পিবিআইকে তদন্তের নির্দেশ

চাঁদাবাজির অভিযোগে কোতয়ালী থানার ওসিসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা

আদালত প্রতিবেদক

জেএমবি ও ইয়াবার মামলায় চালান দেয়ার ভয় দেখিয়ে সাড়ে ৩ লাখ টাকা আদায়ের অভিযোগে কোতোয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মিজানুর রহমানসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন এক কাপড় ব্যবসায়ী।

ঢাকা জেলার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানাধীন চরকালীগঞ্জের হাশেম মিয়ার বাড়ির ভাড়াটিয়া মো. সোহেল মীর (৫০) আজ সোমবার  ঢাকা সিএমএম আদালতে এ মামলা করেন। 

ঢাকা মহানগর হাকিম আবু সুফিয়ান মো. নোমান বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে পিবিআইকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।

মামলার অপর আসামিরা হলেন- কোতোয়ালী থানার এসআই পবিত্র সরকার, এসআই খালেদ শেখ ও এএসআই  মো. শাহিনুর রহমান, কনস্টেবল মো. মিজান এবং সোর্স  মো. মোতালেব।

মামলার অভিযোগে বাদী সোহেল মীর বলেন, ঈদের পরদিন (২ আগস্ট) বেলা ৪টার থেকে দিকে বুড়িগঙ্গা নদী পার হয়ে কোতয়ালী থানার ওয়াইজঘাট এলাকায় নেমে আম্বিয়া টাওয়ার সংলগ্ন প্রধান সড়কের উপর উঠামাত্র পুলিশ তাকে ঘিরে ধরে তল্লাশি শুরু করেন। এসময় পকেটে থাকা ২ হাজার ৯০০ টাকা নিয়ে নেয়। এরপর তাকে চলে যেতে বলে। টাকা ফেরত চাইলে তাকে চড়থাপ্পর মারে। এরপর আসামিরা উপস্থিত লোকজনদের বলে, সে জেএমবির মামলার ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি। তাকে আটকের জন্য টানাহেঁচড়া করতে থাকে। লোকজন বাড়তে থাকলে এক পর্যায়ে আসামিরা বাদীর পকেট ২১৪ পিস ইয়াবা পাওয়া গেছে বলে ছবি তেলে। এরপর ধরে নিয়ে থানাহাজতে রাখে। এরপর আসামি খালেদ বাদীকে পরিবারের সদস্যদের খবর দিতে বলেন। খবর পেয়ে পরিবারের সদস্যরা গিয়ে বাদীর সঙ্গে দেখা করে ও ঘটনা শোনে। আসামিদের সঙ্গে দেখা করলে তারা ৫ লাখ টাকা দাবি করেন। না দিলে জেএমবি সদস্য ও মাদক মামলায় ফাঁসিয়ে জেলে পাঠানোর হুমকি দেন। পরিবার রাতে সাড়ে ১০টায় আসামি পবিত্র ও খালেদের কাছে দুই লাখ টাকা দেন। পরদিন ধারদেনা করে আরো ১ লাখ  ৫০ হাজার টাকা সকাল ৮টায় দেন। টাকা দেয়ার পর বাদীর বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়, মিটফোর্ড হাসপাতালের ভেতরে তিনি মাদক সেবন করছিলেন এবং শিক্ষার্থীদের উত্ত্যক্ত করছিলেন। ১০০ ধারায় তার বিরুদ্ধে নন-এফআইআর করে তাকে আদালতে পাঠায়। এরপর আসামিরাই তাকে আদালত থেকে মুক্ত করেন এবং ছেড়ে দেয়ার সময় হুমকি দেন যে, ঘটনা কাউকে বললে এবার ধরে নিয়ে ক্রসফায়ারে দেয়া হবে।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন