নভেল করোনাভাইরাস প্রতিরোধ নিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকার সরকার যখন প্রবল সমালোচনার মুখে তখন উঠে আসছে নানা মেডিকেল সামগ্রী ক্রয়ে দুর্নীতির খবর। প্রাদেশিক পর্যায়ে এই ক্রয়ের দরপত্রে অনিয়মের বিষয়টি খতিয়ে দেখতে মন্ত্রী পর্যায়ের কমিটি গঠন করেছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট সিরিল রামাফোসা।
মেডিকেল ইকুইপমেন্ট কেনার কাজে সরকারি কর্মকর্তা ও ব্যবসায়ীদের মধ্যে সন্দেহজনক চুক্তি হয়েছে বলে সংবাদমাধ্যমে এসেছে। এছাড়া দরিদ্র্য মানুষের জন্য প্যাকেটজাত খাবার বিতরণেও দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। এ নিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকায় ক্ষোভের বিস্ফোরণ হয়েছে।
করোনাভাইরাস সংক্রমণে দক্ষিণ আফ্রিকা এ মুহূর্তে বিশ্বে পঞ্চম স্থানে রয়েছে। জনস হপকিনস ইউনিভার্সিটির তথ্যমতে, শনিবার দুপুর পর্যন্ত দেশটিতে মোট সংক্রমণ ছিল ৫ লাখ ৪৫ হাজারেরও বেশি। মারা গেছে ৯ হাজার ৯০৯ জন। দেশটির সরকার যখন করোনা সামাল দিতে হিমশিম খাচ্ছে তখন দুর্নীতির বিরুদ্ধেও লড়াই করতে হচ্ছে তাদের।
দক্ষিণ আফ্রিকার দুর্নীতি দমন সংস্থা জানিয়েছে, তারা চুক্তিতে অনিয়মের বিষয় নিয়ে তদন্ত করছে, যা কিনা দেশটিতে উচ্চ পর্যায়ের রাজনৈতিক কেলেঙ্কারির সর্বশেষ ঘটনা।
প্রেসিডেন্ট রামাফোসার অফিস থেকে বৃহস্পতিবার পাঠানো এক বিবৃতিতে বলা হয়, ‘কভিড-১৯ মহামারী প্রতিরোধের উদ্দেশে বিভিন্ন পণ্য ও সেবাসামগ্রী ক্রয়ে যে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে তা তদন্ত করে দেখবে কমিটি। বিশেষ করে পারসোনাল প্রটেকটিভ ইকুইপমেন্টের (পিপিই) বিষয়টি।’
গোটা আফ্রিকা মহাদেশে যত কভিড-১৯ রোগী রয়েছে তার অর্ধেকই দক্ষিণ আফ্রিকায়। শিল্পোন্নত এ দেশটি সংক্রমণের বিস্তার যেন থামাতেই পারছে না। এখন পর্যন্ত প্রায় ২৪ হাজার স্বাস্থ্যকর্মী করোনাভাইরাসে সংক্রমিত হয়েছেন এবং তাদের মধ্যে ১৮১ জন প্রাণ হারিয়েছেন।
স্বাস্থ্যসেবা খাতের কর্মীরা অভিযোগ করছেন, দুর্নীতির কারণেই সেবার মান খারাপ হচ্ছে এবং মানুষের জীবন পড়ছে ঝুঁকির মুখে।
আল জাজিরা