স্মৃতিতে জলিল স্যার

শহীদুল ইসলাম ফারুক

‘দেখো লোকে হাসাহাসি করবে’, একজন প্রকৃত শিক্ষক কীভাবে বিখ্যাত ও খ্যাতিমান হয় একজন ছাত্রকে কতোভাবে মোটিভেট করে মোড় ঘুরিয়ে দিতে পারেন তার একটি জীবন্ত উদাহরণ এ বাক্যাংশ। আমি ১৯৭২-র শুরু থেকে ১৯৭৬ সালে স্নাতক চূড়ান্ত পরীক্ষা পর্যন্ত নোয়াখালী সরকারি কলেজে বাণিজ্য বিভাগে জলিল স্যারের সরাসরি ছাত্র ছিলাম। মূহুর্তে আমার স্মৃতি আমাকে তাড়া করে নিয়ে গেল এখন থেকে প্রায় ৪৯ বছর আগের দিনগুলোতে। হঠাত আবেগ আপ্লুত হয়ে পড়ি। কিছুক্ষণ দুচোখ বন্ধ করে সেই ’৭২ থেকে মধ্য ’৭৬ এর দিনগুলোতে বিচরণ করতে থাকি।

আগেই বলে রাখা ভালো অধ্যাপক আবদুল জলিল স্যারের মূল্যায়ন করার চেষ্টা আমার জন্য ধৃষ্টতা, আর লেখা বলতে যা বোঝায় সে যোগ্যতায় আমি শূন্যের কোঠায়। কেবল মনের ইচ্ছায় নিজের দেখা মত কিছু স্মৃতিচারণ করে সম্মান প্রদর্শন ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশের একটা সুযোগ নেয়ার জন্যই এই দীর্ঘ স্মৃতিচারণ। 

আমার ১৯৭১ সালের এসএসসি পরীক্ষা ১৯৭২ সালের শুরুতে পাস করে নোয়াখালী সরকারি কলেজে ভর্তি পরীক্ষা দিতে গেলাম। হোস্টেলে যাওয়ার গলির বাম হাতের কক্ষে আমার মৌখিক পরীক্ষার ডাক পড়লো। নতুন কলেজে ভর্তির একটা উত্তেজনা, সাথে সংশয়, আমি এই সরকারি কলেজে ভর্তি হতে পারবো কিনা। জীবনে প্রথম কোন অধ্যাপকের সামনা-সামনি। তিনজন শিক্ষকের মাঝে বসে আছেন বয়সে প্রবীন, মাথায় চুল কম, তাল তাল গাল, উচ্চতার তুলনায় মোটাসোটা, দেহের তুলনায় বাড়তি ভুড়ি, ঢিলাঢালা প্যান্ট ও হাওয়াই শার্ট গায়ে, মুখে তখনো অর্ধ চর্বিত পান, সৌম্য ভারিক্কি চেহারার একজন অধ্যাপক। আমার ফরম হাতে নিয়ে নাড়াচাড়া করে বললেন, ‘আমি বাণিজ্য বিভাগ থেকে প্রথম বিভাগে এসএসসি পাস করেছি, ইংরেজী কি?’ বললাম। আবার বললেন, ‘আমি নোয়াখালী কলেজে ভর্তি হতে চাই, ইংরেজী কি? বললাম। এবার অন্য দুই স্যারের দিকে একবার তাকিয়ে  বললেন ‘যাও’। 

যথারীতি বাণিজ্য বিভাগে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির পর জেনেছিলাম যে স্যার আমার ভর্তি পরীক্ষা নিয়েছিলেন তিনি অধ্যাপক আবদুল জলিল। বাণিজ্য বিভাগের হলেও জলিল স্যার সিনিয়র হওয়ার কারণে নাকি কে জানে  আমাদের উচ্চ মাধ্যমিকে ক্লাস নিতেন না। কলেজে একবার সাংস্কৃতিক কী যেন অনুষ্ঠানে ইংরেজীর শিক্ষক অধ্যাপক খগেন্দ্র নাথ স্যার ও কামাল স্যারের উৎসাহে ইংরেজী উপস্থিত বক্তৃতায় অংশ নিয়েছিলাম।  yes, no, very good জাতীয় কিছু বলে ঘাবড়ে গিয়ে সামনে তাকিয়ে দেখি খগেন্দ্র স্যারের পাসে বসা জলিল স্যার আমার দিকে তাকিয়ে ডান হাত উপরে-নিচে করে আমাকে বলার উৎসাহ দিয়ে যাচ্ছেন। 

ইত্যবসরে আমি অতিউৎসাহী হয়ে কর্মীর পিছনের সারির হাততালি আর লম্ফজম্ফ দেয়া কর্মী হিসাবে ছাত্র রাজনীতির সাথে জড়িয়ে পড়ি। ক্লাস করা হয় কম। লেখাপড়াও আগের মত করা হয় না। আমাদের ক্লাস না পেলেও কি কারণে এই জলিল স্যার আমাকে প্রায় ডেকে পিতৃস্নেহে আদর করে কখনো রাগের চোটে লেখাপড়ার খবর নিতেন। আমি বুঝতে পেরেছিলাম ভর্তি পরীক্ষা থেকে স্যার আমাকে মনে রেখেছিলেন। এভাবে তিনি প্রায় প্রতিদিন আমার পড়ালেখার খবর নিতেন। এমনকি আমি ধীরে ধীরে জানতে পেরেছিলাম কেবল আমার নয়, তার পছন্দের অনেক ছাত্রকে তিনি এভাবে ব্যক্তিগতভাবে ডেকে নরমে-গরমে নানান পরামর্শ দিতেন। যাহোক জলিল স্যারের এই নরম-গরম, বকাঝকা আর আদর উৎসাহে আমার বন্ধু হারাধন,  মাহতাব ও আমি বৃত্তি নিয়ে উচ্চমাধ্যমিক পাস করি। একই কলেজে বিকম ক্লাসে ভর্তি হই। বই কেনার জন্য ৮০০ টাকা, মাসে ৬০ টাকা আর স্নাতকে বেতন ফি সব ফ্রি। 

তখন জলিল স্যার বাণিজ্যের বিভাগীয় প্রধান। উচ্চ মাধ্যমিকের ফলাফলের কারণে স্যারের স্নেহ-যত্ন এবং তত্ত্বাবধান লক্ষ্যণীয়ভাবে আরো বেড়ে গেল। 

আমাদের ব্যাংকিং বিষয় পড়াতেন। আধুনিক ব্যাংকের জন্মদাতা স্বর্ণকার দের লকারে নিরাপত্তার জন্য মানুষ টাকা ও স্বর্ণ জমা রাখতো, সবাই একসাথে টাকা নিতে আসতো না এই সুযোগে স্বর্ণকারেরা অতিরিক্ত টাকা ঋণ দিতে শুরু করলো, সময়মত গচ্ছিত টাকা ফেরত দিতে না পারলে আমানতকারীরা বেঞ্চ ভেঙ্গে ফেলতো, এভাবে বেঞ্চ থেকে ব্যাংকো, তার পর ব্যাংক হয়, চেকের প্রকার ভেদ, হিসাবের প্রকারভেদ। এসব তখন তার ক্লাসেই তার মুখে শিখেছিলাম, এখনো মনে আছে।  ‘ব্যাংকিং’ নামে ব্যাংক বিষয়ে স্যারের নিজের লেখা বই ছিল। এ বইটা তখন বাংলা ভাষায় বাণিজ্য বিষয়ে অনেক জনপ্রিয় একটি বই ছিলো। আমরা সে বইই পড়তাম। 

ইতিমধ্যে ছাত্ররাজনীতিতে আমার ঘনিষ্ঠতা আরো বেড়ে যায়। ১৯৭৪ সালে আমাকে একটি ছাত্র সংগঠন থেকে জিএস পদে মনোনয়ন দেওয়া হয়। লেখাপড়া অনেকটা শিকেয় উঠার মত । আমি লক্ষ্য করেছি আমাকে নিয়ে জলিল স্যারের উদ্বেগ বাড়তে থাকে। তখন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রখ্যাত অধ্যাপক আবুল ফজল স্যার। কলেজসমূহের স্নাতকের ফল ১.৫% থেকে ৩% , ৫% এরকম। নোয়াখালী কলেজের স্নাতকের রেজাল্ট শোচনীয়। প্রতিদিন জবাবদিহি আর তিরস্কারের ভয়ে একমাত্র জলিল স্যারের ক্লাসছাড়া  তেমন ক্লাস করা হতো না। 

১৯৭৫ এর ১৫ আগস্টের ঘটনার পর দেশে রাজনৈতিক টালমাটাল পরিস্থিতি। 

স্যার আমাকে ডেকে বললেন, ‘দেখো লোকে হাসাহাসি করবে’। কেন জানতে চাইলে বললেন, ‘উচ্চ মাধ্যমিকে বৃত্তি পাওয়া ছাত্র স্নাতকে ফেল করলে লোকে হাসবে না?’  

জলিল স্যারের এই একটি  বাক্য আমার লেখাপড়ার মোড় ঘুরিয়ে দিয়েছিল। আমি তখন প্রায় লুকিয়ে একেকদিন একেক যায়গায় থাকি। পরীক্ষা সামনে কিছুদিন আমার আত্মীয় আর দিনের বেলায় সহপাঠী ফরাজী সেলিমদের কাঠের দোতলায় আর এক সহপাঠী বন্ধু লাতুর আস্তানায়। একদিন লাতু আমাকে কিছু না বলে নিয়ে গেল মাস্টার পাড়ায় এক বাসায়। এটা যে জলিল স্যারের বাসা আমার জানা ছিল না। দেখি বের হয়ে আসলেন। অত্যন্ত উদ্বিগ্ন, রাগান্বিত চেহারায় জলিল স্যার। শুধু বললেন, ‘তোকে পাস করতে হবে’। এই একটা কথা বলেই বিদায় দিলেন।

লাতু পরে আমাকে বলেছিল, ‘স্যার তোকে নিয়ে যেতে বলেছিলেন’। এরপর থেকে হারাধনের থেকে বই নিয়ে, লাতুর কাঠের দোতলায় তার ও নিজের নোট পড়ে সিরিয়াস ভাবে প্রস্তুতি নিতে থাকি। রাজনৈতিক বিরূপ পরিস্থিতিতে বাকী কয়েকমাস সিরিয়াসভাবে পড়াশুনা করে ভিসি অধ্যাপক আবুল ফজল স্যারের প্রেরিত চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের এক্সটারনাল পরিদর্শকের অধীনে পরীক্ষা দিয়ে ৯% পাসের মধ্যে আল্লাহর মেহেরবানীতে আমিসহ তিনজন মাহতাব, হারাধন ও আমি স্নাতক (বাণিজ্য) পরীক্ষায় উত্তীর্ন হই। তারপর একবার কলেজে গিয়েছিলাম আমার স্নাতকের প্রভিশনাল সার্টিফিকেট নিতে সাথে জলিল স্যারকে সালাম করতে। তখন তিনি মনে হয় ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ছিলেন । 

জলিল স্যার লেখাপড়ার জন্য বকাঝকা, তিরস্কার, উদ্বেগ যাই থাকুক, রাজনীতি করতে কখনো বারণ করতেন না। এটা হয়তো অনেকে জানে না, ৭৫-র পরবর্তী সময়ে সামরিক জান্তার চোখে ধুলো দিয়ে কীভাবে গণতান্ত্রিক আবহ তৈরি দেশের ছাত্ররাজনীতিকে বেগবান করতে হয়, তা তিনি নেপথ্যে থেকে অনেক ছাত্রনেতার মেন্টর হিসেবে ভূমিকা রেখেছেন। 

বিকালে সব শিক্ষক চলে যেতেন জলিল স্যার বারান্দায় চেয়ার নিয়ে মাঠে ফুটবল খেলা দেখতে বসে থাকতেন। তার কারণ আমি আরেক অধ্যাপক প্রয়াত আবু সুফিয়ান স্যার থেকে জেনেছিলাম ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াকালীন জলিল স্যার খেলাধুলা করতেন এবং খেলা সংগঠনর সাথে, এমনকি ছাত্র রাজনীতির সাথেও জড়িত ছিলেন। তিনি  পূর্ব পাকিস্তান ছাত্রলীগের সাথে যুক্ত ছিলেন। ক্রীড়া সংক্রান্ত কর্মকাণ্ডের জন্য তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিশেষ সনদ লাভ করেছেন।  

কলেজের নারিকেল তলায় যখন উচ্চ মার্গে মাইকে বক্তৃতার খই ফুটতো, মাঠে নির্বাচনী বা অন্য মিছিল বের হতো তখন জলিল স্যারের রিকশা দেখলে বা তার অস্তিত্ব টের পেলে সব শান্ত,  পিন-পতন নীরবতা ছিল লক্ষ্যনীয়। অথচ তিনি এসব বিষয়ে কাউকে কখনো নিরুৎসাহী করতেন না। অন্য স্যারেরা গেলেও জলিল স্যারকে কখনো ক্যান্টিনে যেতে আমি দেখিনি। কখনো হোটেল বা রেস্টুরেন্টে আড্ডা দিতেন না। একটা ব্যক্তিত্ব তিনি বজায় রাখতেন।  

জলিল স্যারকে আমি অধ্যক্ষ হিসাবে দেখিনি, দেখেছি অধ্যাপক পর্যন্ত। কিন্তু পরে আমি অনেকের মুখে শুনেছি, নোয়াখালী কলেজ আগের জায়গা থেকে বর্তমান স্থানে স্থানান্তর এবং কলেজে অনার্স কোর্স চালুর পিছনে ছিল জলিল স্যারের নিরলস প্রচেষ্টা আর দৃঢ়তা। কলেজের করুণ অবস্থা থেকে উত্তরণ ঘটাতে নতুন অবকাঠামোতে স্থানান্তর প্রতিক্ষিত হলেও তা ছিলো বিরাট চ্যালেঞ্জিং। স্থানীয় লোক, সেখানকার দোকান মালিক ও রিকশাচালকদরে প্রবল প্রতিরোধ ছিল ভয়াবহ। এক পর্যায়ে রিকশাচালকরা জলিল স্যারকে আরোহী করতে অস্বীকৃতি জানাতো। তিনি এসবে তোয়াক্কা না করে হেঁটে হেঁটে বাসায় যেতেন। শুনেছি তার ঝুঁকিপূর্ণ পদক্ষেপ এবং বিভিন্ন জায়গায় ধর্না ও অক্লান্ত  পরিশ্রমের ফলেই নোয়াখালী কলেজ আমাদের সময়ের সেই কয়েকটি জীর্ন টিনের চালের ঘর থেকে আজ বৃহৎ পরিসরে জেলার কেবল নয় দেশের একটি নামী-দামী অনার্স-মাস্টার্স কলেজের সম্মান অর্জন করেছে। বৃহত্তর এ অঞ্চলের উচ্চশিক্ষার দ্বার উন্মুখ হয়েছে। নতুন সাইটের সম্প্রসারনে জমি অধিগ্রহণসহ নানাবিধ উন্নয়নমূলক কার্যক্রমে মালিকদের বাধার মুখেও জলিল স্যারের অদম্য প্রচেষ্টা ছিল প্রশংসনীয়। এ কীর্তিমান কাজ করতে গিয়ে তাকে কলুষিত রাজনীতির কিছু ধারক-বাহক ও স্বার্থান্বেষী মহলের ষড়যন্ত্রের শিকার হয়ে অনেক অপমান ও মানসিক যন্ত্রনা ভোগ করতে হয়েছে। শিক্ষা মন্ত্রনালয়ের বারবার চাপেও যখন তিনি নতি স্বীকার করলেন না তখন তাকে সন্দ্বীপ কলেজ বদলি করা হয়। তখন তার দৃঢ় প্রতিবাদ ছিল- ‘আমি নয়, আমার লাশ যাবে সন্দ্বীপ’। তিনিই জেদ বজায়ে রেখে নোয়াখালী কলেজের অধ্যক্ষ হিসাবে নিয়োগ পেলেন। নোয়াখালী কলেজের জন্য অবদান রাখার কারণে হয়েছে কলেজের অডিটরিয়মের তার নামে নামকরণ হয়েছে, শোনে আনন্দিত হয়েছি। স্বীকৃতি হিসাবে আরো বড় কিছু পেলে আমি আরো বেশি খুশি হতাম। একবার খবর পেয়েছিলাম, নোয়াখালী পৌরসভার মেয়র একটি সড়কের নাম জলিল স্যারের নামে করার ঘোষণা দিয়েছিলেন। সেই অনুযায়ী তিনি অগ্রসরও হয়েছিলেন, কিন্তু পরবর্তী সময়ে সেই কুচক্রী মহলের একটি অংশের বিরোধীতার কারণে তিনি তার প্রতিশ্রুতির ঘোষণা থেকে পিছিয়ে আসেন। হয়তোবা মেয়র মনে করেছেন তার আগামী দিনের ভোটের হিসাব। তাতে একজন মহৎ-দৃঢ় শিক্ষাবিদের কিছু যায় আসে না, বা তার বর্ণাঢ্য জীবনকে অস্বীকার করা যায় না। সূর্যের মতো তিনি আলোকিত থেকে যাবেন প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে। 

কত ছাত্রের জীবনের-শিক্ষার মোড় কতভাবে ঘুরিয়ে সঠিক পথে এনেছেন তিনি, তার ইয়ত্তা নেই। এ লেখাটির অংশ আমি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে খসড়া আকারে প্রকাশ করি, তখন দেখলাম অনেক ছাত্রই তাদের ব্যক্তিগত জীবনে জলিল স্যারের ভূমিকার কথা অকপটে লিখে গেছেন। এমনকি লক্ষ্মীপুর সরকারি কলেজে অধ্যক্ষ থাকাকালীন তার কয়েকজন ছাত্রও লিখেছেন। আমি নিজে আমার নিজের জীবনের মোড় ঘুরানো আমার অতি শ্রদ্ধাভাজন এই কীর্তিমান শিক্ষকের স্মৃতিচারণ করতে পেরে গর্বিতবোধ করছি। আমি আমার প্রয়াত শিক্ষক অধ্যাপক আবদুল জলিল স্যারের নিকট কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি এবং তার বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করছি। ২০১৯ সালে তার ১৮তম প্রয়াণ দিবসের আলোচনায় তার কয়েকজন ছাত্র দাবি তুলেছিলেন, শিক্ষাবিদ প্রফেসর আবদুল জলিলকে মরণত্তোর একুশে পদক প্রদানের জন্য। আমি মনে করি দাবিটি যৌক্তিক। বহুমাত্রিক কাজে তিনি দক্ষ ছিলেন। ছাত্র জীবনে তিনি ভাষা আন্দোলন সংগ্রামে অংশগ্রহণ করেছেন। এ দাবিটি বাস্তবায়নের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এখনই উদ্যোগ নিতে পারেন। 

শহীদুল ইসলাম ফারুক

জেনারেল ম্যানেজার

ফেমাস প্লাস ইন্ডাস্ট্রিজ আইএনসি লিমিটেড

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন