সড়ক দুর্ঘটনায় দুই জেলায় নিহত ১৩

বণিক বার্তা ডেস্ক

দুই জেলায় সড়ক দুর্ঘটনায় ১৩ জন নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে গতকাল বিকালে ময়মনসিংহের মুক্তাগাছায় বাসের চাপায় অটোরিকশার সাত যাত্রী নিহত হন। এছাড়া ভোরে চুয়াডাঙ্গার সরোজগঞ্জ বাজারে বাসচাপায় মারা যান আরো ছয়জন। প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর

ময়মনসিংহ: গতকাল বিকাল ৪টার দিকে ময়মনসিংহ-জামালপুর মহাসড়কের মুক্তাগাছা উপজেলার ভাবকীর মোড় এলাকায় বাসচাপায় সাত অটোরিকশা যাত্রী নিহত হন।

নিহতরা হলেন টাঙ্গাইলের মধুপুর উপজেলার শোলাকুড়ি ইউনিয়নের নয়াপাড়া গ্রামের নূরুল ইসলাম (৩০), তার স্ত্রী তাসলিমা (২৬) তাদের মেয়ে লিজা আক্তার (১৩) এছাড়া নিহত অন্যরা হলেন রুকন মিয়া (৩৮), নজরুল ইসলাম (৩৫), সিএনজি অটোরিকশাচালক আসাদুল হক (৪৫) অজ্ঞাতনামা (৩০)

মুক্তাগাছা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বিপ্লব কুমার বিশ্বাস সাতজনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, জামালপুরগামী রাজীব পরিবহনের বেপরোয়া বাসটির ধাক্কায় দুমড়ে-মুচড়ে যায় অটোরিকশাটি। এতে ঘটনাস্থলে মারা যান চারজন। বাকি তিনজন হাসপাতালে নেয়ার পথে মারা যান।

ময়মনসিংহ সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আল আমিন জানান, নিহতদের মধ্যে একই পরিবারের তিনজন রয়েছেন। তাদের বাড়ি টাঙ্গাইলের মধুপুরে। বাকি চারজনের বাড়ি মুক্তাগাছায়। ঘটনাস্থলে নিহত চারজনের মরদেহ মুক্তাগাছা থানায় রয়েছে। আহত অবস্থায় মারা যাওয়া তিনজনের মরদেহ ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রয়েছে। বাসচালককে ঘটনাস্থল থেকে আটক করা হয়েছে।

চুয়াডাঙ্গা: সদর উপজেলার সরোজগঞ্জ বাজারে চট্টগ্রাম থেকে ছেড়ে আসা যাত্রীবাহী বাস চাপায় ছয়জন নিহত হয়েছেন। গতকাল ভোর ৬টার দিকে দুর্ঘটনাটি ঘটে।

নিহতরা হলেন সদর উপজেলার খাড়াগোদা গ্রামের পল্লীচিকিৎসক মাহতাব উদ্দিনের ছেলে মিলন (৩৫), বসু ভান্ডারদহ গ্রামের নিতাই হালদারের ছেলে ষষ্টি হালদার (৪০), তিতুদহ গ্রামের প্রিয়ত আলীর ছেলে রাজু আহমেদ (৩০), একই গ্রামের রহিম মল্লিকের ছেলে শরিফুল (৪৫), হায়দার আলীর ছেলে কালু মন্ডল (৩৫) নুতার ছেলে সোহাগ (২৫)

চুয়াডাঙ্গার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর) কনক কান্তি দাস জানান, ভোরে যাত্রীবাহী বাসটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বাজারে দাঁড়িয়ে থাকা আলমসাধু, রিকশাভ্যান, মোটরসাইকেল সাধারণ মানুষকে চাপা দিয়ে দ্রুতগতিতে চুয়াডাঙ্গার দিকে চলে যায়। এতে  ছয়জনের মৃত্যু হয়। এছাড়া আহত হয়েছেন আরো চারজন। এর মধ্যে একজনের অবস্থা গুরুতর। ঘটনায় নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে যদি মামলা করা না হয়, তাহলে পুলিশ বাদী হয়ে মামলা করবে।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন