৭ মাসে ৩ হাজার ৭৮৫ টন স্বর্ণ কিনেছেন বিনিয়োগকারীরা

বণিক বার্তা ডেস্ক

ইতিহাসের সর্বোচ্চ চাঙ্গা অবস্থায় রয়েছে স্বর্ণের বাজার। আন্তর্জাতিক বাজারে মূল্যবান ধাতুটির দাম প্রথমবারের মতো হাজার ডলারের মাইলফলক ছাড়িয়ে গেছে। এর পেছনে প্রভাবক হিসেবে সবচেয়ে বড় ভূমিকা রেখেছে করোনাকালে স্বর্ণের রেকর্ড চাহিদা বৃদ্ধি। মহামারীর সময় বিনিয়োগকারীরা অর্থলগ্নির তুলনামূলক নিরাপদ উৎস বিবেচনা করে বেশি বেশি স্বর্ণ কিনছেন। ধারাবাহিকতায় অন্যতম বিনিয়োগ মাধ্যম এক্সচেঞ্জ ট্রেডেড ফান্ড (ইটিএফ) হিসেবে চলতি বছরের প্রথম সাত মাসে (জানুয়ারি-জুলাই) বিশ্বজুড়ে বিনিয়োগকারীরা প্রায় হাজার ৮০০ টন স্বর্ণ কিনেছেন। ওয়ার্ল্ড গোল্ড কাউন্সিলের (ডব্লিউজিসি) এক নোটে তথ্য জানানো হয়েছে। খবর সিনহুয়া মেটাল বুলেটিন।

ডব্লিউজিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চলতি বছরের জানুয়ারি-জুলাই সময়ে বিশ্বজুড়ে ইটিএফ খাতে সব মিলিয়ে হাজার ৭৮৫ টন স্বর্ণ কেনা হয়েছে। ইতিহাসে এটাই ইটিএফ হিসেবে স্বর্ণ কেনার সর্বোচ্চ পরিমাণ। এর মধ্যে শুধু জুলাইয়েই ইটিএফ খাতে মূল্যবান ধাতুটির চাহিদা দাঁড়িয়েছে ১৬৬ টনে। যার বাজারমূল্য ৯৭০ কোটি ডলার। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ১১৭ দশমিক টন স্বর্ণ যুক্ত হয়েছে উত্তর আমেরিকার দেশগুলোর ইটিএফ খাতে।

বিনিয়োগ হিসেবে স্বর্ণের চাহিদা প্রবৃদ্ধি মূল্যবান ধাতুটির দাম নির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ প্রভাবক হিসেবে কাজ করেছে। ইতিহাসের সর্বোচ্চ অবস্থানে উঠেছে স্বর্ণের দাম। সাধারণত বিশ্ব অর্থনীতিতে অনিশ্চয়তা কিংবা ভূরাজনৈতিক উত্তেজনা দুই কারণে স্বর্ণের বাজার চাঙ্গা হয়। বর্তমান বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে দুটো উপাদান বিদ্যমান। করোনা মহামারীতে চরম অনিশ্চিত অবস্থার মধ্য দিয়ে সময় পার করছে বিশ্ব অর্থনীতি। ইতিহাসের সবচেয়ে ভয়াবহ অর্থনৈতিক মন্দার আশঙ্কা করা হচ্ছে। অন্যদিকে চীন-ভারত, উত্তর-দক্ষিণ কোরিয়া, চীন-মার্কিন ভূরাজনৈতিক উত্তেজনা আন্তর্জাতিক বাজারে স্বর্ণের রেকর্ড মূল্যবৃদ্ধিতে প্রভাবক হিসেব কাজ করেছে।

ধারাবাহিকতায় হাজার ডলারের মাইলফলক ছাড়িয়ে গেছে স্বর্ণের আউন্স। ডব্লিউজিসির প্রাইস ইনডেক্স অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্রের স্পটমার্কেটে সর্বশেষ কার্যদিবসে প্রতি আউন্স স্বর্ণ বেচাকেনা হয়েছে হাজার ৩৫ ডলার ২০ সেন্টে। এর আগে আগস্ট যুক্তরাষ্ট্রের স্পটমার্কেটে প্রতি আউন্স স্বর্ণের দাম উঠেছিল হাজার ৬৭ ডলার ২০ সেন্টে। ডব্লিউজিসি বলছে, ইতিহাসে এটাই স্বর্ণের সবচেয়ে বেশি দাম। মূল্যবান ধাতুটির মূল্যবৃদ্ধি দীর্ঘমেয়াদে বজায় থাকার সম্ভাবনা রয়েছে।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন