ছুটির দিনে দৌলতদিয়া ঘাটে কর্মস্থলগামী মানুষের ঢল

বণিক বার্তা প্রতিনিধি রাজবাড়ী

ঈদের আনন্দ শেষে কর্মস্থলে যোগ দিতে ছুটছেন লাখো মানুষ। গতকাল ছুটির দিন সকাল থেকে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২১ জেলার মানুষের ঢল নামে রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া ঘাটে। ফেরিতে লঞ্চে ছিল উপচে পড়া ভিড়।

এদিকে মানুষের উপচে পড়া ভিড়ের কারণে নিশ্চিত করা যায়নি স্বাস্থ্যবিধি। এতে নভেল করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্টরা।

সকাল থেকে ব্যক্তিগত প্রাইভেট কার, মাইক্রোবাস মোটসাইকেলের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো। ঘাটের নাগাল পেতে প্রতিটি যাত্রীবাহী বাসকে অপেক্ষা করতে হয়েছে - ঘণ্টা। অন্যদিকে পণ্যবোঝাই ট্রাক দুইদিন পর্যন্ত সিরিয়ালে থাকতে হচ্ছে।

গতকাল বিকালে দৌলতদিয়া ঘাটের জিরো পয়েন্ট থেকে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের চার কিলোমিটার এলাকায় এক সারিতে তিন শতাধিক বাস আটকা পড়ে। এছাড়া ঘাট থেকে ১২ কিলোমিটার পেছনে গোয়ালন্দ মোড় থেকে আহলাদিপুর ব্র্যাক ট্রেনিং সেন্টার পর্যন্ত আরো চার কিলোমিটার এলাকায় অন্তত ৪০০ পণ্যবাহী ট্রাক আটকে থাকতে দেখা যায়।

এদিকে করোনাভাইরাসের সংক্রমণকে উপেক্ষা করেই স্বাস্থ্যবিধি না মেনে গাদাগাদি করে ফেরিতে পার হচ্ছে হাজারো মানুষ। সময় যাত্রীদের সামাজিক দূরত্ব না মেনে ঘাট পন্টুনে লঞ্চে গাদাগাদি করে নদী পারাপার হতে দেখা যায়।

রাজবাড়ীর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট বিপুল শিকদার জানান, ঘাট এলাকায় সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে সকাল থেকেই ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়েছে। যা চলমান আছে।

মাস্ক না পরার কারণে জরিমানা করা হচ্ছে। কিন্তু ফেরিতে ওঠার পর আর কেউ নিয়ম মানতে চায় না।

গোয়ালন্দ ঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মো. আশিকুর রহমান জানান, ঈদ শেষে কর্মস্থল ফেরা মানুষের ভোগান্তি কমাতে রাজবাড়ীর পুলিশ সুপার মো. মিজানুর রহমান পর্যাপ্ত ফোর্স মোতায়েন করেছেন। এছাড়া বাস, ট্রাক প্রাইভেট কারের জন্য আলাদা লেন তৈরি করা হয়েছে। সবাই সুশৃঙ্খলভাবে পার হচ্ছে।

বিআইডব্লিউটিসি দৌলতদিয়া ফেরিঘাটের ব্যবস্থাপক আবু আব্দুল্লাহ রনি জানান, নৌ রুটে পর্যাপ্ত ফেরি থাকলেও পদ্মায় প্রবল স্রোতে ফেরিগুলোর ট্রিপ দিতে সময় লাগছে দ্বিগুণ। এছাড়া শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ী নৌ রুটে ফেরি চলাচল ব্যাহত হওয়ায় ওই রুটের যানবাহনের চাপ পড়েছে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া রুটে। বর্তমানে রুটে ১৬টি ফেরি সার্বক্ষণিক চলাচল করছে।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন