মহামারীর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে বিশ্ব কি জিতছে?

বণিক বার্তা ডেস্ক

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) একটি নতুন ভাইরাসের আগমনকে বৈশ্বিক জরুরি অবস্থা হিসেবে ঘোষণার পর ছয় মাসেরও বেশি সময় পেরিয়ে গেছে। জানুয়ারির শেষ নাগাদ করোনাভাইরাসের সংক্রমণের প্রায় ১০ হাজারটি ঘটনা ঘটেছিল এবং ২০০ জনেরও বেশি লোক মারা গিয়েছিল। সেই মৃত্যুর কোনোটিই চীনের বাইরে ছিল না। সেই থেকে আজ অবধি বিশ্ব আমাদের জীবন গভীরভাবে পরিবর্তন হয়েছে।

ডব্লিউএইচওর ডা. মার্গারেট হ্যারিস বলেছেন, আমরা এখনো একটি তীব্রতর, প্রচণ্ড এবং অত্যন্ত মারাত্মক মহামারীর মধ্যে আছি। বিশ্বের প্রতিটি সম্প্রদায়ই ঝুঁকিতে রয়েছে।

যদিও এটা একক মহামারী, তবে একক কোনো গল্প নয়। তবে একটা বিষয় সবাইকে এক করে দেয় যে আমরা যত বেশি একত্র হব, তত সহজে ভাইরাসটির বিস্তার ঘটবে। চীনে ভাইরাসটির প্রথম আবির্ভূত হওয়া থেকে আজ পর্যন্ত কথাটি সত্য।

এটা ব্যতিক্রমী একটি জটিল ভাইরাস হিসেবেও প্রমাণিত হয়েছে। অনেকের জন্য এটা হালকা বা কোনো লক্ষণ দেখা যায়নি আবার অনেকের জন্য হাসপাতালে দীর্ঘ সময় লড়াই করে সেরে ওঠাও যথেষ্ট মারাত্মক ছিল। ভাইরাসটির সংক্রমণের বিস্তার কমিয়ে আনতে বিশ্বজুড়ে নানা পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। কিন্তু ভাইরাসটির বিরুদ্ধে লড়াইয়ের শেষ হবে কবে?

ভাইরাসটির চিকিৎসায় এরই মধ্যে কয়েকটি ওষুধ কিছুটা কার্যকর হিসেবে প্রমাণিত হয়েছে। তবে সেগুলো মানুষের মৃত্যু ঠেকাতে বা সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়া রোধ করতে যথেষ্ট নয়। তাই বিশ্বের স্বাভাবিক জীবন ফিরে পাওয়ার আশা একটি ভ্যাকসিনে বেঁধে রয়েছে।

বিবিসি

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন