত স্বাস্থ্য ব্যবস্থা হিসেবে বিবেচিত ছিল। অথচ এটা সারা জীবন মানুষকে প্রভাবিত করে। বিশ্বজুড়ে সর্বশেষ যে অনুমানগুলো পাওয়া যায় তা দেখায় যে দশমিক বিলিয়ন মানুষ মুখের রোগে আক্রান্ত। স্থায়ী দাঁতে চিকিৎসা না করা দাঁতের ক্ষয় হলো মানুষের সবচেয়ে সাধারণ স্বাস্থ্য অবস্থা।

তিনি বলেন, একটি সমীক্ষায় দেখা গেছে, ৭৫ শতাংশ ডব্লিউএইচওর সদস্য দেশে মহামারী চলাকালে দাঁতের পরিষেবাগুলো সম্পূর্ণ বা আংশিকভাবে ব্যাহত হয়েছিল।

বেনোইট ভারেন মহামারীর সময়কালে দাঁতের সেবা দিতে কাজ করা চিকিৎসকদের ব্যক্তিগত সুরক্ষা সরঞ্জামের (পিপিই) প্রাপ্যতা নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন।

স্ক্রলডটইন

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন