জানুয়ারি-জুলাই

কম্বোডিয়ার চাল রফতানিতে ৩৮ শতাংশ প্রবৃদ্ধি

বণিক বার্তা ডেস্ক

নভেল করোনাভাইরাসের মহামারী প্রভাব ফেলতে পারেনি কম্বোডিয়ার চাল রফতানি খাতে। মহামারীর মধ্যে অভ্যন্তরীণ খাদ্যনিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ থাকা সত্ত্বেও দেশটির চাল রফতানিতে প্রবৃদ্ধির দেখা মিলেছে। চলতি বছরের প্রথম সাত মাসে (জানুয়ারি-জুলাই) দেশটি থেকে আন্তর্জাতিক বাজারে খাদ্যপণ্যটির রফতানি আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ৩৮ শতাংশ বেড়ে চার লাখ টন ছাড়িয়ে গেছে। কম্বোডিয়ার কৃষিমন্ত্রী ভেং সাখোন তথ্য জানিয়েছেন। খবর রয়টার্স সিনহুয়া।

চাল উৎপাদনকারী দেশগুলোর বৈশ্বিক শীর্ষ তালিকায় কম্বোডিয়ার অবস্থান ১৩তম। তবে খাদ্যপণ্যটির রফতানিতে দেশটি এগিয়ে রয়েছে। কম্বোডিয়া বিশ্বের অষ্টম শীর্ষ চাল রফতানিকারক দেশ। কম্বোডিয়ার কৃষিমন্ত্রী জানান, চলতি বছরের প্রথম সাত মাসে দেশটি থেকে আন্তর্জাতিক বাজারে সব মিলিয়ে লাখ ২৬ হাজার ৭৩ টন চাল রফতানি হয়েছে, যা আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ৩৮ শতাংশ বেশি। ২০১৯ সালের জানুয়ারি-জুলাই সময়ে কম্বোডিয়ার রফতানিকারকরা সব মিলিয়ে লাখ হাজার ১৩ টন চাল রফতানি করেছিলেন। সে হিসাবে এক বছরের ব্যবধানে দেশটি থেকে খাদ্যপণ্যটির রফতানি বেড়েছে লাখ ১৮ হাজার ৬০ টন।

দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশটি থেকে গত জানুয়ারি-জুলাই সময়ে সব মিলিয়ে ৫৭টি দেশ অঞ্চলে চাল রফতানি হয়েছে। তবে এর মধ্যে চীন ইউরোপের দেশগুলোয় সবচেয়ে বেশি চাল রফতানি করেছে কম্বোডিয়া। দেশটির সরকারি তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের প্রথম সাত মাসে দেশটি থেকে চীনের বাজারে সব মিলিয়ে লাখ ৫৫ হাজার ৩২৭ টন চাল রফতানি হয়েছে, যা আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ২৬ শতাংশ বেশি।

চলতি বছরের জানুয়ারি-জুলাই সময়ে কম্বোডিয়ার রফতানিকারকরা ইউরোপের দেশগুলোয় সব মিলিয়ে লাখ ৪৪ হাজার ২৪৭ টন চাল রফতানি করেছেন, যা আগের বছরের প্রথম সাত মাসের তুলনায় ৩৮ শতাংশ বেশি। একই সময়ে কম্বোডিয়া থেকে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার আসিয়ানভুক্ত দেশগুলোয় খাদ্যপণ্যটির সম্মিলিত রফতানি আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ৪৪ শতাংশ বেড়ে ৫৭ হাজার ৬৪ টনে উন্নীত হয়েছে।

কম্বোডিয়ার কৃষি বিভাগের মহাপরিচালক নিগেইন চেই বলেন, করোনা মহামারীর শুরুর দিকে চাল রফতানি নিয়ে আমরা সন্দিহান ছিলাম। আমদানি-রফতানি কার্যক্রম স্থবির হয়ে এসেছিল। অভ্যন্তরীণ খাদ্যনিরাপত্তা নিশ্চিতের বিষয়টিও মাথায় রাখতে হয়েছিল। তবে যত দিন গেছে, আন্তর্জাতিক বাজারে কম্বোডিয়া থেকে রফতানি হওয়া চালের চাহিদা বেড়েছে। বাড়তি চাহিদা মহামারীর মধ্যেও চালের রফতানি খাতকে চাঙ্গা করেছে।

তিনি আরো জানান, চাঙ্গা ভাবের মধ্য দিয়ে চলতি বছরটা শেষ করতে পারে কম্বোডিয়ার চাল রফতানি খাত। গত বছর কম্বোডিয়া থেকে আন্তর্জাতিক বাজারে সব মিলিয়ে লাখ ২০ হাজার ১০৬ টন চাল রফতানি হয়েছে। চলতি বছর শেষে দেশটি থেকে খাদ্যপণ্যটির রফতানি বেড়ে দাঁড়াতে পারে আট লাখ টনে, যা আগের বছরের তুলনায় ২৯ শতাংশ বেশি।

এদিকে মার্কিন কৃষি বিভাগের (ইউএসডিএ) ফরেন এগ্রিকালচারাল সার্ভিসের সাম্প্রতিক এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০১৯ সালে কম্বোডিয়া থেকে আন্তর্জাতিক বাজারে সব মিলিয়ে ১২ লাখ টন চাল রফতানি হয়েছে, যা আগের বছরের তুলনায় ১১ দশমিক ১১ শতাংশ কম। এর আগের বছর দেশটির ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি ১৩ লাখ ৫০ হাজার টন চাল রফতানি হয়েছিল। আর চলতি বছর শেষে কম্বোডিয়া খাদ্যপণ্যটির সম্মিলিত রফতানি দাঁড়াতে পারে ১৩ লাখ টনে, যা ২০১৯ সালের তুলনায় দশমিক শতাংশ বেশি। ২০১২ সালের পর থেকে প্রতি বছরই দেশটি থেকে ১০ লাখ টনের বেশি চাল রফতানি হয়েছে বলে জানিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন