মহম্মদপুরে অস্থায়ী পুলিশ ক্যাম্পের উপযোগিতা বিষয়ক কর্মশালা

বণিক বার্তা অনলাইন

মাগুরার মহম্মদপুর উপজেলার বাবুখালী অস্থায়ী পুলিশ ক্যাম্পের উপযোগিতা বিষয়ক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ক্যাম্প প্রত্যাহার করে নেওয়া কতটা সময়োপযোগী সে সম্পর্কে কর্মশালায় উপস্থিত এলাকার মানুষের উন্মুক্ত মতামত গ্রহণ করা হয়।

গতকাল সোমবার সকালে ১১টার সময় বাবুখালী ইউনিয়ন পরিষদ হলে রুমে এ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।

কর্মশালায় জানানো হয়, বিগত সময়ে খুন, ধর্ষণ ও বিভিন্ন উগ্রবাদী গোষ্ঠির তৎপরতা মোকাবেলায় থানা এলাকায় বিভিন্ন অস্থায়ী পুলিশ ক্যাম্প স্থাপন করা হয়। মহম্মদপুর উপজেলার বাবুখালী পুলিশ ক্যাম্পটি তেমনভাবেই স্থাপন করা হয়। এ ধরনের ক্যাম্প স্থাপনের মাধ্যমে পুলিশের সফল তৎপরতায় পূর্বের সেই পরিস্থিতির আশু উন্নতি ঘটেছে বলেও উল্লেখ করা হয়।

মানুষের দৈনন্দিন মৃত্যুভয়, আতংক থেকে মুক্তি ও সমাজে শান্তি প্রতিষ্ঠিত হয়েছে বলেও দাবি করা হয়। বর্তমান চলমান সামাজিক পরিস্থিতিতে এ ধরনের অস্থায়ী ক্যাম্পগুলো পূর্বের ন্যায় চলমান রাখা কিংবা স্থায়ীকরণে জমি না পাওয়ায় প্রত্যাহার করে নেওয়া কতটা সময়োপযোগী সে সম্পর্কে কর্মশালায় উপস্থিত এলাকার মানুষের উন্মুক্ত মতামত গ্রহণ করা হয়।

ক্যাম্প নির্মাণে মোট ৩৩ শতাংশ জমির প্রয়োজন। স্থায়ী জায়গা না পাওয়া গেলে দ্রুত বাবুখালী অস্থায়ী ক্যাম্প সরিয়ে নেওয়া হবে বলে জানা গেছে। 

অনুষ্ঠানে মহম্মদপুর থানার অফিসার ইনচার্জ তারক বিশ্বাসের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন মাগুরা পুলিশ সুপার খান মোহম্মদ রেজোয়ান, বিশেষ অতিথি ছিলেন, মহম্মদপুর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহেল কাফী।

এছাড়া অনুষ্ঠানে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য দেন, সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার, (শালিখা সার্কেল) আবির সিদ্দিকি শ্রভ্র, সহকারী কমিশনার (ভূমি) শেখ মো. রাসেল, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মো. বরকত আলী, ১ নং বাবুখালী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যা মীর মো সাজ্জাদ আলী, দীঘা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান সিরাজুল ইসলাম হিরু মিয়া, বিনোদপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান শিকদার মিজানুর রহমান, সাবেক পাঁচ বার নির্বাচিত চেয়ারম্যান সৈয়দ হাফিজুর রহমান বাকি মিয়া, বাবুখালী পুলিশ ক্যাম্প ইনচার্জ সৈয়দ ফরহাদ হোসেনসহ স্থানীয় ব্যক্তিবর্গ ও মাধ্যমিক, মাদরাসার শিক্ষকরা উপস্থিত ছিলেন।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন