জর্ডানে বঙ্গমাতা ফজিলাতুন্নেছা’র ৯০তম জন্মবার্ষিকী উদযাপন

নিজস্ব প্রতিবেদক

জর্ডানে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাস বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিব-এর ৯০তম জন্মবার্ষিকী উদযাপন করেছে। 

গতকাল শনিবার (৮ আগস্ট) দিবসটি উপলক্ষ্যে জর্ডানে কর্মরত বাংলাদেশী শ্রমিকদের মধ্যে একটি ‘রান্না প্রতিযোগিতা’র আয়োজন করা হয়। প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশী ছাড়াও ভারত, নেপাল, শ্রীলংকা ও জর্ডানের পোশাক শ্রমিকরা অংশগ্রহণ করেন। প্রতিযোগিতায় বিজয়ী ও অংশগ্রহণকারী সকলকে সম্মাননা পুরস্কার ও সার্টিফিকেট প্রদান করা হয়। 

রন্ধন প্রতিযোগিতা চলাকালে বঙ্গমাতা’র জীবনের উপর নির্মিত প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়। এর মাধ্যমে জর্ডানস্থ নারী শ্রমিক এবং অন্যান্য দেশের শ্রমিকদের মধ্যে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছার অবদানের কথা তুলে ধরা হয়। 

প্রতিযোগিতা শুরুর আগে জর্ডানস্থ বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা–এর জীবন এবং অবদানের উপর বক্তব্য রাখেন।

একইদিন সকালে দূতাবাসে বঙ্গমাতার জন্মবার্ষিকীর অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন জর্ডানে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত নাহিদা সোবহান। অনুষ্ঠানের শুরুতেই পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াত এবং দোয়া ও মোনাজাত করা হয়। এরপর বঙ্গমাতার জীবনের উপর নির্মিত একটি প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়। 

দিবসটি উপলক্ষ্যে আয়োজিত আলোচনাসভায় দূতাবাসের কর্মকর্তা-কর্মচারি ছাড়াও জর্ডান প্রবাসী বাংলাদেশীরা অংশ নেন। উপস্থিত প্রবাসী বাংলাদেশীদের পক্ষ থেকে শরীফ বিপ্লব, জালাল উদ্দিন আহমেদ ও এহসান উল হক হেলাল বক্তব্য রাখেন।

বক্তারা তাদের বক্তবে বলেন, বঙ্গমাতা শুধু বঙ্গবন্ধুর সহধর্মিণীই ছিলেন না বরং তিনি ছিলেন বঙ্গবন্ধুর প্রেরণা ও সাহসের উৎস। 

অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রদূত তার বক্তব্যে বলেন, বঙ্গবন্ধু’র সংগ্রামী ইতিহাস বঙ্গমাতাকে ছাড়া এক অসম্পূর্ণ দলিল। বঙ্গমাতার রাজনৈতিক প্রজ্ঞা, দেশপ্রেম, আত্মত্যাগ ও মানুষের শ্রদ্ধা ও ভালবাসায় তিনি বঙ্গবন্ধুর পাশাপাশি বঙ্গমাতার মর্যাদায় অভিষিক্ত হয়েছেন। বঙ্গমাতা ফজিলাতুন নেছা সকল সময় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পাশে থেকে অবদান রেখেছেন। বিশেষত ৭ই মার্চের ভাষণের প্রাক্কালে এবং ১৯৬৮ সালে বঙ্গবন্ধুর প্যারোলে পাকিস্তানে বৈঠকে না যাওয়ার বিষয়ে তাঁর বিশেষ ভূমিকা ছিল। সিদ্ধান্ত গ্রহনে বিচক্ষণতা ও প্রতিকূল পরিস্থিতিতে বঙ্গমাতার যে দূরদর্শী দক্ষতা তা-ই বাংলাদেশের মুক্তি সংগ্রামের মহা নায়ক বঙ্গবন্ধুকে দিয়েছে প্রবল আস্থা ও বিশ্বাস। 

রাষ্ট্রদূত আরো বলেন, বঙ্গমাতার আদর্শকে ধারন করে বাংলাদেশের নারী’র ক্ষমতায়নের যে যুগ রচনা করেছেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তারই ধারাবাহিকতায় আজ বাংলাদেশের নারীরা বিচরণ করছে বিশ্বের প্রতিটি প্রান্তে ও কর্মের প্রতিটি ক্ষেত্রে। 

তিনি প্রবাসী বাংলাদেশী নারীদের এই আদর্শ ধরে রেখে তাদের কর্মক্ষেত্রে ও দেশে অবদানের আহ্বান জানান।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন