গত মঙ্গলবার লেবাননের রাজধানী বৈরুতে ভয়াবহ বিস্ফোরণে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ২০০ ছাড়িয়ে গেছে বলে জানিয়েছেন শহরটির গভর্নর। এদিকে বিপর্যয় সামাল দেয়া নিয়ে সরকারের ভূমিকায় ক্ষুব্ধ লোবানিজদের সঙ্গে রোববার আবারো পুলিশের সংঘর্ষ হয়েছে।
মারওয়ান আবুদ বলেছেন, এখনো ১২ জনের মতো মানুষ নিখোঁজ রয়েছেন, যাদের বেশিরভাগই বিদেশি শ্রমিক। যদিও সেনাবাহিনী বিস্ফোরণের কেন্দ্রস্থল বন্দর এলাকায় তল্লাশি অভিযানের সমাপ্তি টানার ঘোষণা দিয়েছে।
রোববার দ্বিতীয় রাতের মতো বৈরুতে সহিংসতা হয়। বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ বেধে যায়। একজন কেবিনেট মন্ত্রী ও কয়েকজন সংসদ সদস্যের পদত্যাগেও ক্ষোভের আগুন নেভেনি।
বিস্ফোরণে পর লাখ লাখ মানুষ ভীষণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত ঘরে বসবাস করছেন, যাদের বেশিরভাগেরই জানালা কিংবা দরজাও নেই। বিস্ফোরণে অন্তত ৩ লাখ মানুষ গৃহহীন হয়েছে। বহু লেবানিজ রাজনৈতিক অভিজাত শ্রেণীর দুর্নীতি, উদাসীনতা আর অব্যবস্থাপনাকে দায়ী করেন।
বৈরুতে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষদের দ্রুত চিকিৎসাসেবা আর খাদ্য সাহায্য না দিলে মানবিক সংকট তৈরি হতে পারে হুশিয়ার করে দিয়েছে জাতিসংঘের সংস্থাগুলো।
এদিকে রোববার ফরাসি প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল মাখোঁ আয়োজিত ভার্চুয়াল সম্মেলনে বিশে^র দাতারা লেবাননে ২৯ কোটি ৭০ লাখ ডলার সহযোগিতার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। তারা বলেছেন, এই তহবিলটা সরাসরি লেবানিজ জনগণের হাতে পৌঁছতে হবে।
লেবানিজ কর্তৃপক্ষ বলছে, ছয় বছর ধরে মজুদ করে রাখা ২ হাজার ৭৫০ টন অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট থেকেই এমন বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। সিটি সেন্টারের কাছের কোনো গুদামে এত বেশি পরিমাণ বিস্ফোরক রাখা নিয়েই বিস্ময় প্রকাশ করছেন লেবানিজরা, তাই তারা প্রশাসনের ওপর ভীষণ ক্ষুব্ধও।
সূত্র: বিবিসি