ফ্রান্সের উৎপাদন বাণিজ্য ও চাকরিতে লকডাউনের আঘাত

বণিক বার্তা ডেস্ক

বৈশ্বিক মহামারী নভেল করোনাভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধে জারীকৃত লকডাউনের কারণে মারাত্মক নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে ফ্রান্সের সার্বিক অর্থনীতিতে। ফলে ২০২০ সালের দ্বিতীয় প্রান্তিকে (এপ্রিল-জুন) নষ্ট হয়েছে দেশটির বেসরকারি খাতের লাখ ১৯ হাজার ৪০০ পূর্ণকালীন চাকরি। এছাড়া প্রথম প্রান্তিকে চাকরি হারিয়েছে আরো অন্তত পাঁচ লাখ মানুষ। একইভাবে লকডাউন নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে উৎপাদন খাত বাণিজ্যের ওপরও। খবর এএফপি।

দি ইনসি স্ট্যাটিস্টিকস এজেন্সি জানিয়েছে, বছরওয়ারি দ্বিতীয় প্রান্তিকে ফ্রান্সের বেসরকারি খাতে হারানো নিট চাকরির সংখ্যা লাখ ৮০ হাজার ৮০০। এর মানে হলো, খাতটিতে চাকরির পতন হয়েছে দশমিক শতাংশ। সর্বশেষ ২০১৭ সালের জুনের শেষ নাগাদ ফ্রান্সের চাকরির বাজারের অবস্থা ছিল। বিশেষ করে দ্বিতীয় প্রান্তিকে কৃষি ভিন্ন অন্য খাত যেমন শিল্প, নির্মাণ বাজারসেবায় কর্মসংস্থানের পতন হয়েছে শূন্য দশমিক শতাংশ। প্রথম প্রান্তিকে পতন ছিল দশমিক শতাংশ।

ইনসির মতে, গত ৫০ বছরের মধ্যে অর্ধবার্ষিক হিসাবে দেশটির কর্মসংস্থানে এত বড় পতন আর হয়নি। তবে সংস্থাটি আরো জানায়, মাসিক পরিসংখ্যান অনুযায়ী মার্চ এপ্রিলে বড় ধরনের পতনের পর মে থেকে ধীরে ধীরে অস্থায়ী কর্মসংস্থান খাত ঘুরে দাঁড়াচ্ছে।

ইনসির উপাত্ত অনুযায়ী, ফ্রান্সের ম্যানুফ্যাকচারিং খাতে কিছুটা হলেও চাঙ্গা ভাব দেখা যাচ্ছে। মে মাসের ২২ দশমিক শতাংশের পর জুনে খাতটিতে উৎপাদন বেড়েছে ১৪ দশমিক শতাংশ।

 জুনে শিল্প খাতে সব মিলিয়ে প্রবৃদ্ধি ছিল ১২ দশমিক শতাংশ। এর আগে মে মাসে প্রবৃদ্ধি ছিল ১৯ দশমিক শতাংশ। তবে কঠোর লকডাউন শুরু হওয়ার আগে ফেব্রুয়ারির তুলনায় পরিসংখ্যান মোটেই ইতিবাচক নয়।

এদিকে ফ্রান্সের শুল্ক বিভাগ জানিয়েছে, মহামারী-পরবর্তী প্রভাবের ফলে দ্বিতীয় প্রান্তিকে দেশটির বাণিজ্য ঘাটতি বেড়েছে। আমদানির তুলনায় রফতানি হ্রাস পাওয়ায় দ্বিতীয় প্রান্তিকে ঘাটতি গিয়ে দাঁড়িয়েছে হাজার ৪০ কোটি ইউরোয়।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন