বোরো চাষে কৃষকের আয় বেড়েছে ১৬.৭ শতাংশ

নিজস্ব প্রতিবেদক

এবছর বোরো চাষ কৃষকদের জন্য লাভজনক ছিল। ধান কাটা মওসুমে কাঁচা ধানের দাম গত বছরের তুলনায় বেশি থাকায় কৃষকের মোট আয় শতকরা ১৬ দশমিক ৭ ভাগ বেড়েছে। গবেষণায় এ তথ্য পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট- ব্রি’র মহাপরিচালক ড. মো. শাহজাহান কবীর।

আজ রোববার প্রধান অতিথি কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাকের উপস্থিতিতে ‘কভিড-১৯ যুগে খাদ্য নিরাপত্তা: বাংলাদেশ কি শিঘ্রই খাদ্য সংকটে পড়ছে?’ শীর্ষক ওয়েবিনার ভিত্তিক জাতীয় সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনকালে তিনি এ তথ্য জানান। ‘বিসিআর ক্যালকুলেট’ করে এ তথ্য পাওয়া গেছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি। 

বোরো ধান চাষীদের বরাত দিয়ে তিনি বলেন, এবছর তারা (বোরো চাষীরা) গড়ে বিঘাপ্রতি এক হাজার ৬০৪ টাকা লাভ করেছেন; যেখানে গতবছর তাদের লোকসান গুণতে হয়েছিল। এবছর কর্তনকালীন সময়ে এবং এক থেকে দুই মাসের মধ্যে কৃষক গতবছরের তুলনায় কম পরিমাণ ধান বাজারে বিক্রী করেছেন।

তিনি জানান, একদিকে ভবিষ্যৎ খাদ্য ঘাটতির শঙ্কা অন্যদিকে ধানের দাম বেশি থাকায় অল্প ধান বেচেই কৃষক কৃষি ও পরিবারের খরচ বহন করতে পেরেছেন। অধিকন্তু বেশি দামের আশায় ধান মজুদ করার প্রবণতা বাড়তে দেখা গেছে।


বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের (ব্রি) উদ্যোগে সেমিনারটিতে বিশেষ অতিথি হিসেবে খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার উপস্থিত ছিলেন। কৃষি সচিব মো. নাসিরুজ্জামানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে মুখ্য আলোচক হিসেবে পরিকল্পনা কমিশনের সাধারণ অর্থনীতি বিভাগের সদস্য (জেষ্ট্য সচিব) ড. শামসুল আলম, আলোচক হিসেবে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. লুত্ফুল হাসান, খাদ্য মন্ত্রালয়ের সচিব ড. মোছাম্মত্ নাজমানারা খানুম এবং কৃষি মন্ত্রণালয়ের এপিএ পুলের সদস্য বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের এমিরিটাস অধ্যাপক ড. আব্দুস সাত্তার মন্ডল, সাবেক কৃষি সচিব ড. এস এম নাজমুল ইসলাম, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের সাবেক মহাপরিচালক কৃষিবিদ মো. হামিদুর রহমান।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন