করোনাভাইরাসের (কভিড-১৯) বৈশ্বিক মহামারীর প্রাদুর্ভাবের কারণে আর্থিকভাবে ক্ষতির শিকার হয়েছে রঙ মিস্ত্রিসহ প্রতিদিনের আয়ের ওপর নির্ভরশীল লাখো মানুষ।
গত তিন মাসে এটা মারাত্মক আকার ধারণ করেছে।
তাই এ সংকটকালীন রঙ মিস্ত্রিদের সহায়তায় বার্জার পেইন্টস বাংলাদেশ বেশকিছু উদ্যোগ গ্রহণ করেছে।
সুরক্ষিত উপায়ে রঙ সংক্রান্ত সেবা নিশ্চিত করতে বার্জার পেইন্টস বাংলাদেশ লিমিটেড সম্প্রতি সারা দেশের ছয় হাজার রঙ মিস্ত্রির মাঝে ব্যক্তিগত সুরক্ষা উপকরণ (পিপিই), ৬৫ হাজার মাস্ক, ছয় হাজার মি. এক্সপার্ট হ্যান্ড স্যানিটাইজার (প্রতিষ্ঠানটির নতুন পণ্য) এবং ৩০ হাজার গ্লাভ বিতরণ করেছে।
এছাড়া প্রতিষ্ঠানটি ১৭ হাজার রঙ মিস্ত্রিকে জরুরি তহবিল সহায়তা হিসেবে ১ কোটি ৩৫ লাখ টাকা প্রদান করে।
পাশাপাশি এ প্রতিকূল পরিস্থিতিতে ‘সম্পর্ক ক্লাব’-এর সদস্যদের (রঙ মিস্ত্রি) ডিজিটাল স্বাস্থ্যসেবা প্রদানের লক্ষ্যে বার্জার পেইন্টস বাংলাদেশ ডিজিটাল স্বাস্থ্যসেবা ‘টনিক’-এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে।
এ প্যাকেজের আওতায় ক্লাবের সদস্যরা এরই মধ্যে মৃত্যু কিংবা শারীরিক অক্ষমতাজনিত কারণে ১ লাখ টাকা ক্যাশব্যাক, হাসপাতালে ভর্তিজনিত কারণে ১ লাখ টাকা সুবিধা, ২৪ ঘণ্টা চিকিৎসকের পরামর্শ এবং এক হাজারেরও বেশি পার্টনার আউটলেট থেকে ৫০ শতাংশ পর্যন্ত ছাড় সুবিধা উপভোগ করছেন।
কভিড-১৯ বৈশ্বিক মহামারীতে রূপ নেয়ায় বার্জার টনিকের সঙ্গে অংশীদারিত্বের বিদ্যমান স্বাস্থ্য প্যাকেজের আওতায় নতুন এ রোগের ক্ষয়ক্ষতির বিষয়কেও অন্তর্ভুক্ত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
এর আগের স্বাস্থ্য প্যাকেজটি চলতি বছরের ৩১ মার্চ শেষ হওয়ার কথা ছিল।
কিন্তু কভিড-১৯-এর কারণে কাভারেজ সময়সীমা বৃদ্ধি করা হয় এবং বার্জার পেইন্টস ও টনিকের স্বাস্থ্য প্যাকেজটি অনির্দিষ্ট সময়ের জন্য বজায় থাকবে।
—বিজ্ঞপ্তি