কভিড-১৯

প্রতি মাসে গড়ে আড়াই লাখ নমুনা পরীক্ষা

নিজস্ব প্রতিবেদক

নভেল করোনাভাইরাস সংক্রমণ শনাক্তের পাঁচ মাস অতিক্রম করল বাংলাদেশ। এই সময়ে প্রতি মাসে নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে গড়ে প্রায় আড়াই লাখের মতো। সংক্রমণের শুরুতে একমাত্র প্রতিষ্ঠান হিসেবে কভিড নমুনা সংগ্রহ পরীক্ষার কাজটি করেছে রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ গবেষণা প্রতিষ্ঠান (আইইডিসিআর) পরবর্তী সময়ে রোগী বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সরকারি প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়, বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান হাসপাতালে পরীক্ষার অনুমতি দেয় সরকার।

দেশে কভিড-১৯ সংক্রমিত প্রথম রোগী শনাক্ত হয় মার্চ। গত পাঁচ মাসে মোট নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ১২ লাখ ৪৯ হাজার ৫০৭টি। গতকাল ১১ হাজার ৫২৯টি নমুনা সংগ্রহ করা হয়। এর মধ্যে পরীক্ষা হয়েছে ১১ হাজার ৭৩৭টি নমুনা। প্রথমদিকে একক প্রতিষ্ঠান হিসেবে শুধু আইইডিসিআর কভিড-১৯ শনাক্তকরণ পরীক্ষা করায় নমুনা সংগ্রহও কম হতো। পরবর্তী সময়ে প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা বাড়ায় নমুনা সংগ্রহও বেড়েছে। এখন সরকারি সেবার পাশাপাশি চিকিৎসাসেবা দেয়ার জন্য প্রস্তুত হয়েছে বেসরকারি অনেক প্রতিষ্ঠান। সর্বশেষ প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, দেশের ৮৪টি ল্যাবে এখন নভেল করোনাভাইরাস পরীক্ষা করা হচ্ছে। এছাড়া বিভিন্ন স্থানে নমুনা সংগ্রহের জন্য স্থাপিত আছে বুথ। 

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য বলছে, মার্চ করোনা শনাক্তের হার ছিল ৪৩ শতাংশ। সাতজনের পরীক্ষা করে তিনজন শনাক্ত করা হয়। এরপর ধীরে ধীরে নমুনা পরীক্ষা বাড়তে থাকে। দেশে একদিনে সর্বোচ্চ হাজার ১৯ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছিল জুলাই। সর্বোচ্চ শনাক্তের ওইদিন পরীক্ষা হয়েছিল ১৮ হাজার ৩৬২টি নমুনা। এরপর নমুনা পরীক্ষা আর ১৬ হাজার পার হয়নি। এখন প্রতিদিন ১০ হাজারের মতো নমুনা পরীক্ষা হয়। অথচ পাঁচ মাসের হিসাবে প্রতিদিনের গড় আট হাজারের একটু ওপরে। প্রথমদিকে কম আর জুন জুলাইয়ে নমুনা পরীক্ষা বেশি হওয়ায় অবস্থা দাঁড়িয়েছে। তবে বৈশ্বিক হারে বাংলাদেশ নমুনা পরীক্ষায় বেশ পিছিয়ে আছে।

এদিকে গতকাল মৃত্যু হয়েছে আরো ৩২ জনের। নিয়ে করোনায় পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে হাজার ৩৬৫। গতকাল শনাক্ত হয়েছে আরো হাজার ৬১১ জন। এখন পর্যন্ত মোট শনাক্ত হয়েছে লাখ ৫৫ হাজার ১১৩ জন। মোট সুস্থের সংখ্যা লাখ ৪৬ হাজার ৬০৪। গতকাল দুপুরে কভিড-১৯ সম্পর্কিত নিয়মিত স্বাস্থ্য বুলেটিনে এসব তথ্য জানান স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক নাসিমা সুলতানা।

তিনি জানান, দেশে শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৫৭ দশমিক ৪৭ শতাংশ মৃত্যুর হার দশমিক ৩২ শতাংশ। গতকাল মৃত্যুবরণকারীদের মধ্যে পুরুষ ২৫ জন নারী সাতজন। তাদের মধ্যে ঢাকা বিভাগের ১৬ জন, চট্টগ্রামের চার, খুলনার পাঁচ, রাজশাহীর চার, বরিশালের এক   সিলেটের দুজন। ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতালে ৩১ বাড়িতে একজন মারা গেছেন। এখন পর্যন্ত হাজার ৬৫৫ জন পুরুষ ৭১০ জন নারী মারা গেছেন।

তিনি জানান, সর্বশেষ দিনে আইসোলেশনে রাখা হয়েছে আরো ৮৬৪ জনকে। বর্তমানে আইসোলেশনে আছে ১৯ হাজার ২৫ জন। আইসোলেশন থেকে এখন পর্যন্ত ছাড় পেয়েছে ৩৭ হাজার ১৪ জন। এখন পর্যন্ত আইসোলেশন করা হয়েছে ৫৬ হাজার ৩৯ জনকে। প্রাতিষ্ঠানিক হোম কোয়ারেন্টিন মিলে গতকাল কোয়ারেন্টিন করা হয়েছে হাজার ১৮৪ জনকে। কোয়ারেন্টিন থেকে এখন পর্যন্ত ছাড় পেয়েছে লাখ ৯৭ হাজার ৩৮০ জন। পর্যন্ত মোট কোয়ারেন্টিন করা হয়েছে লাখ ৫০ হাজার ৩৩২ জনকে। বর্তমানে কোয়ারেন্টিনে আছে ৫২ হাজার ৯৪২ জন।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন