যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম ভারতীয়-আফ্রিকান ভাইস-প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী কমলা

বণিক বার্তা অনলাইন

ডেমোক্র্যাটিক পার্টি থেকে প্রেসিডেন্ট প্রার্থিতার দলীয় মনোনয়ন পেতে জোরেসোরে মাঠে নেমেছিলেন কমলা হ্যারিস। সেই লড়াই থামিয়ে দেয়ার কয়েক মাসের মাথায় ডেমোক্র্যাটিক টিকিটে আরেক লড়াইয়ে নামলেন তিনি। 

এক বছর আগে ক্যালিফোর্নিয়ার এ সিনেটর বিপুল জনসমাবেশের সামনে বারবার হাজির হয়েছেন। বিশেষ করে বর্ণবৈষম্য নিয়ে বিতর্কে তিনি ছিলেন বলতে গেলে সবচেয়ে শক্তিশালী কণ্ঠ। এ নিয়ে একই দল থেকে প্রেসিডেন্ট প্রার্থিতার আরেক মনোনয়ন প্রত্যাশী জো বাইডেনের সঙ্গে একাধিকবার উত্তপ্ত বিতর্কে জড়িয়েছেন তিনি। তবে ২০১৯ সালের শেষ নাগাদ প্রচারণা থেকে সরে যান। 

এখন সেই জো বাইডেনই তাকে রানিংমেট হিসেবে পেতে চান। কমলা হ্যারিসকেই ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবে ঘোষণা দিয়েছেন তিনি।

৫৫ বছর বয়সী কমলা হ্যারিসই প্রথম কৃষ্ণাঙ্গ এবং এশীয়-আমেরিকান নারী যিনি ডেমোক্র্যাট থেকে ভাইস প্রেসিডেন্ট প্রার্থী মনোনীত হলেন। তার জন্ম ক্যালিফোর্নিয়ার অকল্যান্ডে। দুই অভিবাসী দম্পতির ঘরে তার জন্ম। বাবা জ্যামাইকা আর মা ভারতের তামিলনাড়ু থেকে আসা অভিবাসী। বাবা-মা তারা দুজনেই বিজ্ঞানী এবং যার যার ক্ষেত্রে কৃতবিদ্যা। মিশ্র বংশীয় কমলা হ্যারিস মার্কিন সিনেটের কনিষ্ঠ সদস্য।

বাবা-মায়ের বিচ্ছেদের পর কমলা তার ভারতীয় বংশোদ্ভূত মা শ্যামলা গোপালান হ্যারিসেই কাছেই বড় হোন। শ্যামলা একজন ক্যানসার গবেষক এবং নাগরিক অধিকার কর্মী।

কমলা বড় হয়েছেন ভারতীয় ঐতিহ্যের মধ্যে। মায়ের সঙ্গে তিনি একাধিকবার ভারতে এসেছেন। যদিও তার মা অকল্যান্ডে কৃষ্ণাঙ্গদের সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যকেই মনেপ্রাণে ধারণ করেছিলেন। তবে সেই সঙ্গে দুই মেয়ে কমলা ও মায়াকে এই দুই সংস্কৃতির মধ্যেই বড় করেছেন তিনি।

এর আগে কমলা হ্যারিস কিছু সময়ের জন্য কানাডা ছিলেন। মা শ্যামলা সেখানে ম্যাকগিল ইউনিভার্সিটিতে শিক্ষকতার চাকরি নিয়েছিলেন। কমলা ও মায়া সেখানে মন্ট্রিলের স্কুলে পাঁচ বছর পড়েছেন। এরপর কমলা যুক্তরাষ্ট্রের কলেজে ভর্তি হোন। ঐতিহাসিকভাবে কৃষ্ণাঙ্গদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান হিসেবে পরিচিত হাওয়ার্ড ইউনিভার্সিটিতে চার বছর পড়েছেন তিনি। 

ক্যালিফোর্নিয়ার সিনেটর কমলা হ্যারিস ক্যালিফোর্নিয়ার অ্যাটর্নি জেনারেলের দায়িত্ব পালন করেছেন।

বিবিসি অবলম্বনে

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন